somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগলাঃ এটি একটি আততায়ী বই রিভিউ- বাংলাদেশের সবচেয়ে মারদাঙ্গা টাইপের নিরীহ বই

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৫পাতার একটি বই। মানে ৫০ পেজ। কিন্তু, লেখনীর শক্তি দিয়ে আবারো তিনি প্রমাণ দিলেন তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সবচেয়ে শক্তিধর লেখকদের একজন হবেন। বলছিলাম বাংলাদেশের বহুল চরিত্র দিয়ে গড়া "বাংলাদেশের অতিমানবেরা" ইউনিভার্স সিরিজের লেখক মুহাম্মদ রাগিব নিযামের নতুন ও দ্বিতীয় ই-বুকের কথা। দামে কম, মানে ভালো একটা ফিল পাওয়া গেলো বইটা ক্রয় করার পর।

মোবাইলে ওপেন করার পর বইটা নতুন বইয়ের মতন চকচকে না হলেও লেখার তলোয়ারে সমানে কুপিয়েছেন লেখক। ভয়ংকর একজন সাইকোপ্যাথকে বানিয়েছেন এন্টি-হিরো থেকে মহানায়ক। বইটা পড়ে অনেকদিন পর নিজেকে মাসুদ রানা জনরা থেকে বের করে আনতে পারলাম। এবং আবিষ্কার করলাম এক নতুন স্বাধীন মতাদর্শ।

লেখক গল্পগুলো প্রতিনিয়ত একটা বিশাল স্টোরি ডেভেলপমেন্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। গুচ্ছ গুচ্ছ গল্প দিয়ে তৈরি এই সিরিজের অসংখ্য টাইটেল। সেবা প্রকাশনীর যেমনঃ মাসুদ রানা, তিন গোয়েন্দা, কুয়াশা ঠিক তেমনি রাগিবের তৈরি করা "এজেন্টস অব ডি, তরুণ সংঘ, দশবজ্র, রেড ব্যটেলিয়ন, গোপন সংঘ ও সর্বশেষ দুর্ধর্ষ সংঘ" এই টাইটেল্গুলি অনলাইনের বিশাল গল্প সম্ভা্রে দিয়ে আমাদের বাংলা সাহিত্যে করে যাচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। কি দেননি তিনি আমাদের? ২০১৩ সালে এই "বাংলাদেশের অতিমানবেরা" ইউনিভার্স শুরু করে এখন পর্যন্ত ১০০টির উপর ছোট বড় গল্প লিখেছেন। একেকটি টাইটেলের কম পক্ষে ৩-৪টা গল্প আছে। আর চরিত্রভিত্তিক গল্প বলতে গেলে তো একশোটার উপরও হবে।

আর এখানে অনুযোগ- আমরা ইউনিভার্স বলতে বুঝি অনেকগুলো গ্রহ, তারা, নক্ষত্র সম্বলিত একটা মহাবিশ্ব। তার মানে নামকরণে নিশ্চয়ই অনেক কিছু লুকায়িত আছে। এই সিস্টেমে মূল পৃথিবীতে যত চরিত্র আছে তাদের সবগুলোর কপি আছে অন্যান্য পৃথিবীতে! চিন্তা করেন তিনি কতবড়ো ভারসেটাইল লেখক।

আর সেই ভারসেটাইল লেখক তার নিজের করা সকল প্রথা ভেঙে আনলেন এক নতুন কিরণছটা। পাগলাঃ এটি একটি আততায়ী বই কথা বলে একজন সমাজ দূষণ বিরোধী মানুষের। যে ছোটবেলা থেকে অবহেলিত হয়ে একসময় সমাজের বিরুদ্ধে যায় ও সমাজের নীচ হতে উঠে আসা কীটদের সাথে লড়ে।

স্পয়লার না দিয়ে অনুরোধ করবো ই-বুকটি কিনে জিমেইল দিয়ে এক্সেস করে পড়ে ফেলুন বইটি। বইটির দাম রাখা হয়েছে ৫০টাকা। কেনা যাবে- এখান থেকে

যেতে যেতে পাগলা বই থেকে একটা উদ্ধৃতি দিয়ে যাই, "ভয় হলো সেটাই যা আপনার উপর ভর করে, আর সাহস হলো সেটাই যা উপর আপনি ভর করেন।"
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২২
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×