অসিত আলখেল্লায় মোড়ানো জিবনী,
আর দূর্বল বেষ্টনী ঘেরা চরিত্র,
মিশ্রিত করে বুকে জমায় কালো ছাই।
ঘুম ঘুম চোখে অতিবাহিত নিরব রাত,
আর দুষ্প্রাপ্য নির্জনতার সমাপ্তি,
বুকে জমায় আতংক।
চারিপাশের মানুষ, আমি এবং প্রত্যেকেই সামাজিক অবকাঠামোকে দুর্বল করে তুলছি নানাভাবে। একটি শ্রেণীর আর্থিক শক্তি এবং অন্য একটি শ্রেণীর আর্থিক দূর্বলতা আমাদের ক্রমাগত একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। যুগ যুগ ধরে এই বৈষম্য আমাদের পীড়া দিয়ে গেলেও বিশ্বায়নের এই যুগে এসে ‘সবাইকে ছাড়িয়ে আমিই সেরা’ এই কুসংস্কারটি ভিত্তিহীন। এই দুর্বলতার পিছনে অনেক কারণ জড়িয়ে রয়েছে। পর্ব আকারে নিজের চিন্তাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
প্রথম পর্বঃ ছোটবেলা থেকেই আমরা ‘মানব সেবাই পরম ধর্ম’ এই পুথিগত বিদ্যাটি রপ্ত করি। বিদ্যালয় এবং শিক্ষকসহ শিক্ষার সকল উপকরণেই মানব সেবা নিয়ে সরল একটি ধারণা পাই আমরা কিন্তু বাস্তব চিত্রে তেমনটা দেখতে পাই না বললেই চলে।
সমাজের বা দেশের সেরা চরিত্রগুলোকে আমরা মানব সেবার ধর্মে নিয়োজিত হতে দেখি না। তাহলে এদের ছোটবেলার শিক্ষা কি ভুল? আবার এরাই যখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা এবং নতুন নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা গৃহীত করে সেটাই বা কতটুকু সঠিক? যে মানুষগুলো তাদের ছোটবেলার শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে এসে প্রতিফলিত করতে পারেনি তারা আবার কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার অভিপ্রায় দেখায়? নিজেদের অক্ষমতা সমাজের উপর চাপিয়ে দেওয়াটাই কি আপনাদের মানব সেবা? ভেবে দেখবেন…
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:২৬