নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবী বিপর্যয়মূলক ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকারি প্রাণিকুল। পানি, বন ও ভূমির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এই ভয়াবহতার সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের একটি দল এই গবেষণা করেছে। সাময়িকী নেচার-এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পৃথিবী এমন একটা পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, যেখানে ধ্বংস আর অবিশ্বাস্য সব পরিবর্তন সংঘটিত হবে। আর এই ধ্বংসলীলা এমন মাত্রায় সংঘটিত হবে, যা ১২ হাজার বছর আগে হিমবাহ গলতে শুরু করার পর আর ঘটেনি।
বিজ্ঞানীরা বলেন, ব্যাপক এই ধ্বংসলীলায় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী হারিয়ে যাবে। ব্যাহত হবে ফসল উৎপাদন। এতে সম্পদ নিয়ে পৃথিবীজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেবে।
গবেষকদলের সদস্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্থনি বারনস্কি বলেন, ‘এই শতাব্দীর শেষ দিকে এই বিপর্যয়ের জোর সম্ভাবনা আছে। পৃথিবী খুবই ভিন্নমাত্রা পরিগ্রহ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ১৮ জন বিজ্ঞানী এই গবেষণা করেন। গবেষণায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিয়ে করা গবেষণা পর্যালোচনা করেন। পরে তাঁরা ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হন।
বারনস্কি বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশের ওপর যে চাপ পড়ছে, ভবিষ্যতে তা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ থাকবে না।’
তিন হাজার বছরেরও কম সময় আগে পৃথিবীর ৩০ শতাংশ বরফে ঢাকা ছিল। কিন্তু এখন প্রায় বরফহীন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এই গ্রহের বেশির ভাগ বিলুপ্তির ঘটনা এবং পরিবেশ-প্রতিবেশগত পরিবর্তন গত ১৬০০ বছরে ঘটেছে।
বারনস্কি বলেন, পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য আগে যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায় এখনো ফিরে আসেনি। মানবজাতির কারণে দ্রুত এর পরিবর্তন ঘটছে। হিমবাহ গলছে, পরিবর্তন ঘটছে বড় ধরনের।
শিল্পবিপ্লব শুরু হওয়ার পর ৩৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়ার কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রা অতীতের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, ভূপৃষ্ঠের ৪৩ শতাংশ মানবজাতি কৃষিজমি ও নগরায়ণে রূপান্তর করেছে, যা সর্বশেষ বরফযুগে ছিল ৩০ শতাংশ। অধিকন্তু জনসংখ্যা বাড়ার কারণে পৃথিবীর সম্পদের ওপর নজিরবিহীনভাবে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
গবেষকেরা বলেন, পৃথিবীর সম্পদ এক দেশ থেকে আরেক দেশে স্থানান্তরিত হলে রাজনৈতিক অস্থিরতাও স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৯০০ কোটিতে। তাই মানবজাতিকে টিকে থাকতে হলে তাদের আরও দক্ষ হতে হবে।
বারনস্কি বলেন, অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে জ্বালানির ব্যবহার, জ্বালানি উৎপাদন ও নবায়নকৃত সম্পদের ওপর জোর দিতে হবে। তা ছাড়া আজকের সম্পদ ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যুগসন্ধিক্ষণে। যদি আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ না নিই, তাহলে সত্যিই সেই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির শিকার হব।’ পিটিআই।
সূত্রঃ প্রথম আলো
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিনেতা
বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন