somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই বঙ্গীয় জনপদের যত মশকরা

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৭ মার্চে একটা ঘটনা ঘটেছিলো। নারীর শ্লীলতাহানি বিষয়ক ঘটনা। ভিকটিম এ বিষয়ে তার ফেবু আইডি থেকে তার সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি শেয়ার দেয়ার সাথে সাথেই নীল সাদা দুনিয়া বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে ব্যাপক হুলুস্থুল পড়ে যায়। অধিকাংশ আইডির মালিকই যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করে বসে এই ঘটনার বিরুদ্ধে। ভার্চুয়াল প্রতিবাদ বিপদসীমার ওপর দিয়ে যখন প্রবাহমান, তখন কর্তাব্যক্তির ঘোষনা আসে, 'ঘটনার ফুটেজ আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।' কর্তাব্যক্তির ঘোষনার পর থেকে আপামর জনসাধারণ অতীতে বিটিভি নামক চ্যানেলে শুক্রবারে প্রচারিত কাঙ্খিত পূর্নদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবির মাঝে অনাকাংখিত বিজ্ঞাপন ঢুকে পড়লে যেমন বিজ্ঞপন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় হা করে বসে থাকার মতো বসে আছে। কিন্তু কর্তাব্যক্তির ঘোষনার পর যে বিজ্ঞাপন শুরু হয়েছে তা আজ অবধি শেষ না হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।আমরা সবাই হা করে বসে আছি। এর মধ্যে আবার আনন্দ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বঙ্গীয় জনপদ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের সম্মান পাওয়ার অপার আনন্দ। আনন্দের দিনে মানুষ তার শোক দুঃখে কথা ভুলে যায়। আসুন আমরাও আনন্দ করি অদিতির কথা ভুলে গিয়ে। বিজ্ঞাপন শেষ হলে কর্তাব্যক্তি এসে নাহয় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন। আনন্দের খবর আরও একটুকরো আছে। সেটা হচ্ছে আসন্ন ২৯ মার্চ এদেশের বিষন্ন বিরোধী দল আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এই ডাকে আমি আনন্দ পাই নি। তবে আমার হাসি পেয়েছে। কারন অধিক শোকে মানুষ নাকি হাসে। দূর্নীতীর দায়ে সাজা হওয়া নেত্রীর মুক্তির দাবীতে আন্দোলনে ঢাকা কাপিয়ে ফেলার ঘোষনাটা অধিক শোকে হাসার মতোই কিছু একটা। যাই হোক শুধু মাত্র হাসি কথাটার জন্য আমি শোক শব্দটা এডিট করে আনন্দ বানিয়ে দিয়েছি। আমাদের এই বিরোধী দলটা খুব নম্র ভদ্র একটা বিরোধী দল। তারা খুব একটা আন্দোলন করেনা। সাওতালদের সাথে তামাশা হলো তারা আন্দোলন করেনি, পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশের হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে, তবুও তার আন্দোলন করনি। সাগর রুনী হত্যা ধামাচাপা পড়ে গেলো, তুবও তারা আন্দোলন করেনি। চাল পিয়াজের দাম রুই কাতলার মতো লাফালাফি করলো তবুও তারা আন্দোলন করেনা। এরা শুধু তাদের নিজেদের একটা দাবী আছে সেটার জন্য অান্দোলন করে। কত ভালো এরা ভাবা যায়!এগুলো জনসাধারনের ন্যাটা, মানুষের ন্যাটা তারা পায়ে পাড়া দিয়ে গায়ের ওপর নিবে কেনো? এসবে তাই তারা হাউকাউ করেনা।এরা শুধু তাদের নিজেদের একটা ন্যাটা আছে। তা হলো তত্ত্ববাধায়ক সরকার ন্যাটা। এর জন্যা তারা একটু আধটু কথা বলে।আন্দোলন করে।কত ভালো একটা বিরোধী দল আমাদের ভাবা যায়! কারো( জনগনের) সাতে পাচে নাই। শুধু নিজেদের জন্য একটু নড়াচড়া করে। কিন্তু এদের নড়াচড়ায় এরা অনেক কিছুই নড়বরে করতে চায়। এই যেমন মুক্তিযুদ্ধে সঠিক ইতিহাস নড়বড়ে করে সেখানে দুই লাইন মিথ্যা ঢুকিয়ে দিতে চায়, ১৫ আগস্টের সঠিক বৈশিষ্ট নাড়বড়ে করে সেখানে দুই লাইন মিথ্যা ঢুকাতে চায়, মানুষের অসাম্প্রদায়িক চেতনা নড়বড়ে করে সেখানে মোল্লাতন্ত্রের মন্ত্র ঢুকাতে চায়। তাদের এই চাওয়া পাওয়ার মতো অনেকেই অনেক কিছু চায়। কেউ কেউ পায়। এই যেমন পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পায়। পাঠ্যবই থেকে কতিপয় লোক অসাম্প্রদায়িক কবির কবিতা উঠিয়ে দিয়ে মোল্লা চেহারার কয়েক পাতা চেয়ে তা পায়, কেউ গনভবনে এককাপ চায়ের দাওয়াত না চাইতেই পায়। আবার অনেকে অনেক কিছু চেয়েও পায়না। এই যেমন নিহত ব্লগারের পরিবাররা ব্লগার হত্যার বিচার পায়না। তাদের বিচার চাইলে তেতুলগুলো ওদের নাস্তিক বলে তাদের হত্যাকে জায়েজের কাতারে ফেলে দিতে কাতরায়। কর্তাব্যক্তিরাও তাদের কাতরানিতে নিরব ভূমিকা পালন করে তাদের আশকারা দিয়ে মশকরা করে। এভাবেই কত মশকরা যে চলছে এই বংগীয় জনপদে তার ইয়ত্তা নেই।এই বঙ্গীয় জনপদে যত মশকরা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×