ইনজেকশন ভীতি আমার প্রথম থেকেই। তাই রক্ত দেওয়া আমার জন্য চারটি খানি কথা ছিল না। গত বুধবার (06/09/2006ইং) দুপুরে আমাদের অফিসের এক পরিচিত জনের রক্তের খুব প্রয়োজন পরল। ডেঙ্গু হয়েছে অবস্থা খুব খারাপ, প্ল্লাটিলেট কমে 8000 হয়ে গেছে। 12 ব্যাগ রক্ত অলরেডি দেওয়া হয়ে গেছে। এবার আমি গেলাম, ক্রস ম্যাচিং এর জন্য রক্ত নেয়া হলো (ইনজেকশন পুশে কোন ব্যথা পাইনি, আমার আস্থা রেড়ে গেলো)। প্রায় আধ ঘন্টা পর রিপোর্ট আসলো আর সেই সাথে খবরও আসলো আজ আর রোগীর রক্ত লাগবে না। মন খারাপ নিয়ে চলে আসলাম।
পরের দিন সকাল, অফিসে যাব, এমন সময় ফোন আসলো রোগীর আজই জরুরী ভিত্তিতে রক্ত লাগবে। আমি 8:40 এর দিকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, শান্তিনগরে চলে আসলাম। আজও নতুন করে ব্ল্লাড টেস্ট করতে হবে (বুঝেন অবস্থা, আমি এমনিতেই ইনজেকশন ভয় পাই)। আবার রক্ত নেয়া হলো এবারো তেমন অনুভব পাইনি। পয়তালি্লশ মিনিট অপো করতে হলো রিপোর্ট এর জন্য এবং আরো আধ ঘন্টা অপো করতে হলো আরো এক ব্যাগ রক্তের জন্য।
অপেক্ষার পালা শেষ, মোটা একটা সুই ভয়ংকর ভাবে আমার শিরার দিকে তাকিয়ে আছে, আমি ঐ দিকে আর তাকালাম না। সু একটা কিছু আমার ডান হাতে ঢুকছে টের পেলাম তবে সেটা অসহ্যকর কিছু ছিল না। হাতের রোলটা পাঞ্চ করতে থাকলাম। আমার ধারনা ছিল অনেক ব্যথা লাগতে থাকবে সারাটিক্ষন, আসলে কিছুই হলো না। 05 মিনিটেই এক ব্যাগ রক্ত নেওয়া হয়ে গেলো। কিছুক্ষন শুয়ে রইলাম, কোয়ান্টামের স্পেশাল ডিংস পান করলাম। অন্য রকম আনন্দ লাগছে রক্ত দেওয়ার পর।
[গাঢ়] অনুরোধ ঃ [/গাঢ়] যারা এখনো রক্ত দান করেননি তারা একবার দিয়ে দেখুন কেমন লাগে। রক্ত দান করতে সাহস লাগে না, ইচ্ছা লাগে। আমার মত যারা নতুন তাদের বলবো শান্তিনগরে অবস্থিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে রক্ত দিতে কারন এই প্রতিষ্ঠান সেবার মান, আন্তরিকতা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
[গাঢ়] কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর ঠিকানা ঃ- [/গাঢ়]
সেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম ও কোয়ান্টাম ল্যাব
119/পি, শান্তিনগর, ঢাকা।
ফোন ঃ 8322987, 9351969।
[গাঢ়] উৎসর্গ ঃ- [/গাঢ়] 'কালপুরুষ' আমার খুব পছন্দের একজন ব্লগার। অনেকদিন হলো তিনি ব্লগে আসেন না। আমি বিশ্বাস করি তিনি আসবেন আজ, নয়তো কাল বা পরশু অথবা অন্য কোন একদিন। আমি অপেক্ষায় আছি।
নতুন ধরনের প্রথম স্মৃতি ঃ 07/09/2006ইং বৃহষ্পতিবার সকাল।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





