আমরা তিনজন আড্ডা দিব-তিন জনের বয়স ভিন্ন,আকার ভিন্ন......সব সব ভিন্ন---এক জায়গায় ভয়ংকর মিল---তিনজনই উগ্র দেশ প্রেমিক।তিনজনের একটা বড় মিল -- যদিও জানি কিছু হবে না......রাজাকারদের নিয়ে চিল্লাপাল্লা কইরা.....তবুও চিল্লাই।
তিন সংখ্যার ক্ষমতা আমার ভালকরে জানা নাই--ব্লগার ম্যাভেরিক ভাই বলতে পারতেন।
তবে আমার মতে তিনের সবচেয়ে বড় লাভ আড্ডাবাজিতে....দুজনেও হয়,তবে তিনজনে হলে ব্যাপ্তিটা বেড়ে যায়।এরচেয়ে বেশি হলে আড্ডায় বিভক্তি আসে।
তিনজনে আড্ডা বা তিনের প্রতি আকর্ষণ আমার সেই থ্রী ম্যান ইন অ্যা বোট থেকে। যদিও আমি যাদের সাথে আড্ডা দিতে চাচ্ছি ওনারা দুজনেই আমার চেয়ে বয়সে বড়... দুজনেই বিবাহিত,সন্তানের বাপ এবং অনেক অনেক জ্ঞান রাখেন,ওনাদের সাথে কথা বলে চোখ কান নাক গলার যাবতীয় অসুখের সুরাহা হবে এই আশা রাখছি। তাই তো আড্ডার প্রস্তাব,মৌখিক ভাবেও তিনজনই পাশ করেছেন।
সবচেয়ে বড় যে অসুবিধায় পড়তে হবে তা হল --- চা খাবার সময়,চার সাথে অন্য কিছু খাওয়া যাবে না এটাই প্রবলেম,ওনাদের দুজনের মত মানুষের সামনে এটা টানাও চতুর্থ মাত্রার একটা পাপ।
"তবু সান্তনা,আকাশ পাঠায় স্বর্গ শিশির,জোনাকি মেয়েরা বিন্দু বিন্দু আলোর নূকুরে ভরে দেয় মাঠ,তোমার রাজ্যে একা একা হাটি,আমি সম্রাট।"
আজকে প্রিয়তমাকে বললাম-- ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছি,দুই জন যুগ শ্রেষ্ঠ ব্লগারের সাথে আড্ডা দিব। লাবণ্যও শুনে খুশি।বোকা একটা মেয়ে--যখন দেখে সামু আমাকে ব্যান বা জেনারেল করে তখন খুব দুঃখ পায়,আবার নিরাপদ করতে দেখলে আমাকে অভিনন্দন জানায়,আমি হাসি।বলি এটাকে সিরিয়াসলী নাও কেন?পাগলী।ও মন খারাপ করে.. আমি হাসি.........হাহাহাহাহহাহা এই তো জীবন, ব্লগীয় জীবন।