somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্ট্রিং থিয়োরি প্রমান করে মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর আল্লার স্বত্বাই শুধুমাত্র অস্তিত্বশীল থাকে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




১। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল অনুযায়ী আমাদের এই বিপুল মহাবিশ্বের উদ্ভব ঘটেছে স্রেফ ‘শূন্য’ থেকেই। শূন্যতা মানে আক্ষরিক অর্থে শূন্য নয়- পদার্থ বিজ্ঞানীদের মতে যে শূন্য-দেশকে আপাত: দৃষ্টিতে শান্ত, সমাহিত মনে হচ্ছে, তার সূক্ষ্মস্তরে সবসময়ই নানান প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে। তারা মনে করেন এক সুদূর অতীতে কারণবিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Flactuation) মধ্য দিয়ে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি হয়েছিলো, যা পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং আরো পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শুন্যতাটা কি? এটা কি প্রকৃত শূন্যতা? কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান মানলে তা নয়। এই শূন্যস্থান আসলে শূন্য নয়। এতে শক্তি লুকিয়ে থাকে। কোয়ান্টাম সূত্র অনুসরণ করে এই শূন্যতার মাঝে তৈরি হয় কণা আর প্রতিকণা যুগল। অনেক দার্শনিক মনে করেন,এ ধরণের শূন্যতা অবাস্তব এবং অনেকক্ষেত্রেই পরষ্পরবিরোধীভাবে সংজ্ঞায়িত। কারন আমাদের মহাবিশ্বে যে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হচ্ছে তাতো আমাদের স্পেস টাইমে হচ্ছে? কিন্তু শুরুর দিকে যে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হয়েছিল তা কোন স্পেস টাইমে হয়েছিল? সেই সেপ্স টাইম এলো কোথা থেকে? তাহলে কি মেনে নিতে হয় এই স্পেস টাইমের বাইরে আলাদা কোন স্পেস টাইম আছে?
আবার বিজ্ঝানীরা বলছে শূন্যস্থানে চলছে কণিকার বা শক্তির রহস্যময় খেলা। শূন্যস্থানের ভিতরে এই শক্তির রহস্যময় খেলাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ভ্যাকুয়াম ফ্লাক্সুয়েশন। পদার্থবিজ্ঞানীরা যে শূন্যতার কথা বলেন শূন্যতা আসলে কোয়ান্টাম মহাকর্ষের শূন্যতা । বিগব্যাং এর আগে শূণ্য স্থানে 'কোয়ান্টাম মেকানিক্স' বলবৎ থাকার মানে দাড়াচ্ছে শূণ্যতা আসলে নাথিং নয় বরং এটা সামথিং। কারন হিসেবে বলা যায় যে শুন্যতার মাঝে শক্তি লুকিয়ে থাকে? সেই শুন্যতা আলাদা কোন স্পেস টাইমের শুন্যতা। কারন হিসেবে বলা যায় শূন্যতা হচ্ছে দেশ এবং কালের সংযোগ। তাহলে এই শূন্যতার বৈশিষ্ট্য কেমন করে দেশকালহীন পরমশূন্য অবস্থায় প্রয়োগ করা যাবে? আর যদি দেশকালহীন পরমশূন্য অবস্থায় এরকম বৈশিষ্ট্য থাকে তাহলে তো তা পরমশূন্য হলো না। কারন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ফলে যখনই ইলেকট্রন ও পজিট্রন সৃষ্টি হচ্ছে তখনই দেশ ও কালের সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন স্পেস টাইমের সৃষ্টি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের স্পেস টাইম।
পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতিগুলো আসলে কী, এবং এর উদ্ভব কীভাবে ঘটতে পারে? এটা এখনো বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর্যায়ে। শূন্যতার মধ্যে যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ঘটে তবে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রগুলোই বা আসলো কোত্থেকে? খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন? সাধারন শুন্যতা কি করে সৃষ্টির সকল নিয়ম কানুন পেলো? স্পেসশূন্যতা এবং সময়শূন্যতার যে পরমশূন্য অবস্থা থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে সেই শূন্যতা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি তো বিজ্ঞানের কিছু সূত্র মেনেই আসতেছে। তাহলে এই শুন্যতা কি করে এই সকল নিয়ম কে নির্ধারন করে দিতে পারে! তাতে মহাকর্ষ, কিংবা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মত রীতি গুলো বলবত থাকে কি করে?

২। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে উল্লেখ করেছেন “ আমাদের মহাবিশ্ব ও তার আইন সমূহ দেখে মনে হয় যেন একেবারে নকশা অনুযায়ী একেবারে দর্জির হাতে বানানো! যেমনটা হলে এখানে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব হবে। আর কেনোই বা এম তত্ত্ব ১০’৫০০ সেট প্রকাশ্য নিয়মের জন্ম দেয় তার মধ্য থেকে ঠিক এই সেট নিয়ে এই মহাবিশ্বে আমরা কিভাবে হাজির হলাম? তিনি আর এক স্থানে বলেছেন “ কনওয়ের জীবনের খেলা থেকে দেখা যাচ্ছে যে একেবারে সরলতম এক সেট জটিল সব বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে যেটা বুদ্ধিমান জীবনের সমতুল্য। নিশ্চয় এধরনের বৈশিষ্ট সমৃদ্ধ এমন অনেক সেট নিয়ম সম্ভব। প্রশ্ন আসে আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কিভাবে নির্ধারিত হলো?
এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের যেতে হবে সেলুলার অটোমেশন বা জীবনের খেলা বিষয়েটি নির্মানের শুরুতে। ১৯৪৭ সালের দিকে জন ভন নিউম্যান (১৯৩০-১৯৫৭) এমন এক ধরনের যন্ত্রের কথা চিন্তা করলেন যা নিজেই নিজের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারবেন। এরকম একটি যন্ত্রকে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে একটি কক্ষে ছেড়ে দিলে নিজের মতো আরেকটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। তখন ঐ দুটি যন্ত্র পৃথকভাবে আরো চারটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। আর এভাবেই বাড়তে থাকবে। এধরনের যন্ত্রকে এখন ভন নিউম্যান মেশিন বলা হয়। ভন নিউম্যানের সেই নিজ প্রতিলিপি নির্মানকারী যন্ত্রেও সেলুলার মডেলই ছিলো সেলুলার অটোমেটা (Cellular Automata) বা কোষীয় স্বয়ংচল যন্ত্র বা সি.এ (C.A) । একটা একমাত্রিক কোষীয় স্থান বা সেলুলার স্পেস (Cellular Space) হচ্ছে এক রেখায় সারিবদ্ধ কোষ। একটি দ্বিমাত্রিক সিএ ধারাবাহিক পরিবর্তনে ত্রিমাত্রিক আকৃতি সৃষ্টি করে। এই দ্বিমাত্রিক সিএ এর ত্রিমাত্রিক রুপায়ন মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সিএ গুলো যেমন সরল কিছু নিয়ম দ্বারা পরিচালিত আমাদের মহাবিশ্বটাও ঠিক এমন। আমাদের মহাবিশ্বটা এরুপ হাইপার ডাইমেনশনাল সেলুলার স্পেসে অবস্থিত কিনা তা বোঝা যায় “জীবনের গেম” নামক সি এর কোষগুলোর পরিবর্তন এবং বিভাজনের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনে একটি কলাম প্রকাশিত হয়। সেই কলামে জন কনওয়ে দ্বিমাত্রিক সিএ এর নামকরন করেন “গেম অফ লাইফ” (Game of life) বা জীবনের খেলা। গেম অফ লাইফের বিভিন্ন নিয়মসমূহের অসংখ্য সেটের সাথে মহাবিশ্বের সাদৃশ্যময়তা রয়েছে। যেমন গেম অফ লাইফের এক সেট সরলতম বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে। গেম অফ লাইফ বা জীবনের খেলার আপনাকে নির্ধারন করে দিতে হচ্ছে আপনি কোন সেটটি চাইছেন। আপনি যে সেটটি চাইছেন গেম অফ লাইফে ঠিক সেই সেটটি আপনার সামনে প্রকাশ ঘটবে।
কনওয়ের মহাবিশ্বের মতো আমাদের মহাবিশ্বের বিবর্তনও একটা নির্দীষ্ট অবস্থা থেকে এসব নিয়ম মেনেই ঘটে। কনওয়ের জগতে আমরাই হচ্ছি সৃষ্টিকর্তা। যারা ঐ মহাবিশ্বের আদি অবস্থায় ব্স্তুমূহের অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ধারন করে দিচ্ছি।” এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিটি মহাবিশ্বের জন্য কি আপনা আপনি নিয়ম সৃষ্টি হচ্ছে নাকি কোন সত্ত্বাকে এই সকল নিয়ম নির্ধারন করতে হচ্ছে।
পাঠক লক্ষ্য করুন গেম অফ লাইফ খেলাতে একজনকে নিয়মটি নিধারন করে দিতে হয়। আর সেই কারনে সেই নিয়ম সমৃদ্ধ জগৎটি উপস্থাপিত হয়। যিনি নিয়মটি নির্ধারন করে দেন তিনিই কনওয়ের জীবনের খেলাতে সৃষ্টিকর্তা। যদি তাই হয় তাহলে আমাদের স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে আমাদের এই মহাবিশ্বের নির্মানে শুরুতে একটি বিধান বা নিয়মকে নির্ধারন করে দিতে হয়েছিলো। এ সুত্র নির্ধারনের ক্ষেত্রে একটি ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট সক্রিয় তা একটু বিবেক খাটালেই বোঝা যায়। নিজেকে প্রশ্ন করুন এই নিয়ম বা বিধান সিলেকশন হলো কিভাবে? র‌্যান্ডমলিও যদি ভেবে থাকেন তাহলেও আপনাকে ভাবতে হচ্ছে র‌্যান্ডমলি একটি সেন্স বা একটি সচেতনতা সিলেকশন করে। এই সচেতনাকে আমরা স্রষ্টা বললে কারো কারো কাছে খারাপ লাগলেও বাস্তবতাকে এড়িয়ে যাওয়া যাই না। আলাদা কোন স্পেস টাইমের কেউ এই স্পেস টাইম সৃষ্টি করে। আর এই কারনে মহাবিশ্ব এত সুন্দর নিয়মের অধীন হয়ে এবং ফাইন টিউনিং এর সামঞ্জস্যতা রেখে এই প্রানী জগতের বিকাশে ভূমীকা রাখতে পারলো!




৩। বিগব্যাং অস্তিত্বহীন। বিগব্যাংগের পূর্বে কিছু একটা ছিলো অথবা বিগব্যাং ইনফ্লেশনের কারন নয়। বরং ইনফ্লেশনের কারনে বিগব্যাং ঘটেছিলো এই অভিমত থেকে বিজ্ঞানী অন্দ্রে লিন্ডে বিগব্যাং এর বেশ কিছু সমস্যা খুজে পান। আন্দ্রেলিন্ডে তার “The Self-Reproducing Inflationary Universe” প্রবন্ধে তার লেখাতে বিগব্যাং থিওরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিগব্যাং এর সমস্যা খুজতে গিয়ে বলেন- Why is the universe so big? If one takes a universe of a typical initial size given by the Planck length and a typical initial density equal to the Planck density, then, using the standard big bang theory, one can calculate how many elementary particles such a universe might encompass. The answer is rather unexpected: the entire universe should only be large enough to accommodate just one elementary particle or at most 10 of them. It would be unable to house even a single reader of Scientific American, who consists of about 1029 elementary particles. Obviously, -----------------------------Andre Linde অথবা বিগব্যাং ইনফ্লেশনের কারন নয়। বরং ইনফ্লেশনের কারনে বিগব্যাং ঘটেছিলো এই অভিমত থেকে বিজ্ঞানী অন্দ্রে লিন্ডে বিগব্যাং এর বেশ কিছু সমস্যা খুজে পান। আন্দ্রেলিন্ডে তার “The Self-Reproducing Inflationary Universe” প্রবন্ধে তার লেখাতে বিগব্যাং থিওরি সমস্যা খুজতে গিয়ে এসব কিছু বলেন। ।
বিগব্যাং বাদ হলো এলৈা ইনফ্লেশন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই মহাস্ফিফতি বা ইনফ্লেশন কেন ঘটে? গানিতিকভাবে হয়তো অনেকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে যে মূল বিষয়টা হলো ভাবা হচ্ছে সেটি হলো ‘স্ফীতির প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন বিকষণমূলক পদার্থ থেকে।” যে বীজ মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারন। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে যার ব্যাস হতে পারে একটি প্রোটনের চেয়েও একশত কোটি গুন ছোট কিছু। আবার প্রশন হলো সেই বীজ এলা কোথা থেকে? উত্তর দিলো বিজ্ঞানী শন ক্যালর। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস্ এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছিলেন “এক প্যাকেট কার্ড থেকে দৈবভাবে কিছু কার্ড নিলে এটাই স্বাভাবিক যে, সেগুলো অগোছালো হবে। নিম্নে এনট্রপির সাথে উচ্চ এনট্রপির সংর্ঘষটাও এখানে। কার্ডেও প্যাকেট খুললে সবগুলো কার্ড সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। এটা দেখে আপনি আশ্চার্যান্বিত হন না। কারন এটা নয় যে, সাজানো অবস্থায় থাকাই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক। বরং মূল কারন হচ্ছে, কার্ডের প্যাকেট কোন বদ্ধ ব্যবস্থা নয়। প্যাকেটটাও এ থেকে বড় কোন ব্যবস্থা থেকে এসেছে যে ব্যবস্থায় একটা কারখানা ছিলো আর সে কারখানাতেই কার্ডগুলো সাজানো হয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে। এটা এমন এক বিষয় যা নিয়ে চিন্তা করার যথেষ্ট কারন আছে”। তার “ফ্রম ইটারনিটি টু হেয়ার” গ্রন্থে মহাবিশ্ব সৃষ্টির এক প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন।

৪।স্ট্রিং তত্ত্বমতে, মহাবিশ্বের কণাগুলো যে বিন্দুতে বসে আছে, ওগুলো অ্যাবসুলেট মিনিমাম নয়। লোকাল মিনিমাম। একটা সময় গিয়ে লোকাল মিনিমাম অবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। তখন কণাগুলো আর এই বিন্দুতে থাকতে পারবে না। চলে যাবে অ্যাবসুলেট মিনিমাম শক্তির বিন্দুতে।আর সেই বিন্দুগুলো আসলে আলাদা আরেকটা মহাবিশ্বের (যেটা আসলে অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্ব) অংশ। তাই লোকাল অবস্থা ভেঙ্গে পড়লে (কুল্লুমান আলাইয়া ফান) আমাদের বর্তমান মহাবিশ্বের আর অস্তিত্ব থাকবেনা। এই মহাবিশ্বের সব উপাদান চলে যাবে আরেকটা মহাবিশ্বে।বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এই পদার্থ ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ার একটি কারন দেখিয়েছেন। তিনে সতর্ক করে বলেছেন মহাবিশ্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ঈশ্বর কণাখ্যাত হিগস বোসন কণার।হকিং দাবি করেছেন, উচ্চশক্তি স্তরে হিগস বোসন কণা ভারসাম্যহীন হয়ে উঠতে পারে। এই কণা অস্থিতিশীল অবস্থায় এলে তা ‘ধ্বংসাত্মক ভ্যাকুয়াম অবক্ষয়’ তৈরি করতে পারে, যাতে স্থান ও কাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কোনো আগেভাগে কোনো বিপদসংকেত টের না-ও পাওয়া যেতে পারে।সম্প্রতি স্টারমাস নামের একটি বই সম্পর্কে তথ্য জানাতে গিয়ে ঈশ্বর কণার সর্বনাশা বৈশিষ্ট্যের কথা জানান ৭২ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী।হকিং দাবি দাবি করেন, ১০০ বিলিয়ন গিগা-ইলেকট্রন ভোল্টসের বেশি শক্তি অর্জন করলে হিগস বোসন কণা ‘মেগা-স্ট্যাবল’ বা সর্বোচ্চ সুস্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছায়। এ কণা এরপর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

“আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮)
এই মহাবিশ্ব ধ্বংশ হয়ে যাবে। মহাবিশ্ব তার আসল রুপে পরিবর্তিত হয়ে ‘আমরা এবং পদার্থের সুত্র’ স্রষ্টা নামক আরেকটি মহাবিশ্বে প্রত্যাবর্তিত হবো এটাই আসলে শেষ কথা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×