৫ই আগষ্ট। আগামী কয়েক দশকের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপুর্ন দিন। এই দিন থেকে শিক্ষা হচ্ছে - আপনি যদি রাজনীতি না করে রাজনীতির নামে দুর্বৃত্তায়নে লিপ্ত হন তাহলে আপনাকে একদিন পালিয়ে যেতে হবে। এই দেশে দানবদের ঠাই হয় না।
জামাতে ইসলাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের যে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে কনসার্ন ছিলো, আবেগী ছিলো বা যাদের রাজনৈতিক মানদন্ডে মুক্তিযুদ্ধ নামক একটি আদর্শিক বাটখারা ছিলো -আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তারা কালের অতলে হারিয়ে হারিয়ে যাবে বা রাজনীতিতে হয়ে উঠবে অপাংতেয়।
আমাদের জুলাই প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এর ভুমিকা ও মহত্ব কাগজে কলমে থাকলেও আদর্শগতভাবে নেই। সময়ের প্রবাহে, রাজনৈতিক তত্বীয় ব্যাখ্যা ও আঞ্চলিক জিওপলিটিক্সের মারপ্যাঁচে মুক্তিযুদ্ধকে একটা ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাবলীর অংশ হিসেবে দেখার প্রবণতা বাড়ছে। ধীরে ধীরে প্রমান করার চেষ্টা হবে - মুক্তিযুদ্ধ কোন মুক্তির সংগ্রাম ছিলো না বরং একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক গিফট‘ - যা বাস্তবায়িত হয়েছিল কিছু কৌশলগত শক্তির স্বার্থে।
ফলে এই প্রক্রিয়ায়, ‘জুলাই’ নিজেও একদিন হয়ে উঠবে একটি বিক্রয়যোগ্য পণ্য—যেমন মুক্তিযুদ্ধকে পণ্যায়ন করা হয়েছে। তখন ইতিহাস থাকবে, আদর্শ থাকবে না। থাকবে কেবল ব্যবস্থাপনা আর ব্র্যান্ডিং।
এর পর একদিন ইতিহাস আবার ফিরে আসবে। সেদিন কে পালাবে আবার জুলাই-ই বলে দিবে।
এই জুলাইয়ে যে সকল মানুষ অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন আমি সকলের আত্মার শান্তি কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


