আমরা চে’কে চিনি তার বিপ্লবী ভূমিকার কারণে। তার নেতৃত্বেই ফিডেল ক্যাস্ট্রো কিউবাকে স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে রক্ষা করেন। আপনারা অনেকেই জানেন, ফিডেল দীর্ঘ দিন কিউবা শাসন করছেন। এবং বর্তমানে তারই ছোট ভাই রাউল ক্যাস্ট্রো কিউবা শাসন করছেন। রাউলও তখন বড় ভাই ফিডেল এবং চে’র সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অনেক তরুণকে টি শার্টে চে’র ছবি বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। অনেকের কাছেই চে ভালোলাগা একজন বিপ্লবী। আর এ চে’কে নিয়েই অস্কার উইনার ডিরেক্টর স্টিভেন সডারবার্গ বিশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী পলিটিকাল ব্যক্তিত্বের ওপর মুভি তৈরি করেন।
চে গুয়েভারা আর্জেনটিনার এক তরুণ ডাক্তার। তখন কিউবায় ক্ষমতায় ছিলেন দুর্নীতিবাজ ডিক্টেটর ফালগেনসিও বাটিস্টা। চে’র মধ্যে একটি বিশেষ গুণ ছিল। তার কাছে মানুষ এলেই ইমপ্রেসড হয়ে যেত। আর তাই অচিরেই তার সৈন্য সংখ্যা বাড়তে থাকল। এবং তিনি গেরিলা আন্দোলনের নেতায় পরিণত হন। এক পর্যায়ে অনেকেই চে’র বাহিনীতে যোগ দিতে আসতে লাগল। কিন্তু চে তাদের সবাইকে নিতে চাননি। কারণ সবাই গেরিলা হলেই দেশ স্বাধীন হয় না। চে গেরিলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের লোক চাচ্ছিলেন। যেমন পরবর্তী সময়ে যারা গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিতে আসতেন তারা শিক্ষিত কি না তা চে জানতে চাইতেন। এর ফল বোঝা যায় যখন বাটিস্টা বাহিনী তাদের আস্তানায় আঘাত করে তখন তাদের বলতে শোনা যায় চে’র বাহিনী খুবই শক্তিশালী এবং পরিকল্পনা মাফিক চলে।তারা যে শুধু যুদ্ধই করছিল তাই নয়, তারা জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামের অধিবেশনে যোগ দিতেন। এতে করে তারা কেন যুদ্ধ করছেন তা যেমন বিশ্ববাসী জানতে পারতেন, তেমনি তাদের দেশের মানুষও জানতে পারতেন। আরেকটি দিক হলো চে চাচ্ছেন স্বৈরশাসনের অবসান এবং আমেরিকানদের কবল থেকে মুক্তি।
নেতা হতে হলে যে গুণগুলো থাকা দরকার তার বেশিরভাগেরই সমন্বয় ঘটেছিল চে’র মধ্যে। তার দলের কিছু লোক গাড়ি লুট করলে চে গাড়ি থামিয়ে তা ফেরত দিয়ে আসতে বলেন। এমনি আরো অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা চে সম্পর্কে সম্মান আরো বাড়িয়ে দেবে।
ইতিহাস বা জীবনীনির্ভর মুভি তৈরি করতে হয় খুবই সতর্কভাবে। কারণ হলো এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ইতিহাস। কোনো দেশের ইতিহাস নিয়ে মুভি তৈরি করতে গেলে পরিচালককে সতর্ক থাকতে হয় সে দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হলো কি না। আর জীবনীনির্ভর মুভির ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হয় মানহানিকর কোনো বিষয় তুলে ধরা হয়েছে কি না। কারণ, যাদের নিয়ে মুভি তৈরি করা হয় তারা হয়ে থাকেন খুবই সম্মানীয় নতুবা নিন্দনীয়। মানহানিকর বা যথাযথভাবে তুলে ধরা না হলে পরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হতে পারে। এমন কি মুভির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাও হতে পারে। তারপরও প্রতিভাবান পরিচালক অনেক সময় নিয়ে রিসার্চ করে মুভি তৈরি করেন। যেমন, চে’র চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা ডেল টরো সাত বছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রিসার্চ করেছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন, কথা বলেছেন। এর মধ্যে কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিডেল ক্যাস্ট্রোও ছিলেন।
২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বরে মায়ামি বিচে আর্ট ব্যাসল ফেস্টিভালে চে পার্ট ওয়ান মুভির প্রিমিয়ার হয়। সেখানে কিছু লোক এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। পরে ডেল টরো বলেন, এর কারণ হলে তারা মুভিটি না দেখেই বিক্ষোভ করছেন। কান মুভি ফেস্টিভালে মুভিটিকে মাস্ট সি মুভি হিসেবে ধরা হয়েছিল। সেখান মুভি ক্রিটিকরা বলেন- এটা একটি ব্রিলিয়ান্ট কাজ যা দর্শককে আনন্দ দেবে। আবার কেউ কেউ বলেন, এটা যে শুধু রেভলিউশনের ওপর তৈরি করা মুভি তাই না, মুভিটি নিজেই একটি রেভলিউশন। তবে, কিছু ক্রিটিক বলেছেন মুভিটিকে টেনে লম্বা করা হয়েছে এবং দুটি পার্টে ভাগ করা হয়েছে। আর মুভিটিতে চে’কে যে ভাবে দেখানো হয়েছে তার থেকে বাস্তব জীবনে তিনি আরো অনেক চটপটে এবং শিক্ষিত ছিলেন।মুভিটি সবারই ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। একই সঙ্গে বায়োগ্রাফি, ড্রামা, হিস্ট্রি এবং যুদ্ধনির্ভর এ মুভিটি রিলিজ পায় ২৪ জানুয়ারি ২০০৯-এ আমেরিকাতে। স্টিভেন সডারবার্গ পরিচালিত এ মুভিটিতে অভিনয় করেন বেনেকিও ডেল টরো, কুলিয়া অর্মন্ড প্রমুখ। এ পর্যন্ত মুভিটি তিনটি পুরস্কার ও আটটি নমিনেশন পেয়েছে।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।