বাংলাদেশ বিমানে এ পর্যন্ত বেশ কয়েক বার আসা যাওয়া করেছি গত কয়েক বছরে।সত্যিকার অর্থে নতুন বিমানগুলো যাত্রা শুরু করার পর থেকে সার্ভিস স্ট্যান্ডার্ডের অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে।মাঝে মাঝে ক্রু রা পাবলিকদেরকে একটু আন্ডারমাইন করে শুধু,তার প্রধান কারন হচ্ছে আমরা চাকরিকে জাতি হিসেবেই ক্ষোমা দেখানোর একটা বিরাট পার্ট হিসেবেই এখনো একটু বেশিই অভ্যস্থ।
খোশগল্প,স্বজনপ্রিতি ও বড় অফিসারদের তোষামুদি,অন্য সাধারণ যাত্রীদের থোরাই কেয়ার করে তাদের বড় অফিসার কিংবা পরিচিতদের লক্ষনীয়ভাবে আলাদাভাবে কেয়ার করে সহ সাধারণ যাত্রিদের প্রতি বৈষ্যম্য করা হয়।
চাকরির সুবাদে ২-৪-১০ টি দেশে ভ্রমন করা বিমান বালাগুলো নিজেদেরকে আহামরি কিনা কি জানি ভাবতে শুরু করে।পুঁজি কি তাদের?একটু মুখ ও ঠোঁট বাকা করে সাইফুরস কিংবা মুনিরসে গিয়ে ২-৪-১০ টা আংরেজী বাক্য আর স্লীম একটা বডি (অবশ্য আমার গত হওয়া বালিকা বন্ধুও তাদের অনেকের চেয়েও অন্যতম সুন্দরী ছিলো চেলেন্জ করে বলতে পারি-যাইহোক সে আরেক অধ্যায়)।
অন্যান্য এয়ারলাইনস থেকে থেকে ভাড়া অন্তত পক্ষে এক তৃতীয়াশ বেশি হওয়া সত্ত্বেও অজানা এক কারনে মিডলইষ্ট থেকে টিকেট পাওয়াটাই টাফ।অথচ বিমান খালি যায় অনেক সময়,লন্ডন থেকেও প্রায় একই অবস্থা সপ্তাহে দুটি ডাইরেক্ট প্লাইট,৫০০ পাউন্ডের টিকেট নেয়ারলি ৯০০ পাউন্ড,তার উপর ক্ষোমা দহ্য করা,জঘন্য ফুড অপশান,ডিলেইড সার্ভিস ইত্যাদি।তারপরও তারা লসই করে যাচ্ছে বছরের পর বছর।
বাংলাদেশ বিমানের গত ৪ বছরে লস সাড়ে ১৩শ কোটি টাকা।
দেশের একটি খাতকে ধ্বংস করতে আর কি লাগে?
ভদ্র ভাষায় এগুলোকে সবাই বলে দূর্নিতি আমি বলি হরিলুট।২০ টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলে বীর বাঙ্গালি(চেটের বালের বীর) কিন্তু লাশ পেলে দেয়,ঐ সময় তথাকথিত সচেতন নাগরিকদের ঐসব উল্লাস দেখে আসলেই কষ্ট লাগে।
টাকাগুলো কি উড়াল দিয়ে লুটেরাদের পকেটে গেলো?ফারুক খান ও জিএম কাদের কে বঁাশ ডলা দিলেই সব বের হয়ে যাবে।এইজন্যেই স্ট্রং অপজিশন পার্টি না থাকলে ডেমোক্রেটিক থিওরিটাই ফেল।কবে যে আমরা রাজনৈতিক একটু পরিবর্তনশীলতার কালচার চোখে দেখবো আল্লাই ভালো জানেন।