বাচ্ছা কালে পড়ছিলাম পাগলে কি না বলে . আজকাল বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের কথা শূনে আমার মনে হয় পাগলও বলবে কেন তাদের উদাহরণ দিছে. . . . . . .। আসলেই ওই উদাহরণ পরিবর্তন করা উচিৎ।
বাংলাদেশের রাজনিতিকরা কি না বলেন.।.।এই নতুন উদাহরণ দেওয়া দরকার । (কারো যদি রেপারেন্স লাগে দয়া করে যে কোন দিনের একটা পেপার দেখেন আশা করি পেয়ে যাবেন )
আপনার আমাদের কি যে মনে করেন তা মনে হয় আপনারাও জানেন না.।। আমরা আর কি জানবো ?
আমরা আর কি বলবো , একটি গল্প বলি , এক ছেলে তার প্রতিপক্ষের হাতে আচ্ছামতো জুতাপেটা খেয়ে বংশের লোকজনের নিকট সহানুভূতি পাবার জন্য বললো, অমুক বংশের ওমুক আমাকে জুতা দিয়ে পিটিয়ে অসম্মান করেছে। এই কথা শুনে বংশের মুরুব্বীরা বললো, সাবধান, অসম্মান করেছে এই কথা বলবি না। শুধু বল, জুতাপেটা করেছে। কারণ আমাদের বংশের মানসম্মান এতো বড় আর এতো কঠিন যে কিয়ামত পর্যন্ত জুতা মারলেও আমাদের অসম্মান হয় না।
গল্পের মতো ,আপনাদেরও মানসম্মান এতো বড় আর এতো কঠিন যে কিয়ামত পর্যন্ত জুতা মারলেও আপনাদের আমাদের অসম্মান হয় না।
মাননীয় ক্ষমতাশীলরা আপনাদের মতো তো আর আমাদের দেশের মানসম্মান বেশী না যে কিয়ামত পর্যন্ত যেযাই করুক আমাদের অসম্মান হয় না।একটা স্বাধীন দেশের এক প্রহরীকে (নায়েক মিজানুরকে) দিনেদুপুরে নিজের দেশের মাটিতে ( নাইক্ষ্যংছড়ির পাইনছড়ি সীমান্তের ৫২ নম্বর পিলার এলাকায়) টহল দেয়ার সময় বিজিবির ওপর বিনা উস্কানিতে কয়েক'শ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে মায়ানমারের বিজিপি। ওইদিন নায়েক মিজানুরকে অস্ত্রসহ মায়ানমার বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং পরে হত্যা করে।অনেক তালবাহানা শেষ করে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ অবেশেষে ঘটনার ৪ দিন পর গত শনিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে ৫২ নম্বর পিলার এলাকায় বিজিবিকে নায়েক মিজানুরের লাশ ফেরত দেয়।
একটা লাশ ৪ দিন দরে খোলা আকাশের নিচে পচলও আপনারা নির্বিকার ছিলেন। মাননীয় ক্ষমতাশীলরা ওইটা বিজিবির লাশ ছিল না ওইটা ছিল বাংলাদেশ.।.।
বিজিবির সদস্যরা দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার পথ পেরিয়ে পরের দিন রোববার বেলা পৌন ১টার দিকে মিজানুরের লাশ ৫২ পিলার থেকে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ ব্যাটালিয়নে পৌঁছান এবং সেখান থেকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়না তদন্ত শেষে সোমবার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর দপ্তর মাঠে মিজানুরের প্রথম নামাজে জানাজা শেষ করে হেলিকপ্টারে করে মরদেহটি নিজ বাড়ি কুমিল্লাজেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভেলাহগর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষ করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় আপনাদের কারো যাবার সময়ও হয়নাই.।.।.।.।
নিজের চাকরীর সুত্রে এখন বিদেশ আছি ( যদিও আপনারাই পাঠাইছেন) বিভিন্ন দেশের কিছু সেনা কর্মকর্তার সাথে নিয়মিত কথা-বার্তা হয়। খুব তুচ্ছ লাগে নিজেকে যখন তারা গুলো নিয়ে কথা বলে। যদিও তারা ভালো করেই জানে আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা কেমন। খুব দুঃখ নিয়ে নিজের পরিচিত কিছু জুনিয়র আর্মি অফিসারকে (বান্দরবনের) ফোন দিছি.।.। একটাই উত্তর পাইলাম ওদের কিছুই করারা নাই।
মাননীয় ক্ষমতাশীলরা এরা ফেলনি না যে এরা মরলে দেশে মানসম্মানের কিছুই হবে না.। আমরা কি কাপুরুষ জাতি হয়ে যাচ্ছি ? দয়া করে এইবারের বাজেট থেকে কিছু বরাদ্দ রাখবেন কর্নেল এবং তাদের উপরের কর্মকর্তাদের (পা চাটা কুত্তা) জন্য শাড়ি কিনার জন্য। তাদের সেক্টরের সৈনিক মারা যায় তারা নিরিকার থাকে আশা করি তারা শাড়ি পড়ে আপনাদের অনেক সুন্দর তেল দিতে পারবে আর প্রমোশন পাবে.।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




