আওয়ামীলীগ আপাতত কোমায় চলে গিয়েছে আগামী ২০ বছরে দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না সন্দেহ, তাহলে বাকি থাকলো বিএনপি এবং জামাত। বাংলাদেশের মানুষ প্রচুর ধর্মভীরু হলেও রাজনীতিতে তারা আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির উপরেই ভরসা রেখে আসছে তাই আগমী নির্বাচনে বিএনপি'ই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে সে জন্য তাদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানানো যেতেই পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আমি অবশ্য খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না, মাত্র ৬ মাস ১ বছর সময়ে এরা কি'ই বা করতে পারবে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার একটাই চাওয়া তারা যেন একটা অবাধ এবং সুষ্ঠূ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেয় আর তা যদি হয় তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বিএনপি ক্ষমতায় আসছে এবং জামাত বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। পরবর্তী টার্মে জামাত হয়তো সরকার গঠন করবে তখন বিএনপি হবে বিরোধী দল, বিএনপি এবং জামাতের হাতেই মূলত বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিহীত রয়েছে। এই হচ্ছে আমার রাজনীতির সহজ সমীকরণ।
এখন দেখার বিষয় নতুন কোন চমক আসে কি না এবং বাংলার জনগণ তাদের কিভাবে গ্রহণ করে।
আমার ধারণা বিএনপি এবার ক্ষমতায় আসলে আগের মত দূর্ণীতি কারার সাহস পাবে না, আর জামাত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা বিএনপির চেয়ে অনেক কম দূর্ণীতি করবে, কারণ জামাতের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই বললেই চলে। তাই দূর্ণীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে জামাতের বিকল্প কিছু নেই।
নূর হোসেন অবশ্য দাবী করেছে আরেকটি দানব সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য শিক্ষার্থীরা জীবন দেয় নি, সে হয়তো বিএনপির দিকেই ইঙ্গিত করেছে, কিন্তু কথা হচ্ছে দেশের জনগন কোন সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে বা না আনবে তা কি নূর হোসেনরা সিলেক্ট করে দিবে? যদি তাই হয় তাহলে শেখ হাসিনা আর নূর হোসেনদের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কি?
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৭