প্রথম আলোর নিষিদ্ধ ফান ম্যাগাজিন আলপিন বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে সংখ্যা বের করত।তবে সব সংখ্যায় সবার লেখার অধিকার থাকলেও নারী দিবসের নারী সংখ্যায় লেখার অধিকার ছিল কেবল নারীদের।এতে মেয়ে রাইটারদের সে কী আনন্দ।তবে একজন মেয়েকে পাওয়া গিয়েছিল যিনি কিনা নারী সংখ্যায় খুশি নন।তার যুক্তি ছিল-নারীদেরকে এখনো ছোট করা হচ্ছে।কারণ পুরুষ শাসিত এই সমাজের পুরুষেরা মনে করে তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।তাই তারা আমাদের জন্য নারী সংখ্যা বের করে।কেন,নরমাল পাতায় ছাপার মত লেখা লেখবার মত যোগ্যতা কি আমাদের নেই?নারী পাতায় লেখার মূল যোগ্যতা হলো নারী হওয়া।লেখার মান না থাকলেও চলবে।আমাদের জন্য নারী সংখ্যা বের করার দরকার নেই।আমাদের যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে আমরা পুরুষদের সাথে টক্কর দিয়ে যে কো ন পাতায় লেখা ছাপব।একান্তই মানের যোগ্যতায়।'' আলপিনের এই কথাগুলোর কথা মনে পড়ল কোটা সিস্টেমের বাড়াবাড়ি দেখে।আমার বিশ্বাস,মহান মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা এতোটা মেধাহীন নন যে,তারা সবার সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকবেন না।তাদের জন্য কোটা রাখতে হবে।আমার দৃঢ় বিশ্বাস,সবার সাথে মেধার যুদ্ধ করে কাঙ্ক্ষিত চাকুরি ছিনিয়ে নেওয়ার মত প্রতিভা তাদের অবশ্যই আছে।কারণ তাদের বাবা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন।স্বাধীনতাটা কেউ তাদেরকে কোটা সিস্টেমে দেয়নি।আমার কেন যেন মনে হয়,যিনি মনে প্রাণে মুক্তিযোদ্ধা,তিনি কখনোই চাইবেন না তার ত্যাগের প্রতিদান স্বরূপ তার সন্তান চাকরী পাক।কারণ তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন,তার কোন তুলনা হয় না।হতে পারে না।কেউ যদি কারো কোটি টাকার ব্যাগ ফিরিয়ে দেয় আর তাকে যদি একদুই হাজার টাকা বকশিশ দেওয়া হয়,সেটা বরং তার জন্যে অপমান।মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই কোটা সিস্টেমের পক্ষে কথা বলেন।এটা শুধু তার জন্যেই না,পুরো মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রদায়ের জন্যে অপমান।এখানেও আমি আগের কথাটাই বলবো।কোটি টাকার ব্যাগ মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তার কাছে এক দুই হাজার টাকা বকশিশ চাওয়া... কী আর বলব।মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্যে যা করেছেন,এর কাছে তো কোটি টাকা অতি তুচ্ছ।আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সন্তানকে কোটার প্রতি উৎসাহিত করতে পারেন না।কারণ তারা যেভাবে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছেন,তাদের সন্তানরাও যুদ্ধ করেই চাকরীতে সাফল্য পাবে,এটাই স্বাভাবিক।বাসে কোটা মানে সংরক্ষিত আসন থাকে মহিলা শিশু আর প্রতিবন্দ্বীদের জন্য।অর্থাৎ যারা শারীরিক ভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল।আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কক্ষনো দুর্বল নন।তাদেরকে কোটার দিকে ঠেলে দেওয়াটা নিঃসন্দেহে বিশাল অন্যায়।
কোটা সিস্টেমের উদ্দেশ্য কি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা নাকি অপমানিত করা?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কাঁচা আম পাড়ার অভিযান
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন