এই যুগে নির্বান আদৌ সম্ভবপর কি না এই নিয়ে আলোচনা চলতে পারে তবে এর আগে প্রস্থানের যাবতীয় উপকরন সংগ্রহ করা প্রয়োজন।
একবিংশ শতাব্দি আমাদের কারো মাথা থেকে খাবলা দিয়ে তুলে নিয়েছে চুল, কারো চোখে কালো রংয়ের পট্টি বেধে দিয়েছে- আমাদের কৈশোরিক আদর্শবাদ, আমাদের যৌবনের সংগ্রাম চেতনার মুখে ঝাঁটা মেরে আমরা এখন কর্পোরেটের সেবা করি-আমরা নির্ণয় করতে পারি উপাত্ত থেকে জ্ঞান লভিতে পারি অন্তত একটা সাধু চেষ্টা বিদ্যমান থাকে সর্বদাই।
তবে শুক্রবার সকালে যখন ঘুম ভাঙলো বন্ধুর ফোনে তখন আমি প্রায় ঘুমকাতর, এখানে এসে প্রতি বিষু্যদ বার সন্ধ্যা থেকে রাত ক্রিকেট খেলি- বন্ধুর উঠানে বাতি জ্বেলে ক্রিকেট খেলা শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসা ফিরি।অবশ্য বাসা ফিরেই ঘুমানো হয় না, অনেক রকম নিয়ম কানুন আছে, আর অনেক দিন বাংলা উপন্যাস পড়াও হচ্ছে না তাই এই অবসরে কিছু বাংলা উপন্যাসের গুষ্টি উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
তাই স্বভাবতই যখন ফোনটা আসলো তখন মনে প্রানে বিছানায় থাকার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের কর্পোরেট ব্যাস্ততার গল্প জেনেই আমাকে ঘুমের চাদর সরিয়ে উঠতে হয়। চোখে মুখে পানি দিয়েই রাস্তায় নামতে হয়। গন্তব্য পলাশী।
যাওয়ার পথে আশু অবরোধ উপলক্ষে রাস্তার জ্যাম ধুলা এইসব হজম করতেও হয়। আসলে আমাদের হাতে যখন সময়ের টানাটানি- তখনই রাস্তায় বেহুদা একটা বাস আড়াআড়ি থেমে থাকে, তার পেছনে জমবে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক সব যানবাহনের ভীড়, এবং অতঃপর মন কষাকষি, গালাগালি চলতে থাকবে, এবং সাপের মতো শীতকালীন আলস্য ছেড়ে সেই বাস ড্রাইভারের যখন নড়ার মর্জি হবে তখন অন্য কোথাও অন্য একটা বাস আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে রাস্তা আটকে- এইসব মলিন দিনলিপির গল্প ঢাকাবাসী জানে। আমিও জানতাম তবে এই শুক্রবার সকালেও এইসব নাটক মঞ্চস্থ হবে এমনটা ধারনা করি নি।
হাতে সময় খুবই অল্প মাত্র 2 ঘন্টা থাকবে বন্ধু, এর ভেতরেই কুশল সংবাদ, পুরোনো স্মৃতিচারন, নতুন ঘটনা, সব কিছুর সারসংক্ষেপ জেনে নিতে হবে। এবং বাসের কল্যানে এইসময় টুকু করে যাচ্ছে- মুখ খুলে গালি দেওয়ার মতো অবস্থাও নেই, গুলিস্তান ভয়ংকর জায়গা- দলবেঁধে
হেলপার কখন বাসের জানলা দিয়ে টেনে তুলে ছুড়ে ফেলে দিবে বিস্বাস নেই- পরিস্থিতি তেমন হলে আমরাও খালি হাতে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারি। আমরাও কয়েক শত গাড়ী জ্বালাতে পারি। গাড়ীর সাথে গাড়ীর আরোহিকেও জ্বালিয়ে ফেলতে পারি- এইসবদৃশ্যও মঞ্চস্থ হয়েছে আগেই-
অবশেষে এইসব পিছে ফেলে যখন উপস্থিত হলাম তখন নির্ধারিত সময়ের থেকে পুরো 30 মিনিট হাওয়া। শহীদ মিনারের সামনের চায়ের দোকানে বসে বাঙ্গালী মনস্তত্ব নিয়ে আলোচনা এর বাইরে তার সংসার নিয়ে আলোচনা, অতঃপর অন্য এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা, এর পর কার্জন হল। এর পর তার মেয়ের নাম জানা, আনুশকা অরুনিমা- ভালো হয়েছে নামটা যদিও ডাক নাম সংক্ষিপ্ত হওয়ার একটা রীতি আছে- আনুশকাকে আনু ডাকা যায়- কিংবা অন্য কিছু কিন্তু আনুশকা ডাকতে আমার আপত্তি আছে- এইসব কথায় বন্ধু কিছু মনে করে না, আমরা অবশেষে দেখলাম ঘড়িতে 11টা বাজছে- তাই তাকে বিদায় দিয়ে দায় সারি।
এরপর আবার আড্ডা- এভাবেই দিনটা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে বাসায় ফিরে আবারও একই রকম ভাবে খেলা। শুক্রবারেও আমরা ক্রিকেট খেলি রাত 11টা পর্যন্ত।
গত কাল দিনটাও তেমন ভাবেই শুরু হয়েছিলো- এর মাঝে পিয়াল ভাইয়ের ফোন আসলো- সন্ধ্যা 6টায় কোনো কাজ না থাকলে তার সাথে যেতে হবে- এর পর আসলো সারিয়ার ফোন- তার জন্মদিনে যাওয়ার দাওয়াত পেলাম। কপাল ভালো- এখন পর্যন্ত কেউ দাওয়াত দেয় নি- বললাম পিয়াল ভঈয়ের সাথে যাচ্ছি- অতঃএব আমার সন্ধ্যায় একটা বাইরে থাকার উপলক্ষ্য তৈরি হয়- যদিও প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই 2 দিন কাটাবো ছেলের সঙ্গে- সেটা পালন করা সম্ভব হলো না।
এরই মাঝে দেখলাম রাইসু দাওয়াত দিয়ে বসেছে- সে মাহবুব মোর্শেদ, জামাল ভাস্কর থাকবে শাহবাগ- আমকেও যেতে বলেছিলো- আমি সামান্য ভয়ে ভয়ে ছিলাম, মাহবুব মোর্শেদ যেভাবে কবিতা বিষয়ে আমার প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করলো এবং যেহেতু সে এই বিষয়ে প্রফেসর মানুষ, এর সাথে রাইসুযোগ হলে আমার ভবিষ্যত - কিংবা কবিতার ভবিষ্যত খুব একটা উন্নত হবে বলে মনে হয় না- এমনও হতে পারে তারা দু জন শাহবাগের সামনে ব্ল্যাকবোর্ড নিয়ে আমাকে কবিটাবিষয়ক জ্ঞান দেওয়া শুরু করতে পারে- এই বয়সে যেকোনো রকম জ্ঞান লাভে আমার স্পষ্ট বিরাগ দেখা যাচ্ছে- পিয়াল ভাইকে নিয়ে রওনা দিলাম সারিয়ার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে- সেটাতে একটাই প্রাপ্তি হতে পারে -প্রাপ্তিকে দেখা। দেখার ইচ্ছা ছিলো- যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো তবে আমার ইদানিং পরিচিত মহল বাড়ানোর কোনো আগ্রহ নেই, সামাজিকতার আগ্রহ কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় নেমেছে- তাই যত আগ্রহ নিয়ে এসেছিলাম ততটা আগ্রহ নিয়ে প্রাপ্তিকে দেখতে যাওয়া হয় নি।
সারিয়ার ওখানে যেতে যেতে মনে হয় কোনো রকমে দেখা সাক্ষাত সামাজিকতা সেরে পিয়াল ভাইয়ের সাথে শাহবাগে কবিতার ক্লাশ করতে আসবো আমাদের কবিতার প্রফেসর মাহবুব মোর্শেদের কাছে।
অবরোধ বলেই হয়তো রাস্তা ফাঁকা, রিকশা গদাইলস্করি চালে চলছে- যেহেতু আমরা কেউই চিনি না আদতে কোথায় হচ্ছে অনুষ্ঠান তাই অনিশ্চয়তা নিয়েই রওনা দিতে হয়। অবশেষে সদাশয় পুলিশ সাহেবের কাছে একটা নিশ্চিত অবস্থান জানতে পারি- রাওয়া ক্লাব জাহাঙ্গির গেটের কাছে কোনো এক জায়গায়- সেখানে গিয়ে রাস্তা পার হলাম- এবং রাস্তার ওপারে গিয়ে উপলব্ধি করলাম এই রাস্তা পার হওয়ার সময় আমার মানিব্যাগ কোথাও পড়ে গেছে- অতএব হারানো ম্যানি ব্যাগ খোঁজার চেষ্টা শুরু হলো। বেশ কয়েক বার রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে মাঝের ব্যারিকেডে সতর্ক চোখ রাখা, তৃতীয় বারের চেষ্টায় খুঁজে পেলাম পড়ে যাওয়া ম্যানি ব্যাগ- সেটা নিয়ে অবশেষে আনন্দ বলে এক রেঁস্তোরায় ঢুকলাম- অনেক রকম চেষ্টা করে যদিও আভিজাত্য আনার একটা চেষ্টা করেছে তবে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন সেই আভিজাত্যকে দারিদ্্রের উপহাস করেছে- জঘন্য ইন্টেরিয়রসমেত সেই রেঁস্তোরা আমার ঘাড়ে চেপে বসলো- বাংলাদেশ খেলছিলো- ভালোই খেলছিলো- নাফিস দিব্যি পিটাচ্ছিলো জিম্বাবুইয়ান বোলারদের- দেখে প্র ীত হচ্ছিলাম- এর মাঝেই কৌশিক আসলো- এবং কৌশিককে ফোন দিলো ভাস্কর সাহেব- কৌশিক সামাজিক মানুষ- সবার সাথেই হাসি মুখে আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলতে পারে-আমাদের পেটে ছুঁচোর ডন- কোনো একটা কিছু খেতেই হবে- অভ্যাগতদের আসার কোনো সময় নেই- যদিও বলা ছিলো 6টা- তবে সবাই আসতে আসতে দেখা গেলো ঘড়িতে বাজে 8টা। এর পর সামান্য মোমবাতি জ্বালানো-কেক কাটা- এইসব দেখে হাততালি দিয়ে যখন খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি তখন আবার ভাস্করের ফোন- যাচ্ছি- যাবো বলে দায় সারলো কৌশিক।
বাংলাদেশের মেয়েদের ব্লাউজ- সায়া সমেত শাড়ী পড়ার প্রথা আর বাংলাদেশের জন্মদিনের প্রথার সূচনা 120 বছর আগের কোনো সময়ে- অবশ্য এটা এখন খুবই প্রচলিত প্রথা হয়ে গেছে- সবাই জন্মদিন পালন করটে চায়, বাংলাদেশের হিন্ডি সিরিয়ালের দৌরাত্ব যেমন বিয়ের অনুষ্ঠানকে একটা ভিন্ন রূপ দিয়েছে তেমন ভাবেই জন্মদিনকেও বৈশিষ্ঠমন্ডিত করেছে- হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রনায় আমাদের লোকজ সংস্কৃতি সংস্কার প্রায় নাজুক অবস্থায় আছে, একই রকম লাগে যখন দেখি রাগ ইমন হিন্দিতে বাতচিত করে টেলিফোনে- আমার গা শিরশির করলেও কিছু বলার নেই- একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আলোচনা- ভাষা শহীদ নিয়ে বাগাড়ম্বর করলেও আমাদের চেতনা এখনও মোগলাই আমলে গিয়ে আটকে আছে- আমরা তখন ফার্সি ভাষা চর্চা করতাম- এর পর যখন হিন্দি ভাষার চর্চা শুরু হলো বাঙালী মুসলমানেরা একটা রাজনৈতিক দল খাড়া করে ফেললো, সেই মুসলিম লীগ পরবর্তিতে পাকিস্তান আন্দোলন করলো- এই ধারার বিপরীতে কেউ যদি অভব্যের মতো হিন্দিতে বাতচিত করে তবে সেটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, কেউ যদি ইচ্ছা করে পাছার কাপড় তুলে ঘুরে বেরায় তাকে কোনো সদুপদেশ দেওয়া ভালো কোনো কাজ না- আমাদের মুসলিম জাতিয়তাবাদী চেতনা যা কিনা আমাদের সমপ্রদায়িক করে তুলেছে একই রকম ভাবেই হিন্দি সংস্কৃতির আগ্রাসনও আমাদের বিপন্ন করে ফেলছে-
খাওয়ার এসেছে, পেটের ক্ষুধা তখন চরম-এর মাঝে হিন্দি সিরিয়ালের ন্যাকামি শুরু হলো- একজন মধ্যবয়স্কা রমনী- জানি না কে সে- ন্যাকা স্বরে বললেন সারিয়াকে জন্মদিনের উইশ করো-বাংলা শব্দটাও সুন্দর- জন্মদিনের শুভাশিষ শব্দটা মোটেও খারাপ না বরং আমার কাছে অনেক শ্রুতিমধুর মনে হয়- এর পরও যখন এমন একটা প্রস্তাব গৃহীত হয় তখন সবাই খাওয়ার প্লেটের দিকে উদ্যত হাত নামিয়ে চিন্তিত হয়- কি বলা যায়- আসলে শুভাশীষ কি এমন ভাবে প্রকাশ্য জনসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উচ্চারিত হতে হবে- মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের- পরিচয়ের মাত্র অনুসারে এসব প্রার্থনা উচ্চারিত হতে পারে- তবে হিন্দি সিরিয়ালে দেখেছি এমনটাই করে, জন্মদিনের কেক কাটার পর সবাই একে একে বিভিন্ন বানী দেয়- আমাদেরও তাই করতে হবে- এমন প্রথায় আমার বিব্রত হওয়ার কারন হলো- আমি সারিয়াকে চিনি কিংবা দেখেছি যতটুকু সময় সেই টুকু সময়ের পরিচয়ে ঠিক কি আশীর্বাদ তার প্রাপ্য এটাও জানা নেই।
খাওয়ার মাঝে কোনো ঘটনা নেই তেমন- এর মাঝেই এলো ভাস্করের ফোন- বেচারা একা একা শাহবাগে বসে আছে, সেজে গুঁজে- ঘড়িতে বাজে 8টা 30। আমরা খাবো- খাওয়া শেষ করে যদি রওনা দেইও তাহলেও 9টার আগে শুরু করতে পারবো না। আর পৌঁছাতে পৌঁছাতে 10টা বাজবে- কৌশিক সে সময়টুকু দিতে পারবে না- তার ঘরে বৌ আছে- বৌএর সাথে বাড়াবাড়ি করার সাহস স্বামীদের কম থাকে।
এই দিকে পিছনে গান বাজছে- কিরম কিরম- মনে হলো একাকী ভাস্কর শাহবাগের মাইনক্যা চিপায় পড়ে গান গাইছে- আজ কিরম কিরম লাগে আমার কিরম কিরম লাগে- বইয়া আছি শাহবাগে পইড়া বিষম ফাঁদে আমার কিরম কিরম লাগে-
খাওয়া শেষ হওয়ার পর একটা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আব্দারও থাকে যথারীতি- গান গাইবে- কে গান গাইবে এই নিয়ে ঠেলাঠেলি চলছে-অভাগা আমার ঘাড়ে একটা কোপ পড়লো - আমি না কি কোনো এক সময় কথা দিয়েছিলাম গান গাইবো- যদিও সামাজিক পরিবেশে গালি দেওয়ার প্রথাটা এখনও তেমন ভাবে রপ্ত করতে পারি নি তাই এইসব অযাচিত ন্যাকামির জবাবে আমার আশ্চর্য মুখভঙ্গি করেই থেকে থাকতে হয়।
কৌশিক বেশ জোড় গলায় বললো সে গান গাইবে- সে গান গাইলে আর থামবে না, - কেউ থামাতে পারবে না তাকে-
মনে হলো পুরোনো মেইল ট্রেনের যুগে কৌশিকের গান হবে ইন্টারসিটি ট্রেন- কোনো লোকাল স্টেশনে থামবে না- চলবেই চলবে - তবে সব ট্রেনকেই মাঝ পথে থামানো যায় চেইন টেনে- হয়তো কৌশিকের ইন্টারসিটি ট্রেনের মতো গানও থামানো সম্ভব কৌশিকের চেইন টেনে ধরে- সমস্যা একটাই- কৌশিকের পরিধেয় একটা চেইন আছে- সেটা টেনে অবশ্যই কৌশিককে থামানো সম্ভব। তবে কথা হলো একবার শুরু করার পর সেই চেইন টানবে কে- বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার সমস্যা সব সময়ই ভিন্ন ভিন্ন রূপে সামনে চলে আসে।
কালপুরুষ তখন কোনো এক উপলক্ষে ব্লগে করা তার কোনো এক মন্তব্যের কথা বলবে ঠিক করেছে- তাই সে শুরু করলো- আজকে পাগলা দাশুকে নিয়ে একটা মন্তব্য দিয়েছি- ও একটা মন্তব্য করেছিলো-
মাঝ থেকে একটা প্রশ্ন আসে- কে?
কালপুরুষ আবার নতুন করে বলেন- পাগলা দাশু- ও আমার ব্লগে একটা মন্তব্য-
আবারও প্রশ্ন আসে - কে?
কালপুরুষ আবারও সংশোধন করে শুরু করে- পাগলা দাশু- ও আমার
এবার প্রশ্ন স্পষ্ট- কে? ও আপনি, জাহাঙ্গির গেটের সামনে চলে আসেন।
আমরা সম্পূর্ন ঘটনা উপলব্ধি করি এইবার।
আদতে সেই ব্যাক্তি মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছিলেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

