অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।
যাহোক বাথরুমে বিব্রতকর পরিস্থিতির পর কোনভাবে বাথরুম সেরে মুল হল রুমে প্রবেশ করলাম যেখানে খানা-পিনা চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা খেতে বসছিল প্রথম। ভিআইপি বিয়ে বলে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষিত বাবুর্চি এবং বয় এসেছিল খাবার সার্ভ করতে। তো বয়রা টেবিলে টেবিলে খাবার দিচ্ছিল। শুরুতে বয়রা টেবিলে পানির বোতল এবং বোরহানী এনেছিল। এরপর এক বয়স্ক নানা টিবেলে দেয়া বোরহানী গ্লাসে ঢেলে খাচ্ছিল এবং এর পরপর পুরো টেবিলের অন্যান্যরা একে একে গ্লাসে করে পুরো বোরহানীর মগ শেষ করে ফেললো। তখনো টেবিলে সব খাবার এসে পৌছেনি। সাধারণত বোরহানী দেয়া হয় খাবারের পর যাতে খাবার হজম হয় তার জন্য। যাহোক তাদের খাবারের আগে বোরহানী(শরবত
) খাবার এমন দৃশ্যে দেখে মজা পাচ্ছিলাম। একটু পর উঠে টেবিলের পাশে গিয়ে একজন ভদ্র লোককে জিজ্ঞাসা করলাম, "ভাইজান বোরহানী কেমন হয়েছে?" _কি _? না বোরহানীর টেস্ট কেমন লাগলো?_ কি? না বুঝার কারনে এবার টেবিলে রাখা মগ দেখিয়ে বললাম ঐ যে ওটা থেকে একটু আগে খেলেন যে সেটা কেমন লেগেছে?__"ও শরবতের
কথা কইছেন "__শরবত ভালা হয়ছে...তয় এক্কানা নুন বেশি হরি গেছে, নুন কম অইলে আরো ভালা লাইগতো"....(সাধারণত বোরহানীতে একটু লবনের পরিমান বেশি থাকে।) তাদের দেখাদেখি আশেপাশের সব টেবিলে জামাত সহকারে বোরহানী পান করা হলো ভাত সেবনের পুর্বে।কনে পক্ষের ভিড়ে ক্লাবের অবস্থা কেরোসিন। খেতে মনে হচ্ছে দেড়ি হবে তাই ভাতিজাকে যেখানে বসানো হলো সেখানে গেলাম। সেখানে পায়চারী করছিলাম। হটাৎ পিছন থেকে মেয়ে কন্ঠের আওয়াজ,
"এক্সুকিউজ মি"__ পিচনে ফিরে তাকিয়ে দেখি সুন্দরীদের হাট...তো আমি বললাম জি বলেন__এক মেয়ে বললো "আপনি বরের কি হন?"__আমি বরের চাচ্চু,কেন?__"মানে আপনি লামিহার চাচা শুশুর? এটা বলে সুন্দরীরা হো হো করে হেসে উঠলো, পাশের এক মেয়ে বলে উঠলো এ বয়সে চাচা শুশুর হয়ে গেছে....বাউরে কি কোআলরে...আবার হো হো হাসি"__
যাক হাসি শেষে আমি বললাম জি কথা শেষ হয়েছে আর লামিহা কে?__না না চাচা শুশুরের লগে কথা শেষ অনো...পাশে থেকে এক মেয়ে বলে উঠে....চাচা শুশুরের মন অয় আংগোরে পচন্দ অনো..মুড মারেনি কোন.. (কেমনে বুঝায় তারে..আমি যে তোমায়...) আমরা কিন্তু লামিহার কেলাস মিইট.....গুরা কালের বান্ধবী"__বুঝলাম লামিহা ভাতিজা বউয়ের নাম__সুন্দরীদের সর্দারনি হাতে আইফোন নাড়াচ্ছিল.. দেখে আমি টাসকি খেলাম...বাউরে কি সুন্দুর আইফোন.. জীবনে হইলা দেখলাম কিনা.. ..তো সে মেয়ে আমাকে বলে একটা রিকুয়েস্ট করবো রাখবেন__ভয় পেয়ে গেলাম যেভাবে রিকুয়েস্ট এর আর্জি করলো...যাক আমি সাহস করে বললাম জি বলেন...বললো আমি লামিহার অঅঅনেককককক ক্লোজ ফ্রেন্ড..ছোটকালে স্কুল কলেজ সব একসাথে এবং পরে নর্থ সাউথেও একসাথে পড়েছি (তো এসব জেনে আমার কি) ..আপনার কাছে রিকুয়েস্ট আমার বান্ধবীটা জেন আপনাদর কাছে শান্তিতে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন আর একটা রিকুয়েস্ট হলো আমাকে একটা ছবি তুলে দিবেন জিশানের___আমি বললাম সেটা আপনিওতো তুলতে পারেন___না আমি স্টেজের ওখানে যাবোনা___আশে পাশে সব হুজুর বসা___উনি ঢাকা থেকে এসেছেন জানান দিতে জিন্স আর কি একটা উপরে পড়ছে তার নাম জানিনা... যাহোক কি আর করা উনার দামি আইফোনটা ধরার লোভ সামলাতে না পেরে ছবি তুলতে ফোন হাতে নিলাম__এবারে উনি আমার একেবারে গা ঘেঁসে :#> :!> দাড়িয়ে ছবি তোলার নিয়ম কানুন বাতলে দিলেন...জীবনে প্রথম মোবাইলে ছবি তুলছি কিনা। 
ছবি তুলে আনার পর ঈস্মার্ট মেয়েটা বললো দেখি ছবি তুলতে পারছ কিনা। ওয়াও দেখ দেখ কি সুন্দর ছবি__
তার মানে আমি ছবি তুলতে পারছি। যাক আমাকে জেঠাতো ভাই ডাক দিলে সেদিকে চলে গেলাম আর হাফ ছেড়ে বাঁচলাম বাচাল কিছু নারীর হাত থেকে...... আরো মজারু অভিজ্ঞতা সামনে...শৈল্পিকের সাথেই থাকুন।পরের পর্বে- খাবার ম্যানু এবং বিদায় যাত্রা।
আগের পর্ব- নোয়াখালীতে খেয়ে এলাম বিয়ে আর আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম চরম গরম সব মজারু অভিজ্ঞতা।
(নোয়াখালী সিরিজ-১)
