যশোর পৌরসভার 23 কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
নিউজ
যশোর সংবাদ ঃঃ দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ যশোর পৌরসভার 2006-2007 অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত বাজেটের আকার 22 কোটি 72 লাখ 9 হাজার 70 টাকা। গতকাল সোমবার পৌরসভা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একইসাথে 2005-2006 অর্থবছরের 14 কোটি 95 লাখ 66 হাজার 668 টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। পৌরসভা চেয়ারম্যান এস এম কামরুজ্জামান চুন্নু বাজেট ঘোষণা করেন। এ সময় সকল কমিশনার এবং পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাটির ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব খাত থেকে 7 কোটি 28 লাখ 2 হাজার 486 টাকা, উন্নয়ন খাত থেকে 14 কোটি 21 লাখ 30 হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছে। ব্যয় হবে রাজস্ব খাতে 7 কোটি 83 লাখ 12 হাজার 322 টাকা এবং উন্নয়ন খাতে 13 কোটি 47 লাখ 500 টাকা। পৌরসভা চেয়ারম্যান জানান, ঘোষিত বাজেটে আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো গৃহ ও ভূমিকর বাবদ প্রায় 56 লাখ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ 50 লাখ, পানি সরবরাহ বাবদ প্রায় 1 কোটি 92 লাখ, ট্রেড লাইসেন্স ইসু্য, নবায়ন ইত্যাদি বাবদ প্রায় 35 লাখ, যানবাহন কর বাবদ 12 লাখ, আলোকসজ্জা বাবদ প্রায় 24 লাখ, কনজারভেন্সি ট্যাঙ্ বাবদ প্রায় 56 লাখ, হাট-বাজার ইজারা বাবদ 35 লাখ, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে টোল বাবদ 45 লাখ, রোড রোলার ও মিকচার মেশিন ভাড়া বাবদ 10 লাখ, দরপত্র বিক্রি বাবদ 30 লাখ, বৈদু্যতিক খুঁটির ভাড়া বাবদ 20 লাখ, স্কুল ফিস বাবদ 10 লাখ টাকা। সরকারি ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে যে সব েেত্র অনুদান পাওয়ার আশা করা হয়েছে তা হলো, সরকারি সহায়তা মঞ্জুরি 1 কোটি, সরকারি বিশেষ বরাদ্দ 1 কোটি, উন্নয়ন খাত ব্যতিত সরকারি অনুদান 10 লাখ, বিএমডিএফ প্রকল্প থেকে 7 কোটি, বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ বাবদ 2 কোটি, অফিস ভবন নির্মাণ বাবদ 60 লাখ, শিশু পার্ক নির্মাণ বাবদ 70 লাখ, কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ বাবদ 60 লাখ, শহর বস্তি উন্নয়ন বাবদ ইউনিসেফের কাছ থেকে 25 লাখ টাকা। সম্ভাব্য প্রধান ব্যয়ের খাতগুলো হলো কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রায় 1 কোটি 56 লাখ, আনুতোষিক তহবিল স্থানান্তর 25 লাখ, ভবিষ্যৎ তহবিলে স্থানান্তর 25 লাখ, বিদু্যৎ বিল 40 লাখ, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল রণাবেণ বাবদ প্রায় 32 লাখ, শিা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন প্রায় 83 লাখ, নর্দমা সংস্কার বাবদ 24 লাখ, ময়লা পরিষ্কার বাবদ 25 লাখ, কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ও গৃহমেরামত ঋণ 20 লাখ, পানি সরবরাহ শাখার কর্মচারীদের বেতন প্রায় 84 লাখ টাকা। এছাড়া রাস্তা, ব্রিজ/কালভার্ট, ড্রেন, ডাস্টবিন, পানির লাইন, অডিটোরিয়াম, স্টাফ কোয়ার্টার, বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ ও রণাবেণ বাবদ প্রায় 3 কোটি 75 লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে ধরা হয়েছে।
যশোরে বিএডিসির সেমিনার
মানসম্পন্ন সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
নিউজ
যশোর সংবাদ ঃঃ সবজি উৎপাদনে যশোর সারা দেশের মধ্যে শীর্ষে। দেশে উৎপাদিত সবজির প্রায় 45 ভাগই যশোরে চাষ হয়। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সবজি উৎপাদনের অত্যন্ত উপযোগী। যশোরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ছাড়াও খুলনা বিভাগের একমাত্র বিমানবন্দরটি এই জেলায় অবস্থিত। এ সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশে সবজি রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে বিএডিসি। সবজি রফতানির ল্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিএডিসি কর্তৃপ। এ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। 38 কোটি টাকা ব্যয়সাপে চারটি প্রকল্পের একটি যশোরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় শহরের ঝুমঝুমপুরে উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র চত্বরে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে একটি স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ। কেনা হচ্ছে ফ্রিজিং ভ্যান, পিকআপসহ অন্যান্য যন্ত্রযান। সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর, হাশিমপুর, রামনগর ও চুড়ামনকাটিতে দুইশ' হেক্টর জমি নির্বাচন করা হয়েছে। এসব জমির 375 জন চাষীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিএডিসি কর্তৃপ। এ সব চাষীকে দিয়ে উন্নত জাতের সবজি চাষ করানো হবে। চাষীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে। রফতানিকারকদের সঙ্গে চাষীদের সেতুবন্ধন করে দেবে বিএডিসি। প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য গতকাল সোমবার উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র মিলনায়তনে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চুক্তিবদ্ধ চাষীরা সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারে জানানো হয়, নির্মাণাধীন কোল্ড স্টোরেজটির চারটি অংশ থাকবে। এ চার অংশে তাজা সবজি, হিমায়িত সবজি, ফল এবং হিমায়িত মাছ সংরণ করা যাবে। সবজির মৌসুমে পুরো কোল্ড স্টোরেজে সবজি রাখা হবে। মৌসুম শেষে সে স্থান দখল করবে মাছ। সবজির মতো একইভাবে চুক্তিবদ্ধ চাষীদের দিয়ে উন্নত জাতের মাছও চাষ করানো হবে। যশোর অঞ্চলের চাষীরা পর্যাপ্ত সবজি উৎপাদন করেও ন্যায্য মূল্য পায় না। আবার সংরণের অভাবে প্রচুর সবজি নষ্ট হয়ে যায়। কর্মকর্তারা আশা করছেন, প্রকল্পটি চালু হলে চাষীদের এই তি কিছুটা হলেও লাঘব হবে। পাশাপাশি সবজি রফতানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। আগামী বছর জুলাই মাসে প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। প্রসঙ্গত, তিনটি কার্গো বিমান বর্তমানে যশোর বিমানবন্দরের মাধ্যমে মাছের রেণু পোনা বহন করে। প্রাথমিক অবস্থায় সবজি রফতানির জন্য ওই তিনটি বিমান ব্যবহার করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে
যশোর জেলা প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলো শূন্য প্রায় দেড়মাস :
কাজকর্মে স্থবিরতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক যোগ দিচ্ছেন কাল
নিউজ
যশোর সংবাদ ঃঃ জেলা প্রশাসকসহ যশোর জেলা প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলো শূন্য রয়েছে প্রায় দেড় মাস। ফলে প্রশাসনের কাজকর্মে বিরাজ করছে স্থবিরতা। গত 14 মে জেলা প্রশাসক আবদুল ওয়াজেদকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি করিম পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের অবৈধ ডিপোতে জ্বালানি তেল মজুদে সহযোগিতা করেছেন_ এমন অভিযোগ উত্থাপন করে দৈনিক আমার দেশ-এ রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই আবদুল ওয়াজেদকে প্রত্যাহার করা হয়। সর্বমহলের ধারণা, ওই রিপোর্টের কারণেই আবদুল ওয়াজেদকে যশোর ছাড়তে হয়। এরআগে তিনি প্রায় আট বছর যশোরে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে, মে মাসেই যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওমর ফারুককে বদলি করা হয় মন্ত্রণালয়ে। আরেকজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মীর মশিউর আলম দায়িত্ব নেন এই পদের। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় কয়েকদিনের মধ্যে তাকে ওএসডি করে মন্ত্রণালয়ে ফেরত নেয়া হয়। এ সব দায়িত্ব অবশিষ্ট মাত্র একজন এডিসি বেলায়েত হোসেনের কাঁধে পড়ে। জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করা হলে এই দায়িত্বও নেন তিনি। বড় বড় পদের এতো সব দায়িত্ব পালন একজন মাত্র অফিসারের প েঅসম্ভব। ফলে জেলা প্রশাসনের কাজকর্মে নেমে আসে স্থবিরতা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বর্তমানে যশোরে মাত্র তিনজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এরা হলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বেলায়েত হোসেন, কাজী শফিকুল আলম এবং মিনা মাসুদুজ্জামান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যশোর জেলা প্রশাসকের শূন্য পদে নিয়োগ পেতে একাধিক কর্মকর্তা চেষ্টা-তদবির করেন। এদের মধ্যে বিদায়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওমর ফারুকও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যশোরে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুজিবর রহমান নামে এক কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। আগামীকাল 28 জুন তিনি যশোর এসে দায়িত্ব বুঝে নিবেন। এতেও অবশ্য সমস্যার পুরো সমাধান হচ্ছে না। জেলা প্রশাসক বাদে প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ পদগুলোতে কবে নাগাদ নিয়োগ দেয়া হবে তা অনিশ্চিত। জেলা প্রশাসনে বর্তমানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এসব ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছেন না।
এসএসসি : যশোর বোর্ডে সরকারি স্কুলগুলোর ফলাফল এবার ভালো
নিউজ
যশোর সংবাদ ঃঃ মফস্বলের সরকারি স্কুলগুলোতে লেখাপড়া হয় না। ফলে পাবলিক পরীায় এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফলও বরাবরই খারাপ হয়_ এমন ধারণা আছে সর্বমহলে। কিন্তু এবার যশোর শিাবোর্ডে এসএসসি'র ফলাফলে অতীতের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে সরকারি স্কুলগুলো। বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনা বিভাগের জিপিএ 5 প্রাপ্ত সেরা দশ স্কুলের মধ্যে ছয়টিই সরকারি। জিপিএ 5 প্রাপ্তিতে যশোর বোর্ডে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জিলা স্কুল এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা করোনেশন গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল। এদের জিপিএ 5 প্রাপ্ত পরীাথর্ীর সংখ্যা যথাক্রমে 132 ও 91। এছাড়া কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে 67 জন, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে 38 জন ও যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে 30 জন জিপিএ 5 পেয়েছে। সরকারি স্কুল ভালো ফলাফল করে না বলে অভিভাবক মহলে যে প্রচারণা রয়েছে এবারের ফলাফল সে প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছেন। যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিকিা আমার দেশ-কে বলেন, এবারের ফলাফলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও লেখাপড়া হয়। এ সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। যশোর জিলা স্কুলের সহকারী শিক জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের স্কুলের ফলাফল বরাবরই ভালো হয়। অন্যান্য সরকারি স্কুলের ফলাফলও এবার ভালো হওয়া সরকারি স্কুলের লেখাপড়ার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন। এসএসসি : যশোরের নামি স্কুলগুলোর সাফল্য অব্যাহত নিউজ যশোর সংবাদ ঃঃ যশোরের নামকরা স্কুল এবারও সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। সাফল্য অর্জনকারী স্কুলগুলোর মধ্যে পাসের হারের দিক থেকে যশোর বোর্ডের সেরা দশে প্রথম স্থান পেয়েছে যশোর পুলিশ লাইন স্কুল। এ স্কুল থেকে অংশ নেয়া 68 জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ 5 পেয়েছে 30 জন। যশোর জিলা স্কুল থেকে জিপিএ 5 পেয়েছে 57 জন। এ স্কুলের পাসের হার 95 দশমিক 24 ভাগ। যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল থেকে জিপিএ 5 পেয়েছে 30 জন। এ স্কুলের পাসের হার 97 দশমিক 37 ভাগ। বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে জিপিএ 5 পেয়েছে 24 জন। এ স্কুলের পাসের হার 95 দশমিক 91 শতাংশ। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে জিপিএ 5 পেয়েছে 35 জন। এ স্কুলের পাসের হার 89 দশমিক 15 শতাংশ। যশোর রাইফেলস স্কুল থেকে পরীায় অংশ নেয়া 43 জনের মধ্যে 42 জনই উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার 97 দশমিক 67 শতাংশ। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে নাভারণ আকিজ কলেজিয়েট স্কুলও। গ্রামীণ এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে 15 জন জিপিএ 5সহ সকল পরীাথর্ীই উত্তীর্ণ হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০০৬ সকাল ৮:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




