somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফটিকছড়িতে লাশের মিছিল

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফটিকছড়ির ভুজপুরে মাদ্রাসা ছাত্র, গ্রামবাসী এবং হরতাল বিরোধী মিছিলকারীদের মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশ, বিজিবি এবং দমকল বাহিনীর সদস্যসহ আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। দশ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও জিপসহ দুই শতাধিক গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভুজপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মাদ্রাসায় নাস্তিকদের হামলা, বড় হুজুরসহ মাদ্রাসা ছাত্রদের মারধর, ডাকাতি এবং মসজিদ পোড়ানোর গুজব রটিয়ে হরতাল বিরোধী একটি মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটে। আচমকা হামলায় দিশেহারা আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঘেরাও করে দা চুরি এবং কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেও অল্পক্ষণের মধ্যে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ এই হামলার জন্য জামায়াত শিবির, হেফাজতে ইসলাম এবং বিএনপির ক্যাডারদের দায়ী করেছে। পুলিশ দুইশ’ রাউন্ডেরও বেশি গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি এবং র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে। পুলিশ গতরাতে অভিযান চালিয়ে থানা জামাতের আমীর এবং ভুজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নুরীকে গ্রেপ্তার করেছে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো অভিযানটি মনিটরিং করছেন বলে রাতে শেষ খবরে জানা গেছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল হরতাল চলাকালে ফটিকছড়ির দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ির একটি বহর নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা ‘হরতাল, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য প্রতিরোধে ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল চেষ্টার প্রতিবাদে’ এক বিশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি জাফতনগর, আজাদী বাজার, নানুপুর, মাইজভান্ডার শরীফ, নাজিরহাট, বিবিরহাট সদর অতিক্রম করে কাজীর হাট বাজারে পৌঁছে ভূজপুর থানার সামনে থেকে ঘুরে পুনরায় ফটিকছড়ি সদরের দিকে ফিরে আসতে থাকে। আসার সময় কাজীর হাট বাজারে অবস্থানরত জামায়াত-শিবির কর্মীরা মিছিলটি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে। এই সময় মিছিলে ইট পাটকেল মারার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় কাজীর হাট এমদাদুল উলুম বড় মাদ্রাসার ছাত্ররা হামলা শুরু করে। মসজিদ এবং মাদ্রাসার মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় যে, নাস্তিকেরা আমাদের মাদ্রাসায় হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ ফটিকছড়ির ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বড় মাদ্রাসায় হামলা করে বুড়া হুজুরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্রদের মারধর করছে। নাস্তিকেরা মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীকে যার হাতে যা আছে তা নিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং জামাতের থানা আমীর শফিউল আলম নুরী মাইকে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কাজীর হাট এলাকাটি জামাত শিবির এবং হেফাজতে ইসলামের দুর্গ হিসেবে চিহ্নিত। প্রায় প্রতিটি ঘরেই এই দুইটি সংগঠনের নেতাকর্মী রয়েছে। মাদ্রাসা এবং মসজিদের মাইক থেকে নাস্তিক এবং ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলার খবর রটানো হলে গ্রামের শত শত নারী পুরুষ দা কিরিচ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পিঁপড়ার মতো ছুটে আসে গ্রামের নারী পুরুষ। সকলের হাতে ছিল দা কিরিচ ও ছুরি। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি কোপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের মিছিল। গ্রামবাসী এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্মিলিত হামলার মুখে যে দিকে পারে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু অত্যন্ত সরু রাস্তায় এত লোকের এক সাথে পালানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। তাছাড়া সামনের মোটর সাইকেল পড়ে গিয়ে পেছনের মোটর সাইকেলের পথ রোধ হয়ে যাচ্ছিল। গতিরোধ করা হয়েছিল মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার এবং জিপ গাড়ির। হামলাকারীরা সামনে যাকে পেয়েছে তাকে কুপিয়েছে। একের পর এক গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে অসংখ্য মোটরসাইকেলসহ দুই শতাধিক গাড়ি। দুপুর ২ টা থেকে বেলা পাঁচটা পর্যন্ত এক কিলোমিটারের মতো এলাকায় তাণ্ডব চলে। হামলাকারী নারী পুরুষেরা খুঁজে খুঁজে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কুপিয়েছে। একদল মানুষকে যে এভাবে কোপানো যায় তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর বলেও পুলিশের পদস্থ একজন কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতো মানুষের জন্য, কিন্তু গতকাল মানুষ রাজনীতির জন্য হয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্বাসে অন্ধ একদল মানুষ নিরস্ত্র মানুষদের উপর হামলা চালিয়ে ভয়াবহ রকমের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। মাত্র এক কিলোমিটার জায়গার মধ্যে প্রায় দুইশ’ মোটর সাইকেল পুড়ে পড়ে রয়েছে। পুরোপুরি ছাই হয়ে গেছে অনেক গাড়ি। মাইক্রোবাস, পাজেরো জিপ, প্রিমিও প্রাইভেট কার এবং জিপ গাড়িসহ দুই শতাধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই সময় দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে দেয়া আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। দমকল বাহিনীর গাড়িটি তারা পুড়িয়ে দেয়। দমকলবাহিনীর কর্মীদের স্থানীয় স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে ভুজপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হামলাকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে ভুজপুর থানা থেকে জেলা পুলিশের সহায়তা কামনা করা হয়। ফটিকছড়ি থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়। জেলা থেকে পাঠানো হয় পুলিশ। বিজিবি এবং র‌্যাবও মোতায়েন করা হয়। বিজিবিকে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। নোয়াখালী থেকেও পুলিশ পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। কয়েকশ’ পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি মিলে তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই সময় পুলিশ দুইশ’ রাউন্ডের মতো গুলিবর্ষণ করে বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশ বলেছে, আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে হামলাকারীরা। বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ পুলিশ, বিজিবি এবং র‌্যাব গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা সদরে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের এসপি একেএম হাফিজ আখতারসহ পদস্থ কর্মকর্তারা গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা গতরাতে দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, ‘এই বর্বরতা ৭১ সালকেও হার মানিয়েছে। মানুষ যে কিভাবে এত নির্মম হতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। পুরো এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ। পোড়া গাড়ি। বারুদের গন্ধ। এক কথায় ভয়াবহ। বীভৎস।’ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালি হাতে ছিল। তাদের হাতে লাঠি জাতীয়ও কিছু ছিল না। এক মোটর সাইকেলে তিনজন করে নেতা-কর্মী ছিলেন। আচমকা হামলার শিকার হয়ে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন নি অনেকেই। মোটর সাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে গাড়িতে আগুন এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। দা চুরি এবং কিরিচ দিয়ে তাদের কোপানো হয়েছে। মাঠে ঘাটে হাটে যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেখানেই হামলা চালানো হয়েছে।’ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করে। এরমধ্যে একটি লাশ উদ্ধার করা হয় স্থানীয় একটি কবরস্থান থেকে। পুলিশ আরো লাশ উদ্ধারের আশংকা প্রকাশ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও গুরুতর আহত ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক জানান, জামাত শিবির, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের ক্যাডারদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমাদের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। হামলাকারীরা জ্বালিয়ে দেয় মিছিলে অংশগ্রহণকারী দুই শতাধিক মোটর সাইকেল, দুইটি নোহা মাইক্রোবাস, ৪টি প্রিমিও কার, ৫টি জিপ, ৪টি পিকআপ। এর মধ্যে একটি নোহা গাড়ি আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের। পরে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আগুন নেভাতে গেলে জামায়াত শিবির ও হেফাজত ইসলামের কর্মীরা গাড়িটি পুড়িয়ে দেয় এবং দমকল বাহিনীর লোকজনকে স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ৭০ জনের মতো আহত নেতাকর্মীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত ১৭ জনকে নাজিরহাটস্থ ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিবির হাট ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১০ জনকে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৩২ জনকে। আরো কয়েকজনকে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে পুলিশের হাটহাজারীর এএসপি আ ফ ম নিজাম উদ্দিন, ফটিকছড়ি থানার এ এস আই ইকবাল, বিজিবি’র নায়েক সুবেদার অসিউর, ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হক, বখতপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুল আজম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন, কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলম, যুবলীগ নেতা লোকমান এবং বাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুজপুর থানার পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় নানুপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন (৩০), সুন্দরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ লোকমান (৩২) নামে দুই ছাত্রলীগ কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জামালউদ্দিনের লাশ পাওয়া গেছে ভুজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি কবরস্থানে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মারা গেছে লোকমান পার্শ্ববর্তী একটি হিন্দু বাড়িতে। বখতপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৫) টিপাইনগর ছাত্রলীগ নেতা পেয়ারু (৩০) এবং জাফতনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান (১৮) মারা যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে। পুলিশ আরো লাশ উদ্ধারের আশংকা প্রকাশ করেছে। পুলিশ বলেছে, অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত অবস্থায়ও কাউকে কাউকে আটকে রাখা হয়েছে। একটি লাশ কবরস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা লাশ গুমেরও চেষ্টা করেছে।
ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগ হাসান সরোয়ার জানান, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অনেকেই এলাকায় আটকা পড়েছে। কাজীর হাট এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিবির ও হেফাজত কর্মীরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের উপর আক্রমণ করেছে।
এদিকে ঘটনার পর ভুজপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিস বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা হাসান সরওয়ার আজম জানান, ভুজপুর এলাকাটি জামায়াত-শিবির ও হেফাজত অধ্যুষিত। এই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম নূরীও জামায়াত শিবিরের শীর্ষ নেতা। কাজীর হাট এমদাদুল উলুম বড় মাদ্রাসাটি উত্তর ফটিকছড়ির জামায়াত শিবির ও হেফাজতে ইসলামের প্রধান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সে কারণে মাইকে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীও যোগ দিয়ে নজিরবিহীন তান্ডব শুরু করে।
ঘটনার ব্যাপারে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আখতার রাতে ভুজপুরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে। চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী থেকে আসা পুলিশের দল পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালাচ্ছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে বিজিবি এবং র‌্যাব। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গতকালের হামলার ঘটনার ব্যাপারে থানায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলেও রাতে শেষ খবরে জানা গেছে।


খবর সুত্র - দৈনিক আজাদী
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×