somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ না ইদ....

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বললেন - ঈদ এবং ইদ দুই-ই চলবে। দুটিই ঠিক আছে (সূত্র- প্রথম আলো,২৩.০৬.২০১৭)। তাহলে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করার কিই বা দরকার আছে? কিই বা দরকার আছে বাংলা একাডেমীর সর্বশেষ বাংলা অভিধান সংস্করনে ঈদ শব্দটি "ই" ব্যবহার করে লেখা?

আপনারা মুখে বলবেন একটা আর কাজে কর্মে করবেন আর একটা, এটা একটা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে থাকা ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই নয়। মুখে বললেন - দুটি বানানই ঠিক আছে আর বাংলা একাডেমীর সর্বশেষ সংস্করনে 'ঈদ'কে বললেন - অসংগত বানান আর ঈদকে ব্যবহার করলেন ইদ লিখে। আমি জানিনা এই ধরনের কথা আপনাদের মুখে সংগত কিনা, নাকি অসংগত।

যে কোন ভাষা, মানুষ, সংস্কৃতি হাজার বছরের পথ পরিক্রমায় কোন না কোন ভিন্ন দেশের ভাষা বা সংস্কৃতি দ্বারা সমৃদ্ধ হয় বা হতে পারে, এতে বিচলিত বা উগ্র জাতীয়তাবোধের ধারনা পোষনের কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয়না। এটা বরং আমাদের সংস্কৃতির স্বকীয়তাকে ধারন করে নিজেদেরকে আরো সমৃদ্ধ করার প্রক্রিয়া।

আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত কথোপকথনে, লিখনে, সংগীতে, উচ্ছ্বাসে আমরা অনেক শব্দ ব্যবহার করি যেগুলোর উৎস বা আদি ভিন্ন দেশ বা ভাষা। এর অর্থ এই নয় যে, আমাদের ভাষা হুমকির মুখে বা সংকটে পতিত। বরং আমার কাছে মনে হয় বৈচিত্রই সৌন্দর্য্য এবং সংস্কৃতির সমৃদ্ধির পরিচায়ক।

যদিও শব্দটি "ঈদ" না "ইদ" - যাই হোক না কেন, তাতে এদেশের জনগনের উচ্ছ্বাস প্রকাশের কোন কমতি নাই বা সম্ভাবনাও নাই। কিন্তু আমার মনে হয় এটা এক ধরনের অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস। ঈদ শব্দটি আগে যেভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হতো, এখনও ঠিক সেরকমভাবে ব্যবহৃত হবে।

শব্দ কিভাবে ব্যবহৃত হবে তা কোন অভিধান বলে দিতে পারেনা তা সে যত আকারে বড় অভিধানই হোক না কেন? বরং আগে শব্দ ব্যবহৃত হওয়ার পরই সে শব্দ অভিধানে সংযোজন হয়ে থাকে। অভিধানের জন্য শব্দ নয় বরং শব্দের জন্য অভিধান।

২৩.০৬.২০১৭, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×