২৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে ব্যাপক দুর্নীতির খবর পেয়ে আমি যার পরতারনাই দুঃখ পাইছি।অনেক আশা ছিল, অনেক স্বপ্নছিল... যদিও প্রথমে দিতে চাই নাই.... বাসার সবার চাপাচাপিতে শেষদিনে ফরমপূরণ করে প্রবেশপত্র পাই,.......দিন যেতে থাকে আমিও ভুলে যাই পরীক্ষার কথা,একদিন হঠাৎ করে জানতে পারলাম কালকে বিসিএস পরীক্ষা..... সকালে ঘুম থেকে উঠে দিলাম দৌড়.... উদ্দেশ্য মিরপুর,ভুল হয়ে গেছিল কলম পেন্সিল ছিল না।হলের সামনে থেকে কিনে গেলাম পরীক্ষার রুমে যেয়ে দেখি জোড় বিজোড়..... যা হোক পরীক্ষা দিলাম.... আমার চারপাশের সবাই ভাবল আমার প্রস্তুতি ভাল ..... তার উপর ইঞ্জিনিয়ার .... অংক বিজ্ঞান ইংরেজী ..... সবই পারি .... তার উপর সন্দুর একটা ঘুমের কারণে চেহারা ছিল আত্ম বিশ্বাসে ভরা ..... ফাটাইয়া পরীক্ষা দিলাম .... খাতা খুলে রাখলাম .... সবাইরে বলে কয়ে ১০০টা প্রশ্নই দিয়ে আসছিলাম .... জানি হবে .... তাই খুশি ছিলাম..... কিন্তু দুঃখের বিষয় একটু আগে রেজাল্ট দেখে খুব দুঃখ পাইছি .... তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাইলাম ..... আমার আশেপাশের ৫০জনের কেউই পাস করে নাই।আমারটা নিয়ে আমার দুঃখ না.... কিন্তু এভাবে আমার আশে পাশে কারোই হল না দেখে দুঃখ পাইছি...... যদিও জানি নেগেটিভ মার্কিং এর জন্য আমি বাঁশ খাইছি ..... তবুও আমার মনে ক্ষীণ সন্ধেয় আমাকে আমার আশে পাশে যারা ছিল তাদের প্রতি বৈষম্য করা হইছে...... আমি এর বিচার দাবি করছি।
আর যদি বিচার না করা হয় .... তো আমি কোচিং এ ভর্তি হব... ক্যাডার হইয়া ছাড়বোই ছাড়বো..... দেখি কে ঠেকায়।আমার পরিচিত একজনের হইছে ..... সে শিবির
এর শাখা সভাপতি ..... এখনও তৎপর.... অবশ্য তার পিতা নাকি লীগ করে ... পিতা পুত্রের ইচ্ছা .... হাসিনা আপার পায়ের ধুলা নিবে .... আর আমি গু খাওয়া লীগার আর আমার বিসিএস হয় না...... কৈ যাই
আমি ২৯তম বিসিএস প্রিলি এর রেজাল্ট প্রত্যাখান করলাম