somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিগ ফিস: ফেন্টাসি এবং রিয়ালিটির মিশেলে এক চমৎকার মুভি

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক এক জন মুভি দেখেন এক এক কারনে।কেউ সারাদিন ক্লান্তি শেষে একটু বিনোদনের জন্য মুভি দেখেন। আবার কেউ মুভি দেখেন বিচার-বিশ্লেষণ করে। তারা মুভির প্রতিটি বিষয়ের খুটিনাটি প্রত্যক্ষ করেন অত্যন্ত নিখুত ভাবে।তারা মুভি দেখে কি পেলেন তার একটি হিসাব করেন।

রোমান্টিক, অ্যাডভেন্চার, কমেডি, হরর, ফেন্টাসি প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের মুভি তৈরি হয়।এর মধ্যে ফেন্টাসি মুভিগুলো তৈরি হয় কল্পনার আশ্রয় নিয়ে। অনেক সময় সম্পূর্ণ মুভিটাই কল্পনার উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। যখন কোন দর্শক এ মুভিগুলো দেখেন তখন তিনিও ঐ কল্পনার জগতে চলে যান।সারাদিনের ব্যস্ততার পর নতুন একটি জগত থেকে ঘুরে আসাটাও মন্দ না।

আর এই ফেন্টাসি যখন রিয়ালিটির সাথে মিশে যায় তখন মানুষ সমস্যায় পড়ে যায়। তখনই মানুষ মনে মনে মেলাতে থাকে ঘটনাগুলো প্রকৃত পক্ষেই বাস্তব জীবনে ঘঠতে পারে কিনা।তবে সবকিছু যে সবার জীবনে ঘটবে এমন কোন কথা নেই। হয়তো কিছু বিষয় আছে যেগুলো অলৌকিক, সেগুলো শুধু কিছু কিছু মানুষের বেলায় ঘটে থাকে। এ ঘটনাগুলোই যখন তারা বলে তখন অন্যরা বিশ্বাস করতে চায় না। অবশ্য এগুলো বিশ্বাস করার কথাও না। বিশেষত যারা রিয়েলিটিতে বিশ্বাস করেন।

সে যাই হোক, তার পরও মানুষ এগুলো বলেন। এবং এর উপর বিভিন্ন সময় ডিরেক্টররা মুভিও তৈরি করেন। অতি সম্প্রতি কিউরিয়াস কেইস অফ বেন্জামিন বাটন হয়ত অনেকেই দেখেছেন। মুভিটি গত বছর সর্বোচ্চ ১৩ টি নমিনেশন পেয়েছিলো অস্কারে। এই মুভিটিও ফেন্টাসি এবং রিয়েলিটির অপূর্ব সমন্বয়। এই মুভি দেখার পর সত্যিই অবাক লাগে এ ধরনের ঘটনা আসলেই ঘটতে পারে কিনা। একই ধরনের মুভি তৈরি হয়েছিলো ২০০৩ সালে বিগ ফিস নামে। এই মুভিটিও মানুষের চিন্তা জগতে নাড়া দিবে তা নিসন্দেহে বলা চলে।

এডওয়ার্ড একজন স্টোরি টেলার। তিনি চমৎকার সব স্টোরি বলেন। সবাই তার স্টোরির প্রতি ইম্প্রেসড। কিন্তু সমস্যা হলো তার নিজ সন্তান উইলই তার স্টোরি পছন্দ করেন না। কারন, এসব স্টোরি বোগাস। রিয়েলিটির সাথে এগুলোর কোন মিল নেই। উইল নিজে সন্দেহ করেন এই বলে যে, এসব ঘটনা মানুষের জীবনে ঘটতে পারে না। বিশেষত, এডওয়ার্ড বলেন এগুলো তার নিজের জীবনেই ঘঠেছে।

এডওয়ার্ডের ছেলে উইল এর ওয়াইফও শশুরের স্টোরি পছন্দ করেন। ওয়াইফ উইলকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটতেও তো পারে। কিন্তু তাতে বিশ্বাস করতে চায়না উইল। উইল উল্টো আরো বলেন, সবাই যে কারনে বাবার স্টোরি বলা পছন্দ করে, তুমিও ঠিক সে কারনেই পছন্দ করো।

এমনি একদিন কথা হচ্ছিলো উইল এবং এডওয়ার্ডের মধ্যে। এক পর্যায়ে উইল বলেন, তোমার সব স্টোরিই মিথ্যায় বড়া। তুমি যেসব স্টোরি বলো তা কখনো আমি মানুষের জীবনে ঘটতে দেখিনি বা শুনিনি। তাই আমি তোমার স্টোরির প্রতি ইন্টারেস্টেড নই। এর পর চলে যান উইল।

কিছু সময় পরে এসে বাড়িতে কাউকে দেখতে পেলেন না। জানতে পারলেন তার বাবা হসপিটালে। হসপিটালে গিয়ে জানতে পারলেন তার বাবা স্ট্রোক করেছেন। সম্ভবত উইল এর কথায় আগাত পেয়েই তিনি স্ট্রোক করেন। পরে হসপিটালে উইল তার বাবার সাথে রাতে থাকেন। এবং বাড়িতে ফিরে আসেন তার ওয়াইফ এবং মা। এডওয়ার্ড তার ছেলে উইল এর কাছে স্টোরি শুনতে চান। কিন্তু উইল বলেন আমিতো স্টোরি বলতে পারি না। এডওয়ার্ড বলেন, চেষ্টা করলেই পারবে। অবাক হলেও সত্যি, যে উইল তার বাবার স্টোরিই শুনতো না ফেন্টাসির কারনে সেই উইলই তার বাবাকে ফেন্টাসি নির্ভর স্টোরি বলেছেন। ঠিক স্টোরি শেষ হওয়ার পরই তার বাবা মারা যান।

তার বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উইল দেখতে পেলেন তার বাবা স্টোরির মধ্যে বিভিন্ন সময় যাদের কথা বলেছেন তারা সবাই এসেছেন। এখন অবশ্য তার বুঝার বাকি নেই তার বাবার স্টোরি আসলেই কি ফেন্টাসি না রিয়াল।

সত্যিই ফেন্টাসি ও রিয়ালিটির একটি চমৎকার কম্বিনেশন ঘটেছে মুভিটিতে।প্রতিটি মুহূর্তই ভালো লাগবে নিসন্দেহে তা বলা যায়। এই এনজয়েবল মুভিটির ডিরেক্টর টিম বার্টন। একই সাথে ফ্যান্টাসি, কমেডি, ড্রামা নির্ভর মুভিটি রিলিজ পায় ১০ ডিসেম্বর ২০০৩ এ আমেরিকাতে। মুভিটিতে অভিনয় করেছেন এওয়ান গ্রেগর, অ্যালবার্ট ফিন্নে, জেসিকা ল্যাং। মুভিটি অস্কারে নমিনেশন পয়েছিলো এছাড়াও ৩২ টি পুরস্কার পয়েছে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×