মাঝরাতে কোন এক টিভি চ্যানেলে শুনছিলাম খবর। পকেটে পাঁচটি এয়ারলাইন্সের টিকেট নিয়ে লন্ডন পাড়ি জমাতে গিয়ে একেবারে শেষ মূহুর্তে, জার্মান ঢঙে যাকে বলে শেষ পলকের সময়টিতে যাত্রাভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মঞ্চে এক বিতর্কিত চরিত্র জনাব শফিক রেহমান। সদ্যনিহত যায়যায়দিনের চাকরিহারা কতিপয় দুর্মতি বালকসাংবাদিক হইহইরইরই করে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাদের মধ্যে এক ছোট্টবাবু আবার আদাবর থানায় মামলা ঠুকে এসে তার কপি নিয়ে বিমানবন্দরকর্তাদের দোরে হত্যা দিয়ে পড়ে, গোয়েন্দারা ট্যাক্সিরত বিমানকে থামিয়ে ঘিরে কমান্ডোঢঙ্গিমায় বিমানে বোমা খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করে শফিক রেহমানের খোমা, তাঁকে একটা গুয়ান্তানামোকয়েদির মতো হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে আসে, এবং তাঁকে এই পোড়া মাতৃভূমিতে রেখেই আমিরাতের বিমান উড়াল দেয় আকাশে। বিমানন্দরকর্তাদের ব্যাপক গালিগালাজ করে শফিক রেহমান ফোন মারফৎ নানা সরকারী দপ্তর আধিকারিকের সাথে কীসব বার্তা বিনিময় করেন, ওদিকে বাইরে সেই দুষ্টু সাংবাদিকেরা মিছিল করে পাওনা বকেয়া বেতনের দাবিতে, এদিকে রেহমান সাহেব পকেট থেকে লাল গোলাপের বদলে বার করেন লাল টিকেট, তিনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে এর পরে ধর্ণা দেন, কিন্তু দুষ্টু সিঙ্গাপুরিরা তাকে নিতে চায় না পরিবেশ দূষণের ভয়ে। আবারও তাঁকে ফিরতে হয় পুলিশপ্রহরায়, পাছে কেউ তাঁকে মেরে বসে, ওদিকে টিভিচ্যানেলের সাংবাদিকরা গিয়ে সদ্যনিহত যায়যায়দিনের সাংবাদিকদের সাথে গল্প জুড়ে দেয়, তারা নানা কাল্পনিক অভিযোগ করে প্রবাদপ্রতিম সাধু শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে, সব কুৎসা, সব রটনা, কিন্তু রাত গড়ায়, শফিক রেহমান নাকি বাংলার মাটি ছাড়তে পারেন না, স্বর্গাদপি গরীয়সী মাটি, যা তাঁকে দিনের পর দিন বহন করে [ইটালিক] দিনের পর দিন [/ইটালিক] সহন করেছে, তাঁকে আটকে রাখে। তিনি যেতে পারেন না লন্ডনে। ড্রাগন এয়ার সুবাসিত বন্দর হয়ে পাখা মেলে ডায়ানা-ডোডিধন্য লন্ডনের দিকে, শফিক রেহমান কাঁচের ভেতর দিয়ে দেখেন আর হয়তো গুনগুন করেন, "তোরে লইয়া যাইমু আমি লন্ডনে ... ভিসা করমু টিকেট কাটমু উইড়া যামু পেলেনে ... তোরে লইয়া ... হেই তোরে লইয়া যাইমু আমি লন্ডনে ...।"
সব ঐ যায়যায়দিনের দুষ্টুদের কারসাজি।
আমার ধারণা দেশে এই অরাজক পরিস্থিতির পেছনেও কোন না কোনভাবে যায়যায়দিনের এই চাকরিচু্যত সাংবাদিকরাই দায়ী। হ, এরাই। এরাই বিএনপিতে ভাঙন ধরিয়ে এলডিপি গড়তে কুবুদ্ধি দিয়েছে অবকর্ণেল অলি আহমদকে। এরাই কেএমহাসানকে বিব্রত হওয়ার বিবৃতি লিখে দিয়েছে। এরাই ক্যাডার হয়ে মারপিট খুনাখুনি করেছে। গত পাঁচ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ডলার-পাউন্ড-ইউরো করে এরাই পাচার করেছে মালয়েশিয়ায়। এরাই জঙ্গীদের বোমাবাজির ট্রেনিং দিয়েছে যায়যায়দিনে লেখালেখির ফাঁকেফাঁকে, আবার এরাই র্যাবের জামা পরে বাংলা ভাইকে আগলে আগলে রেখেছে, যাতে তার গায়ে ফুলের টোকাও না পড়ে। গতকাল এত মারপিট ভাংচুর, হ্যাঁ ভাইসব, এরাই। সংলাপ, এরাই, মান্নানজলিল তো এদের হাতের পুতুল। জামাতেইসলামীকে রগ কাটতে শিখিয়েছে এরাই। আওয়ামীলীগের হাতে বৈঠা চেঁছে দিয়েছে, এই ব্যাটারাই। বিদিশার দুষ্টু ছবি, এরাই ফটোশপে কেরামতি করে বানিয়েছে। গত পাঁচটা বছর এরাই দেশে সব উন্নয়নের জোয়ার করেছে। তারপরও এদের পেট ভরে না, তারা সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে সন্ত শফিককে হিজরতে বাধা দিয়ে।
আপনি সইবেন, আমি সইবো, মাইনষে সইবো না।
হে যায়যায়দিনের চাকরিচ্যুত দুষ্টুরা, তোমরা পাজি। তোমাদের বকে দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

