দক্ষিনের জানালাটা বন্ধ ছিল
তুমিই এসে একটু একটু করে পুরোটাই খুলে দিলে
একটা খুব স্নিগ্ধ কোমল বাতাস হয়ে বইতে লাগলে
সে বাতাস মনের অলি গলি ছুয়ে কি এক স্বপ্নিল প্রশান্তিতে ভাসালো।
নরম বৃষ্টি হয়ে ভেজাতে লাগলো দিন রাত।
ভীষণ নীরবে আদ্রতর হয়ে উঠছিলাম টের পাইনি
সতেজতায় সবুজ থেকে সবুজতর দিন দিন
ডানা ভাঙা প্রজাপতি আবারো উড়তে চাইলো যেন
রাত ভোর পিয়াল বনে জোনাকির আলো জললো, জানেনি কেউ
মাঝ রাত্তিরে ঐ কামিনী সুগন্ধি আলোতে ভেসে গেলাম, বুঝেনি কেউ
হাসনুহেনা ভেজা শিশির হলাম, সাগর সেচা নীলাভ মুক্তো
অবশেষে চড়ুইয়ের ভেজা পালক হয়ে মেলে দিলাম রোদে ডানা
প্রভাকরের উষ্ণ রঙে রাঙাবো বলে
মন বলল এইতো সে যার জন্য শ্রীকান্তের ধূ ধূ বালুচরে,
আমার অস্তিত্ব ভিজেছিল একলা জোছনায় কত সহস্রাব্ধী কাল।
কিন্তু নাহ! বললে,
এভাবেই দূর থেকে বারি হয়ে ঝরবো তোমাতে
তোমার শান্ত জলেতে আকাশের মত ছায়া হয়ে মিশে রবো
ঘোর লাগা শেষ রাত্রিতে ওম হয়ে কল্পনায় মিশে রবো গভীর আলিঙ্গনে।
এমনতো চাইনি,তবে কেন এলে অবেলায়!!!
অস্থিতে মজ্জাতে যদি নাইবা মিশলে তবে কেমন প্রেমে পড়া!!!
তার চেয়েতো ভাল ছিলাম দক্ষিণের বন্ধ জানালা ঘরে
আমার কাছে যে প্রেম মানে চিরতরে মিশে যাওয়া
বাতাসে যেভাবে সুবাস মিলায় সেই রকম।।