somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বের সেরা ১০ দূর্গ

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাত্সফাই কাসল
নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় পরিখাসহ যে জার্মান দুর্গগুলো খুব ভালভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে সাত্সফাই কাসল একটি৷ আনুমানিক দ্বাদশ শতকের দিকে এটি নির্মাণ করা হয়৷ এ দুর্গের চারপাশে রয়েছে গভীর পরিখা, শত্রুকে দূরে রাখার কৌশল হিসাবে যা খনন করা হয়েছিল৷



আলটেনা দুর্গ
নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় ৮০০ বছরের পুরনো এই দুর্গেই বিশ্বের প্রথম ইয়ুথ হোস্টেলটি চালু হয় ১৯১৪ সালে৷ দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকার পর ওই সময়ই নতুন করে নির্মাণ করা হয় এ দুর্গ৷



কখেম কাসল
মোজেল নদীর তীরে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সবচেয়ে বড় দুর্গ হলো এই কখেম কাসল৷ আনুমানিক একাদশ শতকে নির্মিত এই দুর্গ সপ্তদশ শতকে এসে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ পরে বার্লিনের ব্যবসায়ী লুই রাফেন ৩০০ স্বর্ণমুদ্রায় এই সম্পত্তি কিনে নেন এবং ১৮৭৭ নিও গথিক স্থাপত্যরীতিতে দুর্গটি পুনঃনির্মাণ করেন৷



রাইনস্টাইন দুর্গ
ইতিহাসের পাতায় মধ্য রাইন উপত্যকায় রাইনস্টাইন দুর্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৩২৩ সালে৷ ষোড়শ শতকে ধসে পড়ার পর স্থপতি কার্ল ফ্রিডরিশ ১৮২৩ সালে প্রুাশিয়ার প্রিন্স ফ্রিডরিশ-কে এই দুর্গের সম্পত্তি কিনে নিতে অনুরোধ করেন৷ রোমান্টিক যুগে রাইনের তীরে পুনঃনির্মাণ করা প্রথম দুর্গ হলো এই রাইনস্টাইন কাসল৷



মার্কসবুর্গ কাসল
রাইনের তীরে ব্রাউবাখ শহরে মার্কসবুর্গ কাসল গড়ে তোলা হয় ১২ শ’ শতকের শুরুর দিকে৷ এখন পর্যন্ত এর মূল কাঠামো অটুট আছে৷ মধ্য রাইন উপত্যকায় পাহাড়ের ওপর নির্মিত দুর্গগুলোর মধ্যে একমাত্র্র মার্কসবুর্গই কখনো পরাভূত বা ধ্বংস হয়নি৷ রাইন উপত্যকার এ অংশে প্রতি আড়াই কিলোমিটার অন্তর অন্তর একটি করে দুর্গ ছিল এক সময়৷ ২০০২ সালে এ এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেস্কো৷



বুর্গহাউসেন দুর্গ
আপার বাভারিয়ার বুর্গহাউসেন শহরে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই কাসল কমপ্লেক্স৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী এই দুর্গ চত্বরের দৈর্ঘ্য ১০৫১ মিটার৷ ১০২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নির্মিত এই দুর্গ বাভারিয়ার ভিটেলসবাখ সাম্রাজ্যের শাসকদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হতো৷



এটৎস কাসল
এক সময় জার্মানির ৫০০ মার্কের নোটে এই দুর্গের ছবি আঁকা ছিল৷ ১২ শ’ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এই স্থাপনা জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত দুর্গ৷ মোজেল নদীর ধারে পাহাড়ের ওপর ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের একখণ্ড পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এটৎস কাসল এখন জার্মানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র৷



রেমবার্গ দুর্গ
মধ্যযুগে নুরেমবার্গ কাসল ছিল জার্মান সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাসাদ৷ রোমান সাম্রাজ্যের শাসকেরা একশ বছরেরও বেশি সময় এ প্রাসাদে বসবাস করেছেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও পরে মূল স্থাপনাটির আদলে গড়ে তোলা হয় বর্তমান দুর্গটি



ভার্টবুর্গ
ভার্টবুর্গ কাসলকে কেউ কেউ জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ বলে থাকেন৷ মধ্য জার্মানির আইজেনাখ শহরে ১০৬৭ সালে এ দুর্গ নির্মাণ করা হয়৷ রোমান সম্রাটের কোপানল থেকে বাঁচতে ১৫২১ সালে এই দুর্গেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্যাথলিক সাধু মার্টিন লুথার৷ এখানে বসেই তিনি জার্মান ভাষায় নিউ টেস্টামেন্টের অনুবাদ করেন৷ ১৯৯০ সালে ইউনেস্কো ভার্টবুর্গ দুর্গকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে৷



হোয়েনসলার্ন কাসল
হোয়েনসলার্ন বংশের শাসকরা জার্মানি শাসন করেছেন ১৮৭১ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত৷ তাদেরই একজন ১৮৫০ সালে পিতৃপুরুষের ভিটায় এই দুর্গ নির্মাণ করেন৷ বাডেন ভুর্টেমব্যার্গে পাহাড়ের ৮৫৫ ফুট ওপরে হোয়েনসলার্ন দুর্গের অবস্থান৷


সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×