জীবনে প্রথম টেলিভিশন দেখি ‘মন্টু স্যার’দের বাসায়। সত্তরের দশকের শেষ ভাগ পর্যন্ত আমাদের খিলগাঁও এলাকায় ঐ একটাই টিলিভিশন ছিল । মন্টু স্যারদের বাসায় আমরা দলবেঁধে যেতাম তাদের বিরাট বারান্দায় হাঁটু মুড়ে বসে টিভি দেখতাম। এছাড়াও মাঝে মাঝে দলবেঁধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনেও যেতাম। ১৯৮০ সালে আমাদের খিলগাঁও কম্যুনিটি সেন্টারে টেলিভিশন এসে যায়। একই বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রঙিন যুগের সূচনা হলেও আমরা তখন সাদাকালো যুগেই ছিলাম। সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তী মুষ্ঠিযোদ্ধা মোঃ আলির সঙ্গে ল্যারি হোমসের খেলাটি দেখেছিলাম ১৯৮০ সালে। কিংবদন্তীর নায়ককে রিং’য়ে খুব অসহায় মনে হয়েছিল। মোঃ আলীর পরাজয়ে সেদিন আমরা খুবই ব্যথিত হয়েছিলাম।
যে সময়ের কথা বলছি, বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন ‘এ সপ্তাহের নাটক’ হতো প্রতি রোববার রাত আটটার সংবাদের পর। আশির দশকের শুরুর দিকে বিটিভির জনপ্রিয় নাট্যকার ছিলেন, অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন, আতিকুল হক চৌধুরী , নওয়াজেস আলিী খান, মামুনুর রশীদ, সেলিম আলাদিন, আশকার ইবনে শাইখ, আফজাল হোসেন প্রমুখ। এই সময়ের উল্লেখ যোগ্য কিছু নাটক, ’বাবার কলম কোথায়?’দুরবিন দিয়ে দেখুন ’ইডিয়ট’ এইখানে নোঙর’, ‘কুল নাই কিনার নাই’, ‘পারলে না রুমকী’।
তখন টিভি নাটকের সিনিয়র নায়ক নায়িকা এবং অভিনেতা ছিলেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ আহসান আলী সিডনী, পীযুষ বন্দোপধ্যায়, ফেরদৌসি মজুমদার, আলী যাকের, রামেন্দু মজুমদার, সারা যাকের, দিলশাদ, খানম, আসাদুজ্জামান নূর, কেয়া চৌধুরী, প্রিসিলা পারভীন। তার পরের সারিতে ছিলেন আফজাল, সুবর্ণা, হুমায়ুন ফরিদী, আল মনসুর, রাইসুল ইসলাম আসাদ,রিনি রেজা, শম্পা রেজা, মিতা চৌধুরী, সুবর্না মুস্তফা, নীপা রেজা, নায়লা আজাদ নূপুর, মানস বন্দোপধ্যায়, পিযুষ বন্দোপধ্যায়, খায়রুল আলম সবুজ। এদের পরে আসেন জাহিদ হাসান, আজিজুল তারানা হালিম, নিমা রহমান, তারিক আনাম, জাহিদ হাসান, আজিজুল হাকিম,শান্তা ইসলাম, ডব্লিউ আনোয়ার। শহীদুজ্জামান সেলিম, তমালিকা, ঈশিতা, তারিন, টনি ডায়েস, মেঘনা, মনিরা বেগম মেমী সহ আরো অনেকেই। এরাই ছিলেন আশি এবং নব্বই দশকে ছোটপর্দার উজ্জ্বল সব তারকা।
আরো পরে প্রায় এক সঙ্গে এলো তৌকির আহমেদ, শমি কায়সার, বিপাসা হায়াত, আফসানা মিমিরা।
বিপাশার একটা ইনোসেন্ট লুক ছিল। শমির অভিনয়ের চেয়ে ঢং ছিল বেশী। আর আফসানা মিমি? তাকে দেখলেই মনে হতো স্কুল থেকে ফিরলো মাত্র । এদের সমসাময়িক ছিলেন বিজরি বরকতুল্লাহ।
১৯৮০ সাল থেকে বিটিভির রঙিন প্রচার শুরু হলেও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত বাঙালির ঘরে ঘরে তখনও সাদাকালো টেলিভিশনই ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। ওই সময় টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক ছিল ‘সকাল সন্ধ্যা’ (বাংলাদেশে প্রচারিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক এটি, লিখেছিলেন বেগম মমতাজ হোসেন আর প্রযোজনা করেছেন মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ); নাটকটির প্রধান দুটি চরিত্র ছিল ‘শাহেদ’ (পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়) ও ‘শিমু’ (আফরোজা বানু), সে সময় তারা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে তাদের ভিউকার্ড পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা সংগ্রহ করে রাখতো।
পরবর্তী সময় বরকতউল্লাহ প্রযোজিত আরও দুটি নাটক (নাজমুল আলমের রচনায় ‘ঢাকায় থাকি’ ও হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’) এছাড়া ’সংশপ্তক, ‘বার রকমের মানুষ’, ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’ ‘বহব্রীহী’ ‘অয়োময়’,‘এইসব দিনরাত্রি’ ’কোন কাননের ফুল’, 'রূপনগর' 'প্রতিশ্রুতি' শুকতারা ‘এখনই সময়’ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। আরো ছিল আবদুল্লাহ আল মামুন প্রযোজিত ‘আমি তুমি সে’, ‘সংশপ্তক’, ‘উত্তরাধিকার’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘পাথর সময়’; 'শালবনের লাল আগুন'। মোস্তাফিজুর রহমান প্রযোজিত ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘সময় অসময়’, আমজাদ হোসেনের " জন্মভুমি" নওয়াজীশ আলী খানের ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ টিভি দর্শকরা লুফে নিয়েছিলেন। 'সময় অসময়' ধারাবাহিকে ‘মধু পাগলা’ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে রাইসুল ইসলাম আসাদ আজও টিভি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছেন।
ধারাবাহিকগুলোর সঙ্গে খন্ড নাটক হিসেবে আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় ‘সুখের অপর নাম’, ‘নেপথ্যের নায়িকা’, ‘বাবার কলম কোথায়’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘জলাশয় কতদূর’ (ধারাবাহিক) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী সময় হুমায়ূন আহমেদের নিজের পরিচালনায় ‘আজ রবিবার’ ও ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটক দুটি টিভি দর্শকের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। সাদাকালো সময়ে আবদুল্লাহ আল মামুন ও ফেরদৌসী মজুমদারের মধ্যে নাটকে একটি অভিনয় জুটি গড়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময় আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফার মধ্যে গড়ে ওঠা জুটিও দর্শক গ্রহণ করেছিল।
বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব সাইদ আহমেদের উপস্থাপনায় ‘বিশ্বনাটক’ ছিল বিদেশি নাটকের বাংলা প্রচারানুষ্ঠান। অনুসন্ধিৎসু দর্শকের কাছে অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। সাপ্তাহিকভাবে শুক্রবার রাতে তখন প্রচারিত হতো বাংলা সিনেমা।রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, ববিতা, ফারুক, রোজিনা, ওয়াসিমসহ অনেক গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছায়াছবি দেখার জন্য সপ্তাহজুড়ে থাকতো সবার অপেক্ষা।
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে ‘যদি কিছু মনে করেন’, ’আনন্দমেলা’, এখনই,শুভেচ্ছা’ ঝিলমিল, চতুরঙ্গ, সপ্তবর্ণা, কথার কথা, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আবদুল্লাহ আবু সাঈদের উপস্থাপনায় সপ্তবর্ণা অনুষ্ঠানে নিয়মিত ব্যান্ডের গান পরিবেশন করতেন ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর ও পিলু মমতাজ। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওই সময় সঙ্গীতের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে মালঞ্চ, বর্ণালী, কথা ও সুর, আমার যত গান, এসো গান শিখি (ছোটদের গান শেখার আসার) ছিল উল্লেখ করার মতো।
তবে সব চেয়ে জনপ্রিয় ছিল সিনেমার গানের অনুষ্ঠান ছায়াছন্দ। এই সব অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে হানিফ সংকেত পরিকল্পিত এবং উপস্থাপিত ম্যাগাজিন অনু্ষ্ঠান ’ইত্যাদি’ সব চেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে এখনো বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। ‘আনন্দ মেলা’ ছিল বিটিভির ঈদ অনুষ্ঠানের অন্যতম অনুষঙ্গ। এছাড়াও, প্রতি ঈদে আমজাদ হোসেন ও হুমায়ূন আহমেদের লেখা নাটক প্রচারিত হতো।
বাংলা ডাবিংকৃত সিরিয়াল আলিফ লায়লা, সিন্দবাদ, রবিন হুড, মুগলি, দ্য সোর্ড্ অব টিপু সুলতান, আকবর দ্য গ্রেট।
ছোটদের অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, সিসিমপুর,নতুন কুঁড়ি (জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ), বিটিভি জাতীয় বিতর্ক ইত্যাদি।
বিটিভির আরেকটি জনপ্রিয় অধ্যায় ছিল বিদেশী বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ইরেজি সিরিয়াল ‘দা ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ ছিল তুমুল জনপ্রিয়। এছাড়াও সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান, দ্য এ টিম,বায়োনিক উম্যান, ওয়ান্ডার উম্যান, দ্য স্টার ট্রেক, নাইট রাইডার, দ্যা ফল গাই,হার্ট টু হার্ট, থান্ডার ক্যাট, চার্লিস এঞ্জেলস, ‘রোবোকপ’, ম্যানিমেল, দ্য র্যাভেন দর্শক নন্দিত ছিল।
ওই সময় প্রচারিত আরো কিছু ইংরেজি ধারাবাহিক বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এর মধ্যেছিল ইনক্রিডিবল হাল্ক, দ্য পাওয়ার অব দ্য ম্যাথিউ স্টার, টারজান, দ্য নিউ এ্যাডভেঞ্চারস অব সুপারম্যান, দ্য নিউ এ্যাডভেঞ্চারস অব সিনবাদ, হারকিউলিস, স্মল ওয়ান্ডার, হাওয়াই ফাইভ, ওয়ান্ডার ওম্যান, হাওয়াই টু হেভেন, থ্রি স্টুজেস, ভয়েজার্স, দ্য এক্স-ফাইলস, রোবোকপ, দ্য এডভেঞ্চার্স অব সিনবাদ, হারকিউলিস, মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড, মি. বিন, দ্য উইজার্ড, স্পেল বাইন্ডার, 'দ্য গার্ল ফ্রম টুমরো' 'লিটল হাউজ অন দ্যা প্রেইরী' 'এগেইস্ট দ্য উইন্ড'। তবে এর সব গুলোকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল ‘ম্যাক গাইভার’এর জনপ্রিয়তা। এখন পর্যন্ত বিটিভিতে প্রচারিত সবচে সবচে জনপ্রিয় সিরিজ এটি।
ডালাস এবং ডায়ন্যাস্টি সিরিয়াল দুটিও তখনকার টিভি দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল। রাত দশটার খবরের পরে দেখাতো এই দুইটি ‘বড়োদের’ ধারাবাহিক। বড়োদের বললাম এই জন্য যে এই সময় প্রচারিত সিরিয়াল গুলোতে বিটিভির কঠোর সেন্সর শীপ নীতিমালার ফাঁক গলে হালকা চুমোচুমির দৃশ্য প্রদর্শিত হতো। এই সময় প্রচারিত আরো কয়েকটি সিরিয়াল ছিল থর্ন বার্ডস, অল দ্য রিভারস রান, টুইন পীকস ইত্যাদি। ’ওশিন’ নামের ইংরেজি ডাবিংকৃত একটি জাপানি সিরিজও বিটিভিতে খুব জনপ্রিয় ছিল।
মুভি অফ দ্যা উইকে আসতো ভালো ভালো সব ইংরেজি সিনেমা। গানস অব নাভারুন, ব্রিজ অব দ্য রিভার কাউয়াই, দ্যা মেসেন্জার, দ্যা বার্ডস, রেবেকা, সানফ্লাওয়ার, লংয়েষ্ট হান্ড্রেডস মাইলস' ইত্যাদি। ৮০’র দশকে ছোটদের কথা চিন্তা করে বেশকিছু কার্টুন ছবিও প্রচার করা হতো যেমন, থান্ডার ক্যাটস, পাপাই দ্য সেইলার ম্যান, টম অ্যান্ড জেরি, স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান প্রভৃতি, ডাবল ডেকার, থ্রী স্টুজেস, বিল কসবি শো,ব্যাটম্যান, থান্ডার ক্যাটস, ফ্যান্টাস্টিক ফোর, অল নিউ পাপাই শো, স্কুবি ডু টারজান দি এপম্যান, ইনক্রেডিবল হাল্ক, টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টারটেলস, ব্যাটল ষ্টার গ্যালাকটিকা। শুক্রবার সকালের ফ্যামিলি টাইজ ছিলো দুর্দান্ত আকর্ষণ। মাইকেল ডগলাস ছিলেন আকর্ষনের একটা উল্লেখযোগ্য উৎস। সন্ধ্যাবেলা টেলস অব দ্য গোল্ডেন মাংকি, শুক্রবার দুপুরে থান্ডারক্যাটস ৷
সব চে বিরক্তিকর নোটিশ ছিল’যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমার দুঃখিত’ কিংবা ‘অনুষ্ঠানের বাকি অংশ দেখবেন রাত দশটার ইংরেজি সংবাদের পর’।
বিটিভির কিছু কিছু বিজ্ঞাপনও স্মৃতিকে বেশ নাড়া দেয়। আলো আলো চাকা নাকা বুম বুম পা, মানিক কি বাত্তি লাইগাইলা, সব দেখি ফক ফকা… মাছের রাজা ইলিশ, বাত্তির রাজা ফিলিংস।
রাত ৮টার সংবাদে সিরাজুল মজিদ মামুন, সালেহ আকরাম, আসমা আহমেদ মাসুদ, ১০টার সংবাদে মাহমুদুর রহমান সহ অনেকেই ছিলেন সংবাদপাঠের তারকা। অনুষ্ঠান ঘোষিকা হিসেবে মাসুদ কায়সার, শামীমা আক্তার বেবী ছিলেন পরিচিত মুখ।
সাদাকালো সময়ে আইনবিষয়ক অনুষ্ঠান ছিল ‘আইন আদালত’। রেজাউর রহমানের উপস্থাপনায় এতে ছবির এবং দবিরকে প্রতীকী হিসেব ব্যবহার আইনি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতেন প্রয়াত আইনজীবী গাজী শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। লায়লা হাসানের প্রযোজনায় ‘নৃত্যের তালে তালে’ অনুষ্ঠানটিও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিটিভির ইতিহাসে দীর্ঘ দিন ধরে চলা দ্বিতীয় (প্রথম নি:সন্দেহে 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘মাটি ও মানুষ’। কৃষিবিষয়ক এই অনুষ্ঠানটি শহুরে মানুষের কাছেও পছন্দনীয় হয়েছিল।
এক সময় টেলিভিশন ছিলো অন্যতম পারিবারিক বিনোদন মাধ্যম। চ্যানেল ছিলো বিটিভি। পরিবারের সবাই এবং পাড়া-প্রতিবেশী মিলে এই বিটিভির প্রোগ্রামই এক সঙ্গে বসে উপভোগ করতো। এখন ভিন্ন ভিন্ন চ্যানেল, ভিন্ন ভিন্ন রুচি। তাই এখন আর পরিবারের সবাই এক সঙ্গে বসে টেলিভিশন দেখেন না। প্রতি রুমে রুমে এখন পার্সোনাল টিভি সেট। ড্রয়িং রুমে একটি অবশ্য থাকে,কিন্তু সেটি দেখে থাকেন মেহমান আর কাজের বুয়া। তাছাড়া বিটিভি এখন খুব কম মানুষই দেখেন। বিটিভি শুধু নয়, অন্যান্য দেশীয় চ্যানেলও, যার সংখ্যা প্রায় ত্রিশটি, দর্শক সঙ্কটে ভুগছে। বিদেশী চ্যানেল বিশেষ করে হিন্দী চ্যানেল গুলোর ব্যাপক আধিপত্য এবং দর্শকপ্রিয়তায় আমাদের নিজস্ব চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্যাটেলাইটের কল্যানে টেলিভিশন খুললেই হাতের মুঠোয় এক'শ চ্যানেল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এলইডি টিভির ওয়াইড ডিসপ্লে, ফোর কে কালার, ত্রিমাত্রিক ছবি। তারপর ও মিস্করি সেই শাদা কালোর যুগের বিটিভি'কে।
______________________________________________________________________________
(লেখাটির অধিকাংশ স্মৃতি থেকে বিন্যাস করা হলেও কিছু তথ্য বন্ধুদের কাছ থেকে এবং ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে পাওয়া।)
পেন্সিলে প্রকাশিত আমার আরো একটি স্মৃতিচারণ মূলক লেখা।
‘ফেলে আসা দিনগুলো মোর’ পর্ব-১ সিনেমা//
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯