somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ; ধুম্রজালের আরেক অধ্যায়

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইশতেহারের ৩৫ দফার মধ্যে ৩২ দফায় ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে-
1. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে,
2. মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা হবে,
3. সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে.
4. মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ দের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে.
5. মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে.

আমি কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোন রাজনৈতিক দলের দালালও নই, তবে একজন নাগরিক হিসাবে কিছু বাক স্বাধীনতা ও সমালোচনার করার অধিকার আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার নিয়ে কিছু না বলে আর পারলাম না ………
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে
এই কথায় মধ্যে তেমন কোন নতুনত্ব কিংবা গুরুত্ব নেই, ইশতেহার কথার অর্থ যদি হয় গুরুত্ব, তাৎপর্য তাহলে আমি বলব ঐক্যফ্রন্ট সেই গুরুত্ব ও তাৎপর্যের সামান্যতম বোঝার চেষ্টা করনি। সকল রাজনৈতিক দলের মত বাংলাদেশিদের বোকা বানানোর অভিপ্রায় মাত্র। ভোট হাতানোর জন্য সফটকর্নারে আঘাত করে ভোট হাতিয়ে নেওয়া, আসলে অ্যানালগ পলিটিক্স, অ্যানালগ থিংকিং। এভাবে যদি ইশতেহার তৈরি করে জনগণের কাছে ভোট চাওয়া হয় আর সেই চাওয়ায় সাড়া দেওয়া মানে ইশতেহার না দেখে আগামী ৫ বছরের কথা না ভেবে নিজের স্বার্থের কথা ভেবে সমর্থন করা মাত্র।
কিভাবে সম্ভব?
আমি ধরে নিচ্ছি সচকিত নয়নে এবং দুর্দৈবক্রমে ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলেন, এখন আমারা যেহেতু দেখছি কে প্রধানমন্ত্রি এবং কে রাষ্ট্রপতি হবে সেইটা এখন নিশ্চিত হয়নি পরবর্তীতে সংসদে ঠিক হবে, তাহলে কি আমি ভাবতে পারি না? প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ঐ ২২ জন জামাত নেতার থেকে হতে পারে না? যদি হয় তাহলে কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে আমার বোধগম্য বা বিশ্বাস যোগ্যতা আসে না। আপনি হয়ত আমাকে আওয়ামী লীগের দালাল হিসাবে গালি দিতে পারেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতা আমি আসলে যেটা বলার চেষ্টা করছি সেটা হল ইশতেহার হল একটা দলের আগামী ৫ বছরের কর্মকাণ্ডের আয়না। তাহলে সেই আয়ানায় কি প্রতারককে সাথে রেখে প্রতারনার‍্ ছলচাতুরী মাত্র? BNP এর মত একটা বড় দল ঐক্যফ্রন্টে সাথে থেকে এই ধরণের ইশতেহার দিয়ে আওয়ামী লীগের ২০৪১ সালের সনদের কাছে কি এমন ব্যতিক্রম জিনিস নিয়ে আসল আমার বোধগম্য নয়, মানুষকে আসলে আমারা যতটা বোকা মনে করছি মানুষ কি আসলে অতটা বোকা আছে?
আমি বলব উপর্যুক্ত ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য আমার মনে হয়না রাজনৈতিক দলের পরিবর্তনের দরকার আছে, আমি পরিবর্তনের কথা মাথায় আনতাম ঐ সময় যখন ঐক্যফ্রন্ট দেশকে একটা সম্ভাময়ের হাতছানি প্রতিশ্রুতি দিত তাহলে।
এই ইশতিহারে মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই নেই, যদি মুক্তিযোদ্ধা মানে দেশের সকল সাধারণ মানুষকে বোঝায় সেখানেও আপত্তি থাকে কারণ ১৯৭১ সালে মানুষ ছিল ৭ কোটি (প্রায়), আর এখন ১৭ কোটি (প্রায়), তারমানে বাড়তি ১০ কোটি মানুষকে বাদ দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে, যেটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়।
সুতরাং আমি আগামী ৫ বছর দেশের উন্নয়ন না হয়ে নিম্নোক্ত কাজ হোক এইটা চাই না
 মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনা নিয়ে মানুষকে নতুনভাবে আবার সচেতন করে তোলা যা আছে তাতেই হবে।
 সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে নতুনভাবে নিজেদের মনের মত করে নিজেদের নাম ঢুকান।
 মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ দের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কোন দরকার নেই
 মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যা আছে তাতে বৃদ্ধি আমার মনে হয় না কোন মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি আছে।
 সরকারি চাকরির কোন বয়স নেই এত ভাল অফার না দিয়ে যদি বলত চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ হত তাহলেও কিছুটা আশাবাদী হতাম যে তারা ভাল কোন কাজের চিন্তা করছে কিন্তু বাস্তবতা হল মুখের সামনে তেঁতুল রেখে লোভ দেখানো, এতে জিভে জল আনলেও মনে হয় না কোন কাজে আসবে।
ভাই আমি চাই দেশের উন্নয়ন, ব্যক্তিক নয়। চাই শান্তি পালাবদলের মাধ্যমে অনিশ্চয়তায় যেতে চাই না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৩
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×