somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর প্রতি আপনার ধারণা কি যৌক্তিক?

১২ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাল বুয়েটের পরিচিত একজনের সাথে কথা হচ্ছিল। তার মতে, নারী অনেক কাজ করে, যেমন যারা গৃহিনী তারা রান্না-বান্না, ঘরের কাজ, বাচ্চাকে স্কুলে নেয়া, বাজার করা, বিল দেয়া সবই করে। সমস্যা নাকি শুধু এটা যে তারা অবান্তর বক্তব্য দেয় বেশি। সে আরও বলল, নারী হল স্রষ্টার বাঁকা সৃষ্টি। স্রষ্টা নাকি ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁকা করে নারীকে সৃষ্টি করেছেন, এটা তার হিকমত।

অনেক মানুষই এমনটাই মনে করে থাকেন। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তার কথা ঠিক। তার মানে কি এটা যে স্রষ্টা যাকে অন্ধ করে সৃষ্টি করেছেন তার অন্ধত্ব নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত উপহাস করব অথবা খোঁচাব?

আর তার কথাগুলো মানার কোন কারণ দেখছি না। প্রথমত, বেশিরভাগ গৃহিনীই যারা আমাদের মায়ের বয়সী দেখা গেছে তারা তাদের সময়ে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অবান্তর কথা যদি বলেও থাকে সেটা অযৌক্তিক কিছু নয়। নারী সঠিকভাবে শিক্ষার সুযোগ পেলে আর স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারলে যে কি হতে পারে তার উদাহরণ মার্গারেট থ্যাচার, বেগম রোকেয়া, কিংবা ড. নীলিমা ইব্রাহীম। তারা কোন অবান্তর কথাটি বলেছিলেন বলে আপনার মনে হয়? নাকি তারা মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন আর সংগঠিত করেছিলেন দেশপ্রেমকে? এরকম হাজারও উদাহরণ আছে।

আমাদের সমস্যা হল, আমরা Stereotyping পছন্দ করি। কোন এক ব্যক্তির দোষকে আমরা তার সগোত্রের দোষ বলে ধরে নেই। যেমনটা কয়েকটা নারীর ব্যাপারকে পুরো নারী জাতির উপর চাপিয়ে দিয়ে বলি, "নারী মাত্রই খারাপ"।

আসল কথা হল, যতদিন পর্যন্ত শিক্ষিত মানুষরা নারীকে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে না শিখছে, সূর্য পূর্ব দিকে উঠার মতই সত্য যে ততদিন অশিক্ষিতদের মধ্যে মেয়েভ্রুণ হত্যার প্রবণতা অথবা ছেলে সন্তানের আশায় একের পর এক বাচ্চা নেয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে না। প্রথমটি অমানবিক, আর পরেরটা জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনেক বড় কারণ।

আর নারীর এ সম্মান অর্জনের প্রধান ফ্যাক্টর হল নারী শিক্ষা।

[বি. দ্র. এখানে সমানাধিকারের প্রসঙ্গ তুলে অযথা ত্যানা না পেঁচানোর অনুরোধ রইল।]
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×