
সেই ২০০০/০১ সালের কথা। নানার বাড়ীতে বিকেলে আমরা সমবয়সীরা গোল্লাছুট খেলছি। পাশের বাড়ীর এক মেয়ের সাথে কি নিয়ে যেন তর্ক হলো। আমি ক্ষেপে গেলাম, খেলা শেষে সে তাঁর বাড়ী ফেরার পথে সড়কে তাকে আটকানোর ফন্দি আটলাম। আমরা তিনজন দৌড়ে আগে থেকেই সড়কে অবস্থান করছি। সড়কের একপাশে নাড়ার পাড় (স্তুপ) করে রাখা। সে সামনে আসতেই আমি তাকে জড়িয়ে ধরে দুই নাড়ার পাড়ের মাঝখানে ঝাপ দিয়ে পড়েছি।
মুহুর্তেই সেখান থেকে উঠে সে সম্ভবত আমাকে গালাগালি করে চলে গেছে। অনেক দিন আর আমাদের এদিকে আসেনি। আমার একক ইচ্ছায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম সেদিন। এটা একতর্ফা হাগ আরকি।
আমরা ছোট বেলায় সরিষা, গম ক্ষেতের ভেতর থেকে বত্তা হাগ তুলতাম। এলছা, আমখুদুরি, কলমি সহ নাম ভুলে যাওয়া বহু হাগ তোলে আনতাম। তরকারির পাশাপাশি, ভর্তা কিংবা ভাজি করে খাওয়া হতো সেসব হাগ।
হাগ মানে শাক। এটা কুমিল্লার আঞ্চলিক শব্দ। আজ নাকি হাগ (কোলাকুলি) ডে। আর আমরা ছোট সময় সেই হাগ মজা করে তুলতাম, খেতাম।
আমাদের ছোট সময়ের সেই বান্ধবী আমার ফ্রেন্ডলিস্টেও আছে এখন। কিন্তু আমাকে সে চিনে না। তার সাথে কথাও হয়না। কারন আমি মামার বাড়ী থেকে চলে আসার পর তার সাথে দেখা হয়নি। অবশ্য তখনও বেশি চলফেরা ছিলো না, আমাদের বয়সও ছিল মাত্র ১১/১২ তখন। মাঝেমধ্যে একসাথে গ্রামীণ খেলাধুলা হতো বড়জোর।
সেই মেয়েটির বিয়ে হয়েছে। তাঁর ছেলে আজ অনেক বড় হয়ে গেছে দেখলাম।
হাগ ডে-তে শৈশবের দুষ্টমির স্মৃতি মনে পড়লো। পিচ্চি কালে ঐরকম দুষ্টমি করলেও মেয়েদের সামনে আমি বেশ লাজুক এখনো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




