somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা জননী, পুত্র সামলাও

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গরুর গাড়ীর রশি ছাড়িয়ে গাড়োয়ান নানার হাতে মার্ক টু’র স্টিয়ারিং ধরিয়ে দিলে নানা তো রাস্তা ফেলে খালের দিকে ধেয়ে যাবেনই। দোষ কার? মার্ক টুর? রাস্তার? খালের? নাকি নানার!!?
কমন সেন্স তো বলে দোষ নানার অহেতুক পদন্নতি যে ঘটিয়েছে তার। নানার দোষটা কোথায়? নানার এক পা কবরে, টেম্পার শেষ, তার উপরে মার্ক টু। সাধ্যের বাইরের ব্যপার। তার পরেও চেপে চুপে বুড়ো ভামটাকে স্টিয়ারিং ধরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে মখ মলের গদিতে। ফল তো ভুগতেই হবে। বীর বাঙ্গালী ফল ভোগো…...।।
যাদের মাথা এখনো খেলছে না, যারা এখনো কাওমি মাদ্রাসার মত একটা বিষ ফোড়াকে নিরীহ “পিম্পল” রুপে দেখছেন, তাদের মাথায় আলতো হাতের চাঁটি বসাবার সময় হয়েছে। কারন আপনারাই আমাদের দেশের সেই সব সাধারন ধর্মপ্রান মুসলমান যাদের চাঁদার টাকায় পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে নগরের অলিতে গলিতে ব্যঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে কাওমী মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসাগুলো যারা চালায় এবং এগুলো থেকে যারা উৎপন্ন হয় এদের সবার মোনভাবের সাথে শফি হুজুরের মোনভাবের বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই। আর এদের হাতে ইয়াহুদি নাসারাদের আবিষ্কৃত ইন্টারনেটের সহজ লভ্যতা সেই প্রবাদ বাক্যেরই জন্ম সার্থ্যক করেছে।
“বাঁদরের গলায় মুক্তার মালা”।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ত রাজনৈতিক স্বার্থেই তাদের “জননী” সম্ভাষণ মেনে নিয়েছেন। ভোটের সার্থে আওয়ামীলীগের অনেক নেতা বা মন্ত্রীকেও দেখা গেছে তাদের পক্ষে গান গাইতে। তারাও তাদের কিছু কিছু “কাওমি মাধ্যম” গুলো থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন করেছে। মাঠে ঘাঠের সমর্থন দেখে এটা নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই যে ওরা সিলটা নৌকাতেই মেরেছে। যেখানে হেফাজতে ইসলামের ভেতরে থাকা চরমনাই পীর হাতপাখা মার্কায় স্বতন্ত্র লড়েছেন। যাদের লক্ষ ইসলামী শারিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা বা কায়েম করা। আর সারা বাংলাদেশের যে কোন কাওমী মাদ্রাসার যে কোন ছাত্র বা শিক্ষকের প্রানের দাবিও ওই একটাই, বাংলাদেশ শারিয়া ভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠবে। সুতরাং আমার মনে হয় না কাওমী মাদ্রাসার ভোটাররা নৌকার পালে হাওয়া দিয়েছেন। ওদের বুঝ হওয়ার পর থেকে যে মতবাদ ওরা ধারন করে এসেছে তা কয়েক মাস আগের দেয়া সম্মানের কারনে ত্যগ করতে পারবে না। যদিও শুধুই সম্মানের জোরে তাদের গুরু শফি হুজুর "মা জননী" বানায়নি। মানবজমিনে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ‘অবশেষে রেলওয়ের ৩২ কোটি টাকার জমি গিফট দেওয়া হচ্ছে হেফাজত ইসলাম নেতা আল্লামা শফীকে। হাটহাজারী মাদ্রাসার নামে দুই বছর আগেই জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে।...রেলওয়ের জায়গাটি নিজেদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন আল্লামা শফী।’ (মানবজমিন, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪)
মানবজমিন
আর এই শফি হুজুরের অতীত কর্ম ভুলে গেলে চলবে না।ওনার খালেদা প্রীতি বা সাইদি প্রীতি দেখলে এত টুকু নিশ্চিত বোঝা যায় ৭১ সালে আর যাই করুক মুক্তি যোদ্ধাদের পক্ষে কিছু উনি করেন নি। তা ছাড়া কাওমি ছাত্রদের চোখে উনার মহান মহান অবদান গুলোর মাঝে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে “নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসী” অতি ভয়ংকর, রীতিমত জঙ্গি ধরনের কিছু প্রাণী যারা বাংলাদেশের জন্য এই মুহুর্তে সব চেয়ে বড় সমস্যা তাদের বিরুদ্ধে ব্জ্র হুঙ্কার।
১৮ এপ্রিল ২০১৪ তে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ইসলামি মহাসম্মেলনে আল্লামা শফী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন 'নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।' তিনি আরো বলেন, আমরা তোমাদের প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিই নাই, শুধু শুধু আমাদের দিকে চোখ বড় করে তাকাও কেন? নাস্তিকরা তোমরা মুরতাদ হয়ে গেছ, তোমাদের কতল (হত্যা) করা আমাদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে।
প্রথম আলো
(নাস্তিকদের কতল করা মোটেই ওয়াজিব নয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন আলেমের বিশদ ব্যখ্যা আছে। ইসলাম বলেনা নাস্তিকদের মেরে ফেলতে।)
দেশটা যে কারও বাপের না সেটা ভুলে গেছেন।দোষ বয়সের।
অবশ্য এর আগেই একটুর জন্য বাংলার মা বোনদের ভেজা ঝাটার বাড়ি থেকে কোন মতে গা বাচিয়ে নিয়েছিলেন তেতুল তত্ত্বের নুরানি ব্যখ্যা দিয়ে। নির্লজ্জের মত সাফাই গেয়েছিলেন “তেতুল” তুলনা করতে গিয়ে বলেছেন, নারীদের বলেন নি। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, আহমদ শফীর বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।হেফাজত আমির স্থান কাল পাত্রভেদে ওয়াজের কৌশল অবলম্বন করে আসছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের বোধোদয়ের জন্য ওয়াজে বিভিন্ন উদাহরণ দেয়ার কৌশলটি অতি পুরনো। যুগ যুগ ধরেই তা চলে আসছে।
বাংলা বিডি নিউজ
আমি নিশ্চিত শফি হুজুর এই বার যা বলেছেন সেটার জন্য একই ব্যখ্যা আসবে।আহমদ শফীর বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
দেশটা যে কাওমী পাস ছাগল দিয়ে ভরা না সেটাও বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলেন। ছাগল বলছি বলে খারাপ লাগছে। দাঁড়ান উদাহরণ দেই। এক জনসভায় শফি ইহুদীদের উৎপাদিত মুসলিম ধ্বংসকারী মোবাইল ফোনের উৎপাদনকে সমাজের অস্থিরতার কারণ বলে অভিহিত করেছেন। মোবাইল ফোনের কারণে মানসিক অস্থিরতা, অশান্তি ও সন্তান ও স্বামীকে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এই ইয়াহুদ (ইহুদি) আমাদেরকে ধ্বংস করার জন্য চাইতেছে মোবাইলিজম সৃষ্টি কইরা। আপনারা আমার মতে একমত নি?
এন টি ভি, বিডি
সামনে বসা শ্রোতাদের সমশ্বরে চিৎকার, “একমত”।
এতটুকু হলেও মানা যেত, কিন্তু এর পর পরই হাটহাজারী মাদ্রাসায় পোড়ানো হয় ৫ শতাধিক মোবাইল সেট
যুগান্তর
এবার কোন যুক্তিতে ওদের ছাগল বলবো না???
এখন আপনারা যারা ধর্মপ্রান মুসলমান, যারা দেশে বিদেশে নিজের শ্রম দিয়ে মেধা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন এবং পরকালের অশেষ নেকি হাসিলের লক্ষে আপনার ঘরের পাশে বা দেশের বাড়ির কোন কাওমি মাদ্রাসায়, এতিম দুস্থ ছেলেদের দ্বিনি জ্ঞান অর্জনের জন্য সেই অর্থের কিছু অংশ দান করছেন তাদের প্রতি একটা অনুরোধ রাখবো। দান করছেন করেন, কিন্তু তার সাথে সাথে আপনার ছেলেকেও একই কাউমি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিন আর আপনার মেয়েকে স্কুলে না দিয়ে আপাদমস্তক কালো কাপড়ে ঢেকে ফেলুন। যদি না পারেন তাহলে অহেতুক এই দানের নাটক করার কোন মানে হয় না। আপনি নিজের ছেলেকে স্কুলে পড়াবেন আর এতিম দুস্থদের জন্য বানিয়ে দিবেন কাওমি মাদ্রাসা!!! যেখানে আপনি আপনার নিজের ছেলেকেই পাঠাবেন না। আপনার মেয়ে বেনি দুলিয়ে স্কুলে যাবে আর আপনার দানের অর্থ তৈরি করবে হাজার হাজার শফি হুজুরের চেলা যারা বাংলাদেশের কোন না কোন গ্রামের কোন না কোন অসহায় গরীব মেয়ের পড়ার অধিকার কেড়ে নেবে।

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

NVR (No Visa Required) এর জন্য জেনে রাখা দরকার

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯
×