সামহয়ারের নাস্তিকরা প্রায়ই খোঁচা দিয়া কথা বলেন এইটা অস্বীকার করার উপায় নাই । কিন্তু সাম্প্রতিক নাস্তিকতা সংক্রান্ত থ্রেডটা শুরু হৈছিল মূলত স্মৃতিচারণমূলক কথাবার্তা হিসাবে । এইটাতেও অবশ্য বেশ কয়েকজনের ধর্মীয় অনুভূতি জ্বইলা ছারখার হৈয়া যাইতাছে । অনেকটা চোরের মন পুলিশ পুলিশ ইশটাইলের প্রতিক্রিয়া ।
যাই হোক, আমার আঁতলামির মূল বিষয় এইটা না । মূল বিষয় হৈল, গত কয়েকদিনে একটা শব্দ খুব ব্যবহার হৈতাছে । প্রকৃত নাস্তিক/সত্যিকারে নাস্তিক/ খাঁটি নাস্তিক । মজার ব্যাপার হৈল এখন পর্যন্ত একটা নাস্তিকও এই শব্দটা উচ্চারণ করে নাই ।
ধর্মগুলার মধ্যে অর্ন্তবিভক্তি খুবই র্যাম্পেন্ট একটি ঘটনা । শিয়া-সুন্নি-ওয়াহাবি-সালাফি-দেওয়ানবাগী-হানাফি-মালেকি, অন্যদিকে প্রটেস্টান্ট-ক্যাথলিক-অ্যাংলিকান-লুথারানিয়ান-অর্থোডক্স-র্যাডিকাল-ইভানজেলিকাল । এই ভাগগুলার সবগুলারই শুরু মূলত কে প্রকৃত আর কে অপ্রকৃত ধার্মিক সেইটা থাইকা । বঙদেশে এককালে নাকি সুরা ফাতিহার শেষ শব্দ ওয়ালদ্দোয়ালিন আর ওয়ালাজ্জোয়ালিন উচ্চারণ নিয়া খুনাখুনি পর্যন্ত হৈত , কোনটা প্রকৃত উচ্চারণ এইটা নিয়া ।
নাস্তিকদের মধ্যে হাজার হাজার মতবাদের মানুষ আছে । তীব্র সমাজতান্ত্রিক ঘরানার যেমন আছে তেমনি পুঁজিবাদি, অক্সিডেন্টালিস্ট ওরিয়েন্টালিস্ট , রাইট-লেফট এইধরণের নানান চিন্তাধারার । বিভিন্ন বিষয় নিয়া নাস্তিকদের মধ্যে ঘোরতর বিতন্ডাও হয় । কিন্তু আইজ পর্যন্ত কখনো শুনি নাই একদল নাস্তিক আরেকদলরে কৈতাছে তোরা অপ্রকৃত নাস্তিক আমার প্রকৃত । লাগ কাটাকাটি ।
সেই অভাব বোধহয় আস্তিকরা এবার পুরণের দায়িত্ব নিতে যাইতাছে । বিভাজন ছাড়া বোধহয় খেলা জমেনা । তাই বিভাজনের বিষ সর্বত্র ঢুকাইয়া দিতে হৈব । আমরা দেখ নিজেরা কত ভাগে ভাগ হৈয়া নিজেগো মধ্যে মারামারি করতাছি, তোরা করবি না কেন ?
হোহোহো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬