গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা পত্রিকার পাতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সামরিক মদদপুষ্ট অং সান সুচীর সরকারের নির্মম নির্যাতনের ছবি বা দৃশ্যগুলো সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি এড়িয়ে যেতে। কিন্তু মানবিক কিছু বিষয় থাকে যেটা সবসময় ইচ্ছা করলেও এড়িয়ে যাওয়া যায়না।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, গত ২৫শে অগাস্ট থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে শরনার্থী হিসেবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি এসে পৌঁছেছে প্রায় তিন লক্ষ লোক, যার অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা। যা মোট শরনার্থীর প্রায় সত্তর শতাংশের অধিক। এই একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট জনপদের মানুষগুলোর বর্তমান অবস্থা বুঝার জন্য।
আমি এই সরকার এবং বাংলাদেশের জনগন বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষদেরকে ধন্যবাদ জানাই, যারা নিজেদের হাজারও সমস্যা থাকা সত্বেও এই বিপুল নির্যাতিত জনগোষ্ঠীকে সাদরে গ্রহন করেছে। এমনিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। তার উপর বন্যা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, জঙ্গী হামলা প্রভূত সমস্যা মোকাবেলা করে আমরা প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তথাপি এই মানুষগুলোর প্রতি যে মানবিক আচরন আমরা করেছি বা করে যাচ্ছি সেই ১৯৯২ সাল থেকে, তা সত্যি আমাকে গর্বিত করে একজন মানুষ হিসেবে, এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯