somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ: রাজনৈতিক মারামারি

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রসঙ্গ: রাজনৈতিক মারামারি

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

পাতি নেতা বা স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা রাস্তা ঘাটে মারামারি বেশি করে থাকে ,এক কথায় যারা মন্ত্রী, এমপি এবং স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের চাটুকার। সোজা বাংলায় ব্যাকরণ ছাড়াই লিখি আমি. আমার ভাবনা গুলি লিখছি শিরোনাম প্রসঙ্গে।এক দল যখন অন্যদের মারে ,যেভাবে খুশি মারে ,হাত ভাঙলো ,পা ভাঙলো,চোখ গেলো ,অন্ডকোষ গেলো তার দিকে খেয়াল নেই,অনেকে মেরেও ফেলে।কি পৈশাচিক আচরণ,ক্ষমতাসীন দলের বাড়তি পাওনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে ,সহযোগিতা করে,আর কিছু না হোক শেষে আহত দেহটাকে টেনে হিঁচড়ে হাসপাতালে নেয়ার দায়িত্ব পালন করে। এখানে সরকারি বাহিনীর একশনের কথা আনলাম না ,সে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কথা গুলি বলছিলাম ,কি করে পারে এমন নির্দয় ভাবে মারতে,জান নিতে! ঢাকা পলিটেকনিকে পড়ার সময় চন্দন নামের এক নেতা ১৯৯২ সালে যখন অনেক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জেলে কিংবা কেউ ওপরের হাতে খুন হয়েছে, তখন আকস্মিক ভাবে চন্দন নামের সুদর্শন সেই নেতার আগমন,জহির রায়হান হলের টিভি রুমে সবাইকে জড় করা হয়, সে সময় কেউ নাকি চাঁদাবাজি করেছিল বেগুন বাড়ি এলাকায়।তাই চন্দন' রা তাদের পিটায় ,এখন চন্দনদের না জানিয়ে করার কারণে হোক আর উঠতি নেতার পাখনা ভেঙে দিতে হোক,সেই জঘন্য রাতের নৃশংস মারা হয়েছিলো। সেই রাতের সেই অত্যাচার টিভি কক্ষে দেখতে হয়ে ছিল.সে মার্ দেখে আমার বুক মোচড়িয়ে উঠেছিল।বন্ধু লিটনকে বলেছিলাম, আমার বমি আসছে,মাথা ঘুরছে । আমার জীবনে দেখা সেই প্রথম লাইভ এক পক্ষীয় মারের দৃশ্য সেটা।তার পর, দিন বদলের পালায় অনেক মারামারি দেখেছি,আর বমি ভাব হয়নি । এক পক্ষ যখন অন্য পক্ষকে মারে বেশির ভাগ সময় যে কোন একজনকে ঘিরে ফেলে ইচ্ছা মতো পিটায় ,আর দুই দলে হয় চিৎকার, ধর ,ধর,ধর ,দৌড়ে হেরে যায় যে, সে হয়তো মরবে,নইলে পঙ্গু হবে.কোথায় নেতা,কোথায় বড় ভাই ,ক্ষমতাসীন দলের স্নেহভাজন হলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়,নইলে কার জন্য এই রক্তপাত,কার জন্য এই অঙ্গহানি,মা বাবা কত অসহায় এই ক্ষেত্রে। আজকাল যদিও কিছু বাবা মা চায় ছেলে সন্ত্রাসী হোক,চাঁদাবাজ হোক,রাজনীতি করুক। সবাই নয়,খবর নিয়ে দেখুন,এমপি মিনিস্টারের বড় রাজনৈতিক নেতার সন্তানেরা পড়া শুনা শেষ করে এসে আবার নেতা হয়. তও গোনা,ব্যাসায়ী হয়, কালোবাজারি আর সাদা বাজারি,আর যারা পথে তথাকথিত রাজপথে থাকে ,তাদের ঠিকানা হয় প্রবাসে না হয় দেশের ফুটপাতে,আর জেলে। তাহলে কার জন্য এই মারামারি? রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য এখন টেন্ডার বাজি বা ঠিকাদারি,সরকারের খাস জমি দখল ,অন্যের ভূমি দখল , সরকারি কাবিখা ,গাবি খা ,গোডাউনের মালা মাল লুটে পাট বা কম দামে বেচা কেনা, কমপক্ষে এলাকায় একটা ঠাঁট -বাট ই রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। ১/১১ তে অনেকে মাইনাস ওয়ান,মাইনাস টু র চিন্তা করে হারিয়েছে অস্তিত্ব,বিড়ালের মতো অনেক বছর পর নতি স্বীকার করেছে ,অত্যাচারের ভয়ে । এটা হলো একেবারে শীর্ষের কথা। তার পর ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে আসলে দেখা যাবে নেতারাই নেতা,কিংবা হটাৎ কোন শিল্প পতি নেতা,অথবা শতকরা দু একজন ফ্যামিলি বেক আপ নিয়ে নেতা হচ্ছে তাও গন্ডির মাঝে। দেশের সেবা করার জন্য নেতা হবে রাস্তা ঘাটে মারামারি করে এ ধারণা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা। যারা রাস্তায়,কলেজে ,ক্যাম্পাসে মারা মারি করে হাত পা ভাঙছে ,খুন করছে তাদের ঠিকানা কোথায় হচ্ছে,তা অনেকের জানা। মুখে সুস্থ্য রাজনীতির কথা বলে মারামারি, ভাঙচুর,জ্বালাও পোড়াও যদি হয় রাজনীতি ,তাহলে কিছু বলার নেই। সারা জিবন আমার ভাই তোমার ভাই করে যাওয়া ছাড়া অন্যের পোষ্য হয় ছাড়া কিছুই হবে না. তৃণ মূল থেকে কেউ উঠে আসবে না ,আর আসতে দেবেও না। রাজিনতির ইতিহাস পড়ে, জেনে কয় জন আর রাজনীতি করছে। মনে পরে গেলো হেফাজতের কথা ,ব্লগার কি প্রশ্নের জবাবে ,সাক্ষাৎকারে বলেছিলো,,ব্লগার দিয়া ইন্টারনেট চালায় !আজকালের রাজনীতির নামে যারা পথে ঘাটে মারামারি নিয়ে ব্যাস্ত তারা আর তাদের চেয়ে কি বা আলাদা।



একটু সমসাময়িক জঙ্গি আতঙ্কের কথা দিয়ে শেষ করছি, কেন এই খুন হত্যা ,এ কোন ধর্ম বা শরিয়া আইন বা ইসলামিক শাসন ব্যাবস্থা কায়েমের সাধারণ মানুষ খুনের উৎসব। মনুষত্ব্য মানবতা কেন হারিয়ে গেলো হটাৎ করে ! এভাবে ধর্মের সুনাম করা হচ্ছে নাকি দুর্নাম।মগজ ধোলাই যারা করছে তারা কারা ,সবাই কিআই ,এস এর দোসর। আচ্ছা মানুষ মারতে এদের মনে একটুও করুনা জাগে না কেন?এদের সুপথে আনবে কে ? জঙ্গিরা লুকিয়ে মানুষ মারে। লুকিয়ে কারা মানুষ খুন করে,প্রতারণা করে মানুষ মারে নাকি কাপুরুষ,আবার মাঠে ময়দানে স্কুল কলেজে ,রাজনীতির অঙ্গনে কয়েকজন মিলে একজনকে মারা কোন সুপুরুষের লক্ষণ।আর কেনইবা এতো মারামারি খুনাখুনি,নিজেরা নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে ঊত্তর জানা জরুরি।



সিঙ্গাপুর ,২৮-৭-২০১৬ ইং

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×