somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সুপারহিরো ইউনিভার্সের কপালে কি ঘটতে যাচ্ছে?

২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশের সুপারহিরো ইউনিভার্স প্রায় সাড়ে ছয় বছর হতে চলেছে। ছয় সিজন বা ছয় মৌসুমে এখন পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের ও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো গল্প সিরিজ। কিলিং ডিসেম্বর-৩ এর মাধ্যমে এভেঞ্জারের মতো ফেজ-৩ ও শেষ হলো। প্রায় ৬০ টিরও বেশি প্রধান চরিত্র ও গল্প উপন্যাস দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ইউনিভার্স। এর পুরো থিংকট্যাংক হলেন মুহাম্মদ রাগিব নিযাম। একাই তিনি ৭টি সিরিজ, ৫টি সুপারহিরো জোট, ৩ টি খলনায়ক জোট, ভিন্ন দুইটি পৃথিবী(দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃথিবী) এনেছেন।

পটভূমি
২০১৩ সালে “ব্লাডশট ডেডস্পট” দিয়ে যাত্রা শুরু হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সের। যদিও প্রথম দিকে এর নামকরণ হয় নি। ছাড়া ছাড়া ভাবে চরিত্রগুলি বের হতে শুরু করে। শুধু “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” দিয়েই সিরিজটি চালু হয়। একে একে ৭টি চরিত্র সে বছর প্রকাশ করা হয় নিজস্ব অরিজিন দিয়ে। পাহাড়, জুজু, মাটি, অঙ্গার, রশ্মি, ছায়া, যন্ত্র এই নামগুলোর প্রত্যেকটির নামের সাথে মানব যোগ করা হয়।

সে বছরেই “এজেন্টস অব ডি” নামে একটি সিরিজ আসে। এজেন্ট রণিনের সলো গল্প বা অরিজিনের পরেই রাগিব নিযাম আটটি গল্প প্রকাশ করেন। এজেন্টস অব ডি সিরিজের নকল মানুষ, ক্রোধ, অপারেশন গাজা উল্লেখযোগ্য। এখানে অপারেশন গাজায় অঙ্গারমানবের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

২০১৪ সালে অল্প সংখ্যক গল্প বের হলেও(কপিমাস্টার, নার্ভমাস্টার, রানার, রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজ) ২০১৫ তে উল্লেখযোগ্য চরিত্র যোগ হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সে। অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী সে বছর প্রকাশ পায়। পরে ডিসির কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র নন ক্যানন উপস্থিতি দিয়ে “দ্য রাইভাল নাইটস” নামে একটি গল্প আনেন যেখানে অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী, চাবুকি ও বাজের উপস্থিতি ছিলো। ক্রমানুসারে পরের বছর ২০১৫ থেকেই সকল টিম, সুপারহিরো নিয়ে মহাজোট “দুর্ধর্ষ সংঘ” এর একটি বার্ষিক একটি উপন্যাস সিরিজ রাগিব চালু করেন যার নাম কিলিং ডিসেম্বর। এই সিরিজটির এখন পর্যন্ত তিনটি প্রকাশনা মুক্তি পেয়েছে। সে বছরই দশবজ্র বা টেন ঠান্ডার সিরিজের সূচনা হয়।

২০১৬ সালে “রাতের প্রহরী”র সাথে সংযুক্ত দুটি জোটের সূচনা হয়। একটি গোপন সংঘ, আরেকটি প্রহরী কর্প। ২০১৭ সালে রানার চরিত্রটির প্রথম সংস্করণ অবলুপ্ত ঘোষণা করেন রাগিব নিযাম। এর কিছুদিনের ভেতরেই অধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন রানার-২ এর সূচনা আনেন রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজের একটি গল্পে। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় কিলিং ডিসেম্বর-২ উপন্যাসটি।

২০১৮ সালে এজেন্টস অব ডি এর মোহ, জলমানব, রাতের প্রহরীর মরণপণ, গোপন সংঘের দহন, ভোল প্রকাশ পায়। এর পাশাপাশি রাগিব মাল্টিভার্সের আসার ইঙ্গিত দেন। অণুমানবের মৃত্যু হয় ও দ্বিতীয় অণুমানবের জন্ম হয় “মৃত্যু ও পুনরুত্থান” গল্পে। সাথে আসে ছায়ামানবের “ছায়াবৃত্ত” ও জুজুমানবের “আমিই জুজু” টাইটেলের গল্প।

কিলিং ডিসেম্বর-৩ বিলম্বিত করে পরের বছরে নেয়া হয়। এর সাথে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী” নামে একটি সিরিজ ও এর সংযুক্তি হিসেবে টেন ঠান্ডার বা দশবজ্র সিরিজের গল্প আসে। রাগিব পরের বছর “তৃতীয় পৃথিবী” এর ঘোষণা দেন।

২০১৯ সালের বিশাল ১৫টি পর্বে কিলিং ডিসেম্বর-৩ প্রকাশিত হয়। রাগিবের সাড়ে ছয় বছরের সবচেয়ে বড় উপন্যাস ছিলো এটি। এখানে ভিনগ্রহের মহাখলনায়ক দাফকানকে আনা হয়। এর সাথে সাথে মৌসুম ছয়ের লোগো পালটানো হয় ও আরো তিনটি যথাক্রমে- মরচে, হিমাংশু ও নীহারিকা গল্পটি প্রকাশ করা হয়। এ বছরই কমিক আর্টিস্ট জুলকারনাইন মেহেদী ঘোষণা দেন রাগিবের সাথে কাজ করার। দেখা যাক দেশের সবচেয়ে বড় ফিকশনাল ইউনিভার্স কমিকে কিভাবে রূপ নেয়।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×