১৮ থেকে ২২ জুন, ২০১৭ রমজানের মাসের শেষ কার্যক (ওয়ার্কিং) সপ্তাহ, সুতারাং কাজের প্রচুর প্রেসার থাকবে, মেনে নিলাম। তাই বলে প্রত্যেকদিন অফিসে ইফতার করতে হবে এবং ব্রাঞ্চ সাইন আউট হতে হতে রাত ৯/১০ টা বেজে যাবে, এটাতো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, যা হোক তাও মেনে নিলাম।
রমজানের শেষ ওয়ার্কিং সপ্তাহ শেষ করে, ভাবছেন - বিশ্রাম নিবেন, লম্বা ছুটি - শুক্র ও শনিবার সপ্তাহের ছুটি, রবি থেকে মঙ্গলবার ঈদের ছুটি, এরপর যদি দুইদিন ছুটি নেয়া যায় তাহলে একবারে শ্রান্তি বিনোদনের মতো লম্বা ৯ দিনের ছুটি। আপনাদের সব আশায় গুড়ে বালি। চাকুরী যখন করছেন অার্থিক প্রতিষ্ঠানে, তখন জনগনের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়েই আপনাকে ভাবতে হবে, নিজেকে নিয়ে নয়।
এখন আসুন ছুটিকে কিভাবে কর্মক্ষমে পরিনত করতে পারি। কর্মব্যস্ত একটা সপ্তাহ শেষে হঠাৎ ঘোষন এলো শুক্রবার ব্যাংক সীমিত আকারে এবং শনিবার পূর্ণদিবস ব্যাংক খোলা থাকবে। রবি থেকে মঙ্গলবার ঈদের ছুটি তিনদিন, এর মাঝেও কিছু ব্যাংকারের উপর দায়িত্ব পড়বে এই বন্ধের দিনগুলোতে ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়গুলো দেখভাল করার, সুতারাং তাদের জন্য এই দিনগুলোতে ছুটি নাই। এরপর যথারীতি বুধবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক স্বাভাবিক লেনদেনের দিন।
ঘটনার পরিসমাপ্তি এখনও নয়, পরের দিন সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার কিন্তু আপনার ছুটি নাই। কারন শুক্রবার অর্থবছরের শেষ কর্মদিবস, সুতারাং রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য আপনাকে এই দিনও অফিসে আসতে হবে। তারপর থাকলো শনিবার, সপ্তাহের আর এক ছুটির দিন, একটু তো বিশ্রাম নিতে পারেন। বিধি বাম - এই দিন ১লা জুলাই, ব্যাংক হলিডে। শব্দটা হলিডে কিন্তু কাজ করতে হয় ওয়ার্কিং ডে এর চেয়ে বেশী, যদিও বর্তমানে ওনলাইন সিস্টেম আসার কারনে ব্যাংক হলিডের কাজ কিছুটা কমেছে।
এরপর পরের দিন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার, যেদিন আপনাকে পূর্ণ উদ্দীপনা নিয়ে গ্রাহকের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে কারন অনেকদিন ছুটি(!!!!) কাটিয়ে আপনি এসেছে অফিস করতে। ঠিক সেই মূহুর্তে আপনার মনে পড়বে, নচিকেতার একটা গানের কথা - দেখে যা, যা অনির্বান, কি সুখে রয়েছে প্রান।
তথাপি আমার প্রস্তাব রয়েছে - ব্যাংকারদের মানুষ নয়, যন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হোক। যন্ত্রের যেমন কোন আবেগ অনুভূতি নাই, সুতারাং যারা ব্যাংকে চাকুরী করে তাদেরও এতদসংক্রান্ত কিছু থাকতে নেই।
২৩.০৬.২০১৭, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১১