আমায় নতুন করে দেখতা সবাই আসবে সারি সারিতে
না না নু নিনিনা না না নারে................
মনের বড়ই সুখ। আগামিকাল অফিস নাই তাই সকালে লাথি খেয়ে ঘুম থেকে উঠারও দরকার নাই। এই ভেবে রাতে বিছানাতে দাইদি (কাঁথা আমার ছোট বনের ভাষাতে)মুড়ি দিয়া ঘুমানর জন্য চোখটা কেবলই বুজছি ওমনি আমার আম্মিজান দাড়াম করে দরজা খুলে ঘষনা দিলেন আমাদেরকে আগামীকাল গ্রামে যাইতে হবে ঈদের জন্য দেশি মুরগী কিনতে। কথাটা শুইনা আমার মাথার মধ্যে কি জানি কট কট করে উঠল কিছু কওয়ার আগেই আমার আম্মু চিল্লান দিয়া কইল তাড়াতাড়ি ঘুমা!! সকালে না উঠতে পারলে লাথি মাইরা তুলব!! মনের সুখ তোতক্ষনে ঘরের চালে উঠেছে আমার। মাছের রাজা ইলিস আর বাত্তির রাজা ফিলিপস বুঝাই দিয়া আল্লার নাম নিয়া চোখ বুঝলাম!!
কোন বান্দরে জানি একটা বান্দর মার্কা পোষ্ট দিছে,পড়ার জন্য ক্লিক করছি কিন্তু মরার পেজ লোড হইতেছে ব্রিটিস আমল থেকে। হ্যা! এইবার হইছে!! ঐ কেরে গলা ফাটাইতেছে? গেল সপ্নটা ভেঙ্গে!ধপ করে বুজে গেল বুকের সব আশা ! দেখি আমার আম্মিজান নিচেরতলা থেকে উপরেরতলা আমার বেডরুমে আমাকে ফুন করছে!(শুধু মাত্র সিড়ি দিয়ে উঠার তরাসে)। লাফ মাইরা উঠে দেরজা খুলতে গিয়া বাড়ি খাইলাম দরজাতে। মাথাটা দিল চক্কর দিয়ে! বাথরুমে যাইয়া আর কওয়ার দরকার নাই সবাই বুইঝা ফেলছ.......একখানা জিন্স আর একটা বড়সড় ঢিলাঢালা গেন্জি পরতে না পরতেই দেখি আব্বিজান আমার গাড়িতে হর্ন দিতাছে। মনে মনে কইলাম আজাইড়া পরিবেশ দুষন করার কোন মানেই হয়না! ছেনডেলখানা হাতে নিয়া দোড়াইতে দোড়াইতে গাড়িতে উঠলাম। আব্বিজানে আমারে দিলো ঝাড়ি,কইল আমরা নাকি সব কুইড়া!! আরো কি কি জানি কইল আমি কিছু শুনি নাই। কানে তখন আমি আয়না বসাই রাখছিলাম। আব্বু যাই কই সব ঘুইরা আব্বুর কাছেই যায় আমার কানে আর কিছু আসে না। আমি বাইরে তাকায়ে কিছু থাই হুরগো দেকতে আছিলাম(ফুন নাম্বার কইল জানি না)
মনিটারখানা অনেকদিন যাবত নষ্ট পইড়া ছিল। মনিটারখানা নিয়া আগে মর্কেটে গেলাম। কম্পিউটারের ডাক্তোর কইল এই জিনিস সারতে গেলে একটা নতুন মনিটরের কেনার থেকেও বেশি খরচ হইব। আমি আবার একটু উস্কান মাইরা কইলাম আব্বু ঐ মনিটরটা দেখতা দারুনতো। আমার কথা শুইনা কিইনা দিলো একটা নতুন এলজি এর লেপটপ মনিটর। মনে তো তখন আমার দখিনা বাথাস বইতেছে। আম্মু আইসা বাতাসে দূর্গন্ধ ছাড়ল। আম্মু কইল তোদের ঈদের ড্রেস নাই। ঈদের দিন নাকি পায়ে নতুন ছেনডেল পইরা মনিটরের সামনে বইসা থাকলেই চলব(ঈদের ছেন্ডেল আগেই কেনা হয়ে গেছে) । মনডার মধ্যে বাতি বুইজা আবার জ্বলে উঠল। মনে মনে কইলাম তাতে কি। দেশের বাইরের ঈদ দিন আর অন্যদিনের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। নতুন মনিটর পাইছি তাতেই আমি ঠেকারে কেদো কেদো।
২০ মিনিট যাত্রার পর পোছালাম সেই দেশী মুরগী আলার বাড়িতে। উনার বাড়িতে যেয়ে শুনি উনি নাকি বাড়িতে নাই , কি জানি কুথাই কোন অকাম করতে গেছে। ফুন লাগান হইল , বেটায় কই আইতেছি একটু খাড়ান। একটু খাড়াইলাম পেরাই ১ ঘন্টা। পাশে একটা বাঁশঝাড় দেইখা একটা গান মনে পড়ে গেল
সেদিন দুজনে হেগেছিনু বনে
পুরা বনে পানি ছিল না
বাঁশেরট পাতা দিয়ে মুছেছিনু....
সে সৃতি আজও ভুলোনা..ভুলো না.....(রবি চাচা মাফ চাই)
তারপর দেখা মিল্লো সেই চেঙ্গিস খানের। মুরগীরেতো দাবড়ায় ধইরা জবাই দেয়া হইল।(কন ইন্নালিল্লা)।এই দিকে গরমে আমার চান্দি দিয়া ধুয়া উঠতেছে। মুরগীর গায়ের পোশাক খুইলা দিল বেটাডা কিন্তু কাইটা দিল না!!
দোড়ের উপর বাসাই ফিরলাম। কারন ইফতারের সময় হয়ে গেছে প্রায়। আম্মু আমার ইফতার বানান শুরু করল আর আমারে কইল যেয়ে মুরগীগুলান ছাইজ করতে। আমি রিন্চার মত কেবলই মহড়া দিয়া ছুরি ধরছি আম্মু আমার কানের কাছে আইসা চি?কার করে কইল যেয়ে বটি দিয়া কাট। আমার মুখ দেইখা মরা মুরগী গুলানও কুল কুল কইরা উঠল। আর আমি মনে মনে কইলাম থাম বেটা মুরগী আমি আইতেছি।
তারপর শুরু হইল আমি ভিএস মুরগী!!!
একটারে ধইরা কাইট্টা আমি ফানা ফানা কইরা ফেলাইলাম তারপর আরেকটারে ধইরা যেই ঠ্যাং টারে ইন্নালিল্লাহ দিতে লাগছি ওমনি আমার হেতের আঙ্গুলের আস্তাগফিরুল্লাহ হইয়া গেল। রক্ত পড়ল প্রায় বদনা খানেক। ব্যান্ডেস মেনডেস কইরা মুরগীর কাছে হার মানলাম। আর কইলাম দাড়াও ঈদ আসুক তুমারে আমি মেনকার চিপাই ফেলামু!!(এখন হাত কাটা নিয়ে এই ছোট কাহিনীডা টাইপ করলাম)
(বেশী বুজদার লোকেরা পছন্দ না হইলে বেশী কথা কইবেন না)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪০