ফোন দিলাম- তুমি কোথায়? তিনি বললেন- আমি নিউমার্কেটের এক নং গেটে দাঁড়িয়ে আছি।
চোখে সানগ্লাস। হাতে ব্রেসলেট। কানে বড় বড় দুল। জিন্সের প্যান্ট ও সবুজ কামিজ পরে দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। কাছে গিয়ে দুরু দুরু বুকে জানতে চাইলাম- আপনি কি “রোজি?” মিষ্টি হাসি হেসে সে বলল- হ্যাঁ, তুমি কি বাবু? বললাম- জি।
এই তাঁকে প্রথম দেখা। আগে ফোনে কথা হয়েছিল।
ফোনে যার সাথে কথা বলতাম সে এত্ত সুইট! টিকালো নাক। কাঁঠালচাঁপা ফুলের মত গায়ের রং। মাথা ভর্তি ঘন কালো সিল্কি চুল। ঝকঝক সাদা ছোট্ট ছোট্ট দাঁত। প্ল্যাক করা সরু ভ্রু। কাজল কালো ডাগর, ডাগর চোখ। জিরো ফিগার। অসাধারণ এক নারী। আমি তো তাঁকে দেখে পুরাই থ; আবেগে আমার পুরো শরীর বরফ হয়ে গেছে।
সে আলতো করে আমার হাত ধরে, বললেন- কেমন আছো? আমি বাকরুদ্ধ। কেঁপে কেঁপে বললাম- ভালো। বলল- কি খাবা? বললাম- না, কিছু খাব না। তুমি কি খাবা? হেসে বললেন- তুমি তো গেস্ট; তাই আমিই খাওয়াব। তিনি যখন হাসলেন- মনে হল, তাঁর মুখ থেকে মুক্তা ঝরছে। আমাকে নিয়ে সে হাঁটতে শুরু করল। খুব দ্রুত হাঁটে সে, এমনভাবে পা ফেলে মনে হয়, তিনি হাঁটছেন না। দেশ জয় করছেন। সে খুব মিষ্টি করে কথা বলে, মনে হয় যেন কথা বলছে না, ভালোবাসা দিচ্ছে। তাঁকে দেখে আমার মনে হয়েছে- সে কোন মানবী নয়, সে একটা পরিজাত ফুল। পরিজাত ফুল আমি দেখেনি, তবে গল্পে পড়েছি- তা নাকি খুবই সুন্দর স্বর্গীয় ফুল। তাই তাঁকে আমি পরিজাত ফুল বলেই ডাকতাম।
ভেবেছিলাম- এ ফুল চিরদিন আমার বাগানে থাকবে। কিন্তু না, দিন যত গড়াল, পরিজাত ফুল ততই দূরে সরতে শুরু করল। এখন সে আর আমার নয়, অন্যের পরিজাত ফুল।