somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬কোটি

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাগ্যবান জাতি আমরা !

অবশেষে সর্বসাধারণের দীর্ঘ সময়ের মুখিয়ে থাকা চাওয়া এবং উপচে পড়া তীব্র উৎকন্ঠার অবসান ঘটলো বুঝি। আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের প্রাণপ্রিয় অভিভাবকদ্বয় পরষ্পরের সাথে দুটো আলাপ করলেন! হোক সে যন্ত্রের যোগাযোগ, হোক সে লাল কিংবা কালো যন্ত্রে; অপেক্ষা-প্রতিক্ষার কঠিন দেয়াল ভেঙে দিয়ে অন্তত অপেক্ষাকৃত নরম একটি 'আশা'র 'যোগ' যুগিয়েছেন আমাদের জান-মালের ইতিহাসে। সুদীর্ঘ সেই যন্ত্রালাপ ইতিহাস হলো। পরষ্পর কুশল বিনিময় হলো, একজন আরেকজনকে হাসিমুখে নিমম্ত্রণ করলেন। হোক সে গ্রহণ-প্রত্যাখানের দোটানা, হোক সে স্বেচ্ছায় তৈরী অচলাবস্থার বাহানা, হোক সে মান-অভিমানের ভিন্ন সংস্করণ। একটি নাটকীয় উৎকন্ঠাতো মোচন হলো। একজন আরেকজনের অতিথী হওয়ার অমূল্য সম্ভাবনাটি অন্তত প্রায় (!) তৈরী হলো। সেতো কম পাওয়া নয়! আমরা ১৬ কোটি ভাগ্যবানেরা এখন মৃদু আনন্দে দুলছি বৈকি 'আশা'র দোলনায়। নাটকের শেষ দৃশ্যটির যেন শুভ পরিণাম ঘটে।

'নিমন্ত্রণ' বা 'দাওয়াত' শব্দটি আমাদের বাঙালীর জীবনে,মননে একটি আন্তরিক, আনন্দময় এবং সুবাসময় আবহ মনে করিয়ে দেয়। অন্তরের সুবাস, স্পর্শের সুবাস, আলোর সুবাস। তার সাথে যুক্ত থাকে বাঙালীর ঐতিহ্য অনুযায়ী অবশ্যই দুটো ভাল-মন্দ খাবার-দাবার। হোক সে ঝিঙে, পটল, সজনে ডাটা, সরষে ইলিশের বাহারী কিংবা পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কালিয়ার মোগলাই দাপট। নিমন্ত্রণ বলে কথা।

ঐতিহাসিক সেই নেমনতন্নের গল্পে কেবল একটি শ্বাসযোগ্য-বিশ্বাসযোগ্য সুবাতাসই আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। নিমন্ত্রণকারীর আন্তরিকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে। এই নেমন্তন্নে আমরা তন্ন তন্ন করে কোন স্বার্থপর/স্বার্থান্বেষী অমঙ্গলের আভাস যেন খুঁজে না পাই। মঙ্গলই আমাদের আলোময় আবাস হোক। বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২০
১০১টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×