ধর্ষকের পক্ষ নেয়ার সাহস আমার নেই।সাহস নেই বলতে, এতোটা পশু এখনো হইনি।ধর্ষকের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।অতএব একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে,ধর্ষণের সব দায় ধর্ষণকারীর।প্রথমত ধর্ষণকারীর,দ্বিতীয়ত ধর্ষণকারীর,তৃতীয়ত ধর্ষণকারীর।তবে চতুর্থত আমার সামান্য একটু কথা আছে।ঠিক কথা না,প্রশ্ন।প্রশ্নটা মনে খোঁচা দেয় যখন রাস্তায় বের হই।সৃষ্টিকর্তা আমাদের যাদেরকে চোখ দিয়েছেন,তারা চোখটা খুললেই দেখি আজকাল মেয়েরা কী আপত্তিকর পোষাক পরে।মনে হয় ওড়নার প্রচলন উঠে গেছে দেশ থেকে।কেউ যদি বাসা থেকে ওড়না নিয়ে বেরও হন,ওড়নাটা পেচিয়ে রাখেন গলায়।আরে বাবা ওড়না কি গলায় পেচানোর জন্য?গলায় পেচানোর জন্য তো মাফলার আবিস্কৃত হয়েছে।এমন টাইট কাপড় পরবে,শরীরের প্রতিটি ভাঁজ গোনা যাবে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে।কামিজের দুই পাশের কাটা এত উপরে তুলবে যে,কোমর দেখা যাবে অনায়াসে।প্যান্ট তো টাইট পরবেই,তার উপর নীচের দিকটা গুটিয়ে রাখবে।অনেকে বলে থাকেন আজকাল ছেলেরা যদি মেয়েদের পোশাক পরতে পারে,তাহলে মেয়েরা কেন পারবে না।যারা এই কথাটা বলে থাকেন,তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাবো,সব জায়গায় সমান অধিকার ফলাতে আসবেন না।ছেলেরা যদি মেয়েদের পোশাক পরে তাহলে ক্ষতি হচ্ছে তার নিজের।যেহেতু সে চুড়ি পরছে।কিন্তু মেয়েরা যখন ছেলেদের পোষাক পরে তখন ক্ষতিটা তার নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।ক্ষতি হয় আশে পাশের ইয়াং ছেলেদের।সবচেয়ে বড় কথা হলো-সৃষ্টিকর্তা মেয়েদেরকে যে আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন,ছেলেদেরকে সেভাবে সৃষ্টি করেননি।অতএব মেয়েরা কিছু একটা করলে ভেবে চিন্তে করা উচিত।এতে নারী অধিকার লঙ্ঘিত হয় না।তো দিন যত যাচ্ছে,মেয়েরা তত বেপরোয়া হচ্ছে।তাদের পোষাক আশাক সাজ সজ্জা তত উগ্র হচ্ছে।আর সেটা দেখে ছেলেদের মনে বাসা বাঁধছে কুচিন্তা।আর এটিই ধর্ষণের উৎসাহ হয়ে কাজ করছে।ধর্ষণ করতে না পারলে তারা ছুটছে যৌনকর্মীদের কাছে।কিংবা বেছে নিচ্ছে বিকৃত যৌন প্রশান্তির পথ।আজকাল মা বাবারাও এ ব্যাপারে একদমই উদাসীন।কদিন আগে এক বোনকে তার ভাইয়ের সাথে শপিং করতে আসতে দেখলাম।তার পোষাক দেখে যে কারো চোখ বন্ধ হয়ে আসবে।ওকে দেখে আমার এক বন্ধু বলে উঠেছিল-ভাইয়ের সাথে যে মেয়ে এই পোষাকে বের হতে পেরেছে,সেই মেয়ে প্রেমিকের সাথে বের হলে তো কাপড় ছাড়াই বের হয়ে পড়বে।ধর্ষণের দায়ভার কিছুটা মেয়েদের কাঁধে দিচ্ছি দেখে অনেকেই হয়তো বলে উঠবেন-আপনার কি মা বোন নেই?মা'র কথা না হয় বাদই দিলাম।যেহেতু মা জিন্সের প্যান্ট পরে উগ্র সাজে বাইরে বের হবেন না।বোনের ব্যাপারে কথা হচ্ছে,আমার বোন যদি এমন আপত্তিকর ভাবে বাইরে বের হয়,আমার কথা ভেবেও যদি শালীন পোষাক না পরে,তাহলে আমি এই টুকুই বলব-এমন বোন গোল্লায় যাক।এখানে আরেকটা কথা,যেসব নীরিহ মেয়েরা বখাটেদের কুদৃষ্টির শিকার তাদের প্রতি অবশ্যই আমি সহানুভূতি জানাই।তবে যারা ফ্যাশন রক্ষা করতে গিয়ে উগ্র সাজ পোষাক দিয়ে ছেলেদের মনে হিংস্রতার জন্ম দেয়,তাদের অপরাধ কোন অংশেই ধর্ষকদের অপরাধের চেয়ে কম নয়।
ধর্ষণের জন্য কি শুধু ধর্ষকই দায়ী?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৭৮টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন