পাল্টে গেছে লিখিত বক্তব্য : গতকালের মহাসমাবেশের বক্তব্য গত বুধবার রাতে ঠিক করেন ব্লগার নেতারা। কিন্তু যে লিখিত বক্তব্যটি ডা. ইমরান এইচ সরকার পাঠ করেছেন, তা গত বুধবার রাতে লেখা বক্তব্যের হুবহু নয়। বুধবার রাতে বক্তব্যটি লেখার সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, ২৫ মার্চের মধ্যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যদি সরকার ২৫ মার্চের মধ্যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করে, তাহলে ২৬ মার্চ শাহবাগে মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশবাসীকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হবে।' তবে গতকালের দেওয়া কর্মসূচিতে এসবের কিছুরই উল্লেখ নেই। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি না এসে বরং জামায়াতের বিচারের দাবি এসেছে। বিষয়টি আদালতের ওপর ঠেলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণজাগরণের মঞ্চ যে থাকছে না শাহবাগে, এ বিষয়ে সমাপ্তি সমাবেশে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সব মিলিয়ে বিষয়টি আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর চেষ্টা বলেও ওই নেতা জানান।
আওয়ামীকরণের চেষ্টা : গতকালের মহাসমাবেশ আওয়ামী লীগের দখলে নেওয়ার চেষ্টা ছিল স্পষ্ট। গণজাগরণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার যখন কর্মসূচি পড়ছিলেন তখন তাঁর বাঁ পাশে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, তাঁর পাশে ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। ডা. ইমরান এইচ সরকারের ডান পাশে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রকার ও আওয়ামীপন্থী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
সমাবেশে উপস্থিত একাধিক মানুষ জানিয়েছে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের ভূমিকা খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে। কারণ, যখন ডা. ইমরান তিন পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পাঠ করছিলেন, তখন পাশ থেকে বেশ জোরে জোরে নাজমুল নির্দেশ দিচ্ছিলেন তাঁকে। এমনকি 'একটু আবেগ দিয়ে কর্মসূচি পড়া'র জন্য ডা. ইমরান এইচ সরকারকে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ সম্পাদক নাজমুল। এই ছাত্রলীগ নেতার ভাব দেখে মনে হচ্ছিল- তিনিই সব কিছু চালাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশমতো, তাঁর কথাই পড়ে যাচ্ছেন ডা. ইমরান।
এ বিষয়ে জানার জন্য ডা. ইমরান এইচ সরকারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য দেওয়ার পরই তিনি অদৃশ্য হয়ে যান।
রক্ষা পেল আওয়ামী লীগ : আন্দোলনে যোগ দিতে আসা সাধারণ জনগণ মনে করে, সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ যখন ক্রমে মার খাচ্ছিল, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন মাঠে টিকতে পারেনি, ঠিক তখন শাহবাগ আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। জামায়াত-শিবির ছাড়াও আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, পদ্মা সেতু, বিশ্বব্যাংক, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার, কুইক রেন্টাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো চাপা পড়ে গেছে শাহবাগের আন্দোলনে।
কপি পেষ্ট: সূত্র- দৈনিক কালের কন্ঠ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



