মেয়েটার একটা ফুল গাছ ছিলো । খুব সুন্দর ফুল ফোঁটার কথা ছিলো সেই গাছে। সেই ফুলের নাম জানা নাই, জাত জানা নাই। সেই ফুলের চেহারাও কেউ কোনদিন দেখেনাই। কিন্তু তারপরও মেয়েটা নিয়ম করে গাছে পানি দিতো। গাছটা আস্তে আস্তে বড় হয়, ডাল পালা মেলতে থাকে। কিন্তু ফুলের দেখা মেলেনা। তারপরেও মেয়েটা গাছে পানি দিতে ভুল করেনা। গাছটাই এখন তার খুব প্রিয়। ফুলের কথা মনেই থাকেনা। যে জিনিস কখনো ছিলোনা, সেতো নাই হতে পারেনা, তাকে খোঁজা হয়না, তাকে আর পাওয়াও যায়না। যে নাই, সে নাই ই থেকে যায়। কিন্তু গাছটাও বড় পাজি। দিক্বিদিক জ্ঞ্যানশূন্য হয়ে সে কেবল বাড়তেই থাকে। সে মেয়েটার উঠান দখল করে নেয়। সে মেয়েটার ঘর ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তারপরেও গাছটা তার খুব প্রিয়। কে আছে আর তার এই গাছটা ছাড়া। কে আর তাকে এই গাছের মতো আগলে রাখবে। কে তার বন্ধু হবে। গাছটাই যে তার বড় আপন। কিন্তু তারপরেও কি জানি একটা নাই। বুকের ভেতর নিখোঁজ একটা হাহাকার। গাছটা তর তর করে বাড়ে। মেয়েটা গাছের বাড়ন্ত ঝুরির মধ্যে নতুন আশ্রয় খুঁজে নেয় আর মাঝে মাঝে আকাশ দেখে। আকাশ তার বড় প্রিয়। সে যেখানে যায় আকাশ তার সাথে সাথে যায়। আকাশ কখনো তাকে একা ফেলে রাখেনা। মাঝে মাঝে তার মেঘ হতে ইচ্ছে করে আকাশের বুকে উড়ে বেরাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গাছটাও যে তার বড় প্রিয়। এই গাছ ছেড়ে সে কোথাও যাবেনা। কিন্তু গাছটা একদিন একটা কান্ড করলো। সে মেয়েটার আকাশ ঢেকে দিলো। মেয়েটা হতবাক। সেতো কখনো এভাবে ভাবেনি। সে আকাশ দেখতে চায়। সে গাছটাকে সাথে নিয়ে আকাশ দেখতে চায়। কিন্তু সেটা হবার নয়। এই পৃথিবী সব পাবার পৃথিবী না। এই পৃথিবী একটা পাওয়া দিয়ে অনেকগুলো না পাওয়ার কষ্ট ভুলে থাকার পৃথিবী। মেয়েটা কি তবে আকাশ দেখতে বেরুবে, নাকি গাছের কাছে থেকে আকাশের নীল রঙ ভুলে যাবে। কষ্ট ভীষণ কষ্ট। সব না পাওয়ার কষ্ট। না পাওয়ার কষ্ট কি এতোই শক্তিশালী যে পাওয়ার আনন্দ ভুলিয়ে দেয়? মেয়েটা বুঝেনা। সে শুধু কষ্ট পায়। গাছ বুঝতে চায়না। আকাশ বুঝতে চায়না। সে বুঝতে চায় কিন্তু সে বুঝতে পারেনা। সে শুধু কষ্ট পায়। পৃথিবীতে কষ্ট পাওয়া সবচেয়ে সহজ পাওয়া। মেয়েটার হঠাৎ সেই ফুলের কথা মনে পড়ে। নাম না জানা ফুল। যে ফুলের জন্য এতো যত্ন করে গাছটাকে বড় করেছে। সেই ফুল আজো ফুটলোনা। তবে কি আর ফুটবেনা? সবই কি ভুল ছিলো। ফুলটা কি সত্যি সত্যি মিথ্যে ছিলো? মেয়েটা ভিভ্রান্ত হয়। তার হৃদপিণ্ড যেন শুদ্ধ রক্তের সাথে সাথে হাজার কোটি কষ্টের হুল ফুটিয়ে দেয় তার সারা গায়ে। কি হবে যদি সে চলে যায় আর ঠিক তখনি ফুলটা ফোটে। যদি অন্য কেউ নিয়ে যায় তার ফুল। কিংবা আকাশ যদি তার কাছ থেকে হারিয়ে যায় চিরদিনের জন্য। আকাশের নীল যে তার বড় পছন্দ। ঠিক এই কথা না রাখা গাছের মতো পছন্দ, সেই না দেখা ফুলের মতো পছন্দ। সে কার কাছে যাবে। মেয়েটা কষ্ট পায়। ভীষণ কষ্ট। পৃথিবীতে কষ্ট পাওয়া সবচেয়ে সহজ পাওয়া।
কষ্টকন্যা
মেয়েটার একটা ফুল গাছ ছিলো । খুব সুন্দর ফুল ফোঁটার কথা ছিলো সেই গাছে। সেই ফুলের নাম জানা নাই, জাত জানা নাই। সেই ফুলের চেহারাও কেউ কোনদিন দেখেনাই। কিন্তু তারপরও মেয়েটা নিয়ম করে গাছে পানি দিতো। গাছটা আস্তে আস্তে বড় হয়, ডাল পালা মেলতে থাকে। কিন্তু ফুলের দেখা মেলেনা। তারপরেও মেয়েটা গাছে পানি দিতে ভুল করেনা। গাছটাই এখন তার খুব প্রিয়। ফুলের কথা মনেই থাকেনা। যে জিনিস কখনো ছিলোনা, সেতো নাই হতে পারেনা, তাকে খোঁজা হয়না, তাকে আর পাওয়াও যায়না। যে নাই, সে নাই ই থেকে যায়। কিন্তু গাছটাও বড় পাজি। দিক্বিদিক জ্ঞ্যানশূন্য হয়ে সে কেবল বাড়তেই থাকে। সে মেয়েটার উঠান দখল করে নেয়। সে মেয়েটার ঘর ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তারপরেও গাছটা তার খুব প্রিয়। কে আছে আর তার এই গাছটা ছাড়া। কে আর তাকে এই গাছের মতো আগলে রাখবে। কে তার বন্ধু হবে। গাছটাই যে তার বড় আপন। কিন্তু তারপরেও কি জানি একটা নাই। বুকের ভেতর নিখোঁজ একটা হাহাকার। গাছটা তর তর করে বাড়ে। মেয়েটা গাছের বাড়ন্ত ঝুরির মধ্যে নতুন আশ্রয় খুঁজে নেয় আর মাঝে মাঝে আকাশ দেখে। আকাশ তার বড় প্রিয়। সে যেখানে যায় আকাশ তার সাথে সাথে যায়। আকাশ কখনো তাকে একা ফেলে রাখেনা। মাঝে মাঝে তার মেঘ হতে ইচ্ছে করে আকাশের বুকে উড়ে বেরাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু গাছটাও যে তার বড় প্রিয়। এই গাছ ছেড়ে সে কোথাও যাবেনা। কিন্তু গাছটা একদিন একটা কান্ড করলো। সে মেয়েটার আকাশ ঢেকে দিলো। মেয়েটা হতবাক। সেতো কখনো এভাবে ভাবেনি। সে আকাশ দেখতে চায়। সে গাছটাকে সাথে নিয়ে আকাশ দেখতে চায়। কিন্তু সেটা হবার নয়। এই পৃথিবী সব পাবার পৃথিবী না। এই পৃথিবী একটা পাওয়া দিয়ে অনেকগুলো না পাওয়ার কষ্ট ভুলে থাকার পৃথিবী। মেয়েটা কি তবে আকাশ দেখতে বেরুবে, নাকি গাছের কাছে থেকে আকাশের নীল রঙ ভুলে যাবে। কষ্ট ভীষণ কষ্ট। সব না পাওয়ার কষ্ট। না পাওয়ার কষ্ট কি এতোই শক্তিশালী যে পাওয়ার আনন্দ ভুলিয়ে দেয়? মেয়েটা বুঝেনা। সে শুধু কষ্ট পায়। গাছ বুঝতে চায়না। আকাশ বুঝতে চায়না। সে বুঝতে চায় কিন্তু সে বুঝতে পারেনা। সে শুধু কষ্ট পায়। পৃথিবীতে কষ্ট পাওয়া সবচেয়ে সহজ পাওয়া। মেয়েটার হঠাৎ সেই ফুলের কথা মনে পড়ে। নাম না জানা ফুল। যে ফুলের জন্য এতো যত্ন করে গাছটাকে বড় করেছে। সেই ফুল আজো ফুটলোনা। তবে কি আর ফুটবেনা? সবই কি ভুল ছিলো। ফুলটা কি সত্যি সত্যি মিথ্যে ছিলো? মেয়েটা ভিভ্রান্ত হয়। তার হৃদপিণ্ড যেন শুদ্ধ রক্তের সাথে সাথে হাজার কোটি কষ্টের হুল ফুটিয়ে দেয় তার সারা গায়ে। কি হবে যদি সে চলে যায় আর ঠিক তখনি ফুলটা ফোটে। যদি অন্য কেউ নিয়ে যায় তার ফুল। কিংবা আকাশ যদি তার কাছ থেকে হারিয়ে যায় চিরদিনের জন্য। আকাশের নীল যে তার বড় পছন্দ। ঠিক এই কথা না রাখা গাছের মতো পছন্দ, সেই না দেখা ফুলের মতো পছন্দ। সে কার কাছে যাবে। মেয়েটা কষ্ট পায়। ভীষণ কষ্ট। পৃথিবীতে কষ্ট পাওয়া সবচেয়ে সহজ পাওয়া।
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন