somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~পথে চলতে কিংবা চলতি পথে~

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গান নাকি মানুষের জীবনের সাথে সাথে চলে। গান পুচ্কি থেকে শুরু করে সবারই পছন্দ আবার সবারই আলাদা আলাদা ভালো লাগা। এক এক জনের পছন্দ এক এক রঙের। এই পছন্দ অপছন্দ নিয়ে চলে আবার তর্কাতর্কি। শুনেছি যেই গানের কথা যার সাথে মিলে যায় সে সেই গান শুনতে বেশি পছন্দ করে। তার মনের কথা সুরে সুরে গান বলে দিচ্ছে এইটাই মনে হয় তার সুখের বিষয়।

মানুষের একটা বয়স থাকে যখন না বুঝে গান শুনে আবার বুঝে গান শুনে আরেকটা বয়সে। ছোটরা দেখা যায় গানের মানে যাই হোক ডিস্টিং ঢিস্টিং মিউসিক থাকলেই সেইটা তার পছন্দের গান হয়ে যায়।আবার বড়রা যেই গান শুনে সেইটাও আবার প্রভাব ফেলে তার গানের রুচির উপর। যখন আরেকটু বড় হয় যাকে বলে টিন এজ তখন নতুন নতুন গানের প্রতি ঝোক বাড়ে সেই গানের কথা ভালো হোক আর মন্দ হোক সমস্যা না। বন্ধুরা যেই গান শুনছে বা কোন গান শুনলে নিজেকে স্মার্ট স্মার্ট ভাব দেখানো যায় অন্যদের কাছে ঐটাই তাদের পছন্দের। ভাবটা এমন যে "আমি ঐ ব্যান্ডের গান শুনি , বুঝছোস"। এটা তাদের কাছে এক ধরনের ফ্যাসানও বটে।তবে এদের মধ্যে একটা পজেটিভ ব্যপার থাকে যে এরা নতুন কিছু খুব সহযেই মেনে নিতে পারে।
এবার আরেকটু বড় হওয়ার পর দেখা যায় খুব বেছে বেছে ভালো গান গুলা শুনার অভ্যাস গড়ে তুলে।যাকে বালে একজন শুদ্ধ শ্রোতা আর এর মধ্যে যারা ছ্যাকা ম্যাকা খাইছে তাদের কাছে ছ্যাকা খাওয়া গান দুনিয়ার সেরা গান।এরপর যখন পুরাপুরি বড় তখন সেই পিচ্চি কালের না বুঝে শুনা বা ফ্যাসানের জন্য শুনা গানগুলা হঠাৎ শুনে পুরান দিন গুলার কথা ভেবে নষ্টালজিক হয়।যাকে বলে দুঃখ বিলাস। মনে হয় মানুষের একটা সময় কাটে সামনের কথা ভেবে আর আরেকটা সময় কাটে আগের কথা ভেবে।আর মাঝ দিয়া বয়স বেড়ে কবরে যাবার সময় হয়ে যায়।

বহুত হইলো পন্ডিতগিরি। এইবার কই আমার ক্যান এই কথা গুলান মনে হইলো।শুনেছি মানুষের মুডের উপর গান শুনার ধরন নির্ভর করে। আমার তো দেখি উল্টা হয়। গানের উপর আমার মুড নির্ভর করে।
তো ৩১স্ট এ হুট করে প্ল্যান হয়ে গেলো যে বাইরে যাবো। যাবার পথে গাড়ির মধ্যে গান শুনতে ছিলাম। তো প্রথম গান " দশ মাস দশ দিন তোমার অংশ ছিলাম" কনার এই গান শুনে আমার মন খারাপ হতে শুরু করলো। মনে হইলো আমি আম্মুর সাথে মাঝে মাঝে রাগ করি এটা ঠিক না। আর করব না এখোন থেকে ভালো হইয়া যাবো।রাস্তাতেও দেখি কোন আলো নাই। জানিনা কি করনে ল্যাম্পপোষ্ট গুলা অফ করা ছিলো। আকাশে তারা গুলাও দেখা যাচ্ছিলো।
এরপর গান শেষ হয়ে শুরু হইলো " ধিম তানা নাচে ধিম তানা" গানের মিউসিক শুইনা মুড পুরা উল্টাইয়া গেলো। মাথার মধ্যে মনে হইতে শুরু হইলো যে আশে পাশে বৃষ্টি হইতে শুরু হইছে। কিন্তু না ঐ গানের মধ্যের বৃষ্টির শব্দ।হঠাৎ কইরা দেখি রাস্তার পাশের ল্যম্পপোষ্টের আলোও জলতেছে। গানের মিউসিক শুনে মন ভালো হয়ে গেলো। এরপর আব্বু দেখি এফএম অন করলো সেখানে আগে থেকেই বাজছিলো "Cause this is thriller, thriller night" এইটা শুনে তো গানের মিউসসিক ভিডিও তে মাইকেল চাচার নাচের স্টেপগুলান মনে পড়তে লাগলো। কিছু দূর যেতেই দেখি চারপাশে ধুয়াতে ভইরা গেলো। কেমুন যানি ভুতুড়ে ভুতুড়ে ভাব এর মধ্যে দেখি কয়েকটা বাদ দিয়ে দিয়ে ল্যাম্পপোষ্ট অন করা। মুড তখন আমার আছে নাকি নিজেও টের পাইলাম না।এমনিতেও ভুতে ভয় লাগে আমার।পরে দেখি যে পাশের জঙ্গল পুড়ানোর ধুয়া ঐ গুলান :|
তো এর মধ্যে দিয়া পৌছে গেলাম। আর পরে বাসাতে আইসা এই পন্ডিতগিরি ভাইবা বাইর করলাম।B-)

সবাইরে হেপ্পি নিউ উয়ার ! আর আমার নিজেরে হেপ্পি বাড্ডে !:D

৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×