somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২ দিনের শিশুরও ফিজিওথেরাপি

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিশু যখন মায়ের গর্ভে বড় হচ্ছে সে সময় তার মধ্যে স্নায়ু, হাড় বা অন্য কোনও রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে৷‌ এই সমস্যাগুলো জিনগতভাবে, অপুষ্টি বা অন্য বিভিন্ন কারণে এসে শিশুর শরীরের ঠিক ঠিক বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে৷‌ শুরুতেই রোগটা ধরে ফেলার জন্য, শিশুর জন্মানোর সময়েই ডাক্তাররা স্ক্রিনিং করে দেখে নেন বাচ্চার শরীরে কোনও এমন ডিসঅর্ডার আছে কি না৷‌ নিউবর্ন স্ক্রিনিংটা তাই এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷‌ কারণ, ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, বাচ্চাকে সাপোর্ট করা তত সুবিধেজনক হবে৷‌ যত দেরি করে রোগ ধরা পড়বে, সংশোধন করা ততই জটিল হয়ে যাবে৷‌ বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সোমা ভট্টাচার্য বুঝিয়ে বললেন, ‘আসলে এই ব্যাপারটা অ-আ-ক-খ শেখার মতো৷‌ একটা বাচ্চাকে যদি ছোট বয়সে অ-আ-ক-খ না শিখিয়ে ২০ বছর বয়সে গিয়ে আপনি তাকে শেখাতে যান, সেটা কিন্তু অনেক বেশি সমস্যাজনক হবে৷‌’

এমন অনেক ডিসঅর্ডার আছে যা শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলা যাবে না৷‌ এর চিকিৎসা বিশেষ পদ্ধতির ফিজিওথেরাপি৷‌ আবার অনেক ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির সঙ্গে সঙ্গে সাইকোলজিক্যাল থেরাপিও দরকার হয়৷‌ ডাঃ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘একটা শিশুকে দেখেছি, সে টাচ সেন্সিটিভ৷‌ বাচ্চাটা চায়ই না যে তাকে কেউ ধরুক৷‌ তাই সামাজিকভাবে সে মানিয়েও নিতে পারে না৷‌ এটা কিন্তু কোনও মানসিক রোগ নয়, এটা একটা ডিসঅর্ডার৷‌ এর থেকে সামলে উঠতে শিশুকে মানসিকভাবে উৎসাহ দিতে হবে৷‌ এর জন্য আবার নির্দিষ্ট কিছু সেনসরি টেকনিকও আছে৷‌’

যেহেতু এই চিকিৎসাগুলো এক-আধদিনে হয় না৷‌ কারণ এই রোগগুলিও পেটে ব্যথা, গ্যাস বা অম্বলের মতো চট করে ওষুধ খেয়ে সেরে যাওয়ার নয়৷‌ এই সমস্যাগুলো যেতে সময় লাগে৷‌ আবার অনেক ডিসঅর্ডার কোনওদিনই পুরোপুরি যায় না৷‌ ধরুন কারও মেরুদণ্ডটা বাঁকাক্ট যদি এটা সারানো সম্ভবও হয়, প্রচুর সময় লাগবে৷‌ মনে হতে পারে, থেরাপি করে কী লাভ যদি রোগটা নাই সারেঞ্জ আসলে থেরাপিটা যদি রোগী না নেন, তাঁর মেরুদণ্ড বাঁকা হওয়ার ফলে মাসকুলার ডেভেলপমেন্ট এবং ডিসট্রিবিউশনও অস্বাভাবিক হবে৷‌ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ব্যথা, চলাফেরার ক্ষমতা কমতে থাকবে৷‌ হয়ত ৫০ বছর বয়সে বিছানায় পড়তেন, সে জায়গায় ২০-তেই তিনি চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলবেন৷‌

আসলে ফিজিওথেরাপির লক্ষ্য হল রোগীর অবস্হাকে উন্নত করা, যাতে তিনি সুস্হভাবে বাঁচতে পারেন৷‌ অনেক ক্যান্সারই সারে না যখন, রোগীকে সাপোর্টিভ কেয়ারটা দেওয়া হয়৷‌ যেমন ব্যথাটা কমানো হয়, যাতে মানুষটা হেঁটে-চলে বেড়াতে পারেন, নিজের কাজগুলো নিজে করতে পারেন৷‌ এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তেমনই৷‌ ডাঃ সোমা ভট্টাচার্য বলছেন, ‘সব চিকিৎসার লক্ষ্য সম্পূর্ণ সুস্হতা রাখা হয় না, হওয়া সম্ভবও নয়৷‌ এই ধরনের চিকিৎসায় তাই ছোট ছোট লক্ষ্য রেখে প্রতিদিন এগোনো হয়৷‌ আজকে যে শিশু সেরিব্রাল পলসিতে ভুগছে, তার হয়ত লক্ষ্যটা হবে সে নিজে একটা ফল তুলে খেতে পারল৷‌ এই সমস্যাগুলিতে ভোগা শিশুরা ছোট কোনও একটা কাজ নিজে করার লক্ষ্যপূরণ করলেও সেটা তার আর তার পরিবারের কাছে অনন্য এক প্রাপ্তি হয়৷‌’
(সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ২:৫২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×