somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় চলেছি???

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত কালকে আমি খবরটি ফেসবুকে এবং কিছু অনলাইন নিউজপেপারে দেখতে পাই...!!! খবরটি শনার পর থেকে অনেকবার ভেবেছি এই নিয়ে কিছু লিখবো, কিন্তু প্রতিবারই লিখতে যেয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি...!!! কি লিখবো??? কিভাবে লিখবো????

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যে কলুষিত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তা কল্পনা করার মত সাহস আমার নাই, মানুষ হিসেবে আমি খুব দুর্বল মনের মানুষ, অনেকবার চোখ বন্ধ করে সেই পশুদের কর্মকাণ্ড নিয়ে লেখার জন্নে ভাবতে গেছি, ঠিক ততবারই শিউরে উঠেছি,...!!!! এরা কি আদউ মানুষ, নাকি অন্য কোন প্রাণী...!!! মানুষ কখনও এতটা নিচে নেমে যেতে পারে তা আমার বিশ্বাস হয়না, আর যদি সত্যি কিছু মানুষ এই কাজ করে তাহলে বুঝতে হবে এ সমাজ, এ দেশের পতন অনিবার্য, ধ্বংসের দারগোরায় আমার পউছে গেছি...!!!

যে সমাজ, যে দেশ নারীদের সম্মান করতে জানে না সে দেশের উন্নতি কখনও সম্ভব না...!!! তর্কের খাতিরে অনেকেই বলবেন সেই মেয়েগুলোকে অখানে কে যেতে বলেছিল, তাদের পোশাক নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলবেন...!!! আমি বলি কি মশায়, কুকুর পাগল হয়ে গেলে সে ভালো মন্দ দেখে কামড়ায় না...!!!!
একটা দেশের তৃতীয় বৃহৎ জাতিয় উৎসবে মেয়েরা ঘরে বসে থাকবে এমনটা তো সেই পঞ্চাশের দশকেও কেউ ভাবেনি, আর এখন তো একবিংশ শতাব্দী...!!!! তার উপর জায়গাটাও তো দেখা জরুরী, দেশের শুধু না, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোন মেয়ে নিরাপদ না থাকতে পারে তাহলে তো সে কোথাও নিরাপদ নয়,...!!!!

অপরাধী শুধু তারা নয়, যারা আশেপাশে থেকেও প্রতিবাদ করেনি, যারা এখনও মনে মনে সেই মেয়েগুলোকে দোষারোপ দিয়ে যাচ্ছেন তারা সবাই সমান অপরাধী...!!! যেটা অন্যায়, সেটা সবসময়ই অন্যায় ছিল, থাকবে, আছে...।!!! অন্যায়কে অন্যায় না বলাটাও অপরাধ...!!!!

এই ধরনের অন্যায় কে প্রতিহত করতে হলে তিন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া জরুরিঃ
এক, ডিরেক্ট গণধোলাই, যেখানে এই ধরনের কিছু দেখতে পাওয়া যাবে এক জঙ্কে সাহস করে এগিয়ে আসতে হবে, আর সবাই মিলে উপর্যুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে,...!!! কারন যেখানে সত্যি চলে না সেখানে মিথ্যা বলতে হয়, যেখানে হক পাওয়া যায়না সেখান লুঠ করতে হয়, আইন যেখানে অসহায় সেখানে নিজের হাতে আইন তৈরি করে নিতে হয়...!!!

দুই, মূল্যবোধ ও পারিবারিক শিক্ষা, সমাজের এইসব ঘটনা আমাদের চখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, জাতি হিসেবে আমাদের মুল্যবধের চরম অবক্ষয় ঘটেছে, এমতাবস্থায় আমাদের মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে, পারিবারিক শিক্ষা বাড়াতে হবে, যে পরিবারের ছেলেটা এমন পারভারটেড হয়ে গেল সেই পরিবারের বাবা, মা কেমন, ভাই বন গুলা কেমন আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, আমার মনে হয় তাদের পারিবারিক বন্ধন বলতে কিছু নাই, তারা হয়তো জেনেটিকালি এক পরিবারের কিন্তু মানসিকভাবে তাদের মদ্ধ্যে কোন বন্ধন নাই...।!!

তিন, সৃজনশীলতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা, আজকে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা টেকনলজিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, টেকনোলোজি অবশ্যই আশীর্বাদ সরূপ যদি তা সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় ব্যাবহার করা যায়, কিন্তু টেকনোলোজি যদি আমাদেরকে অলস করে দেয় তাহলে সেই টেকনোলোজি খারাপ...!!!! আধুনিক টেকনোলোজি এখনকার ছেলে মেয়েগুলোকে প্রতিবন্ধি করে দিচ্ছে, কেউ আইডিয়া নিয়ে কাজ করছে না, সবাই ইন্টারনেটে শর্টকাট খোঁজে, যে সময়টাতে সে কোন কিছু নিয়ে ভাবতো সেই সময়তা তারা ফেসবুকে, টুইটারে, ইউটিউবে ব্যয় করছে, তাও যদি ভালো কাজে ব্যয় করতো কোন সমস্যা হত না...।!!! পরিবার থেকে প্রতিটা ছেলেমেয়েকে সৃজনশীলতার দিকে মুক্তবুদ্ধির পিছনে ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে...।!!!! অলস মস্তিষ্ক অবশ্যই দুস্টু বুদ্ধির কারখানা...।!!!

পরিশেষে বলতে চাই, যে জাতি তার মা বোনদের সম্মান দিতে জানে না, সে জাতির ধ্বংস সুনিশ্চিত, যে জাতির রয়েছে বাহান্ন, একাত্তরের মত গর্বিত অর্জন সে জাতি হিসেবে আমারা কেমন করে পারি এই ধরনের অন্যায় কে প্রস্রয় দিতে,??? কেন আমরা আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারবো না??? আমরা কি এতটাই দুর্বল, এতটাই কাপুরুষ???? যে জাতির রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় গাথার অমর সাহসিকতার ইতিহাস সে জাতি কেন আজ ভয়ে, কাপুরুষতায় আস্তাকুড়ে চলে যাবে, কেন সে জাতি এভাবে কলঙ্ক হয়ে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে???
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×