আমি অনার্স পরিক্ষা দেই ২০১০ এর নভেম্বরে । তখন থেকেই চাকুরির জন্য প্রচেষ্টা। চেনা পরিচিত যত আছে সবাইকে চাকুরির জন্য বললাম। এক বড়ভাই মাল্টি ণ্যাশনালে জব করছে। এটাও শুনতাম লোক ছাড়া জব পাওয়া টাফ। তাই লোকজনই ভরসা। যাহোক কিছুদিন পর তার কাছ থেকে একটা চাকুরির অফার এলো। এক প্লট ফ্ল্যাট বেচা ছোট কোম্পানিতে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ। বেতন ৫০০০। রামপুরা বাড্ডা এলাকা চষে ক্রেতা খোজা। যাহোক ফিল্ডে নামার আগেই আমি গায়েব।দুদিনের চাকরি।এই হলো আমার লোক ধরে জবের অবস্থা। তারপর নিজের চেষ্টায় একটা এডফার্মে এখানেও বেতন ৫৫০০। ক্রিয়েটিভ কাজ।খুলেই বলি-কপি রাইটার ।অফিস পল্টনে । দুই মাস করার পর আর পোষায়নি। কিন্তু আমাকে দিয়ে মিনিমাম ১০০০০০ টাকার বিজনেস করিয়ে নিয়েছে। আমার প্রাপ্তি সর্বসাকুল্যে ৮০০০ টাকা । অনুপস্থিতি, লেটের জন্য আবার সেলারি কাটার সিস্টেম ছিলো। তার পর আবার মার্কেটিং এ। অন্য কিছু না পেয়ে ভেবেছিলাম আবার নতুন করে শুরূ করবো । দেখাই যাকনা কি হয়। সেলারিতো আগের চেয়ে বেশি। এটি আবার থার্ড পার্টি। নিজেদের কমিশন কেটে রেখে আমাকে দেয় ১৩৫০০। এর মধ্যে মোবাইল বিল , কনভেন্স ছিলো। যা মার্কেটিং করতে গেলে এই বাবদ নিজের পকেট থেকে আরো বেশি খরচ হয়ে যায়। এখানে কাজ করে মনে হয়েছে- টার্গেট ফিল আপ করতে নিজের জমি জমা বিক্রি করে তাদের প্রোডাক্ট কিনতে হবে। এখানে জব করি দেড় মাস। পজিটিভ এটাই এ জবটিও রেফারেন্স ছাড়া। এর মধ্যে মাস্টার্স শেষ করে ফেলি। তারপর আবারো নিজের চেষ্টায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একাউন্টসে কাজ। সন্টুষ্টির কোনো কাজ এটি ছিলো না। তবে পজিটিভ যেটি এখানে প্রায় ১১ মাস কাজ করি। যা তখন পর্যন্ত রেকর্ড। এই জবে থাকা অবস্থাতেই আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজের অল্প যা যোগ্যতা আছে তা দিয়েই। এখন পর্য়ন্ত এখানে আছি এডমিনে। আমার আবার ইচ্ছা এইচ আরে। সুতরাং এখন পর্যন্ত লাইনে আসতে পারি নাই। তারপরও আগের জবগুলোর চেয়ে ভালো। বিশেষ করে রেফারেন্সের মাধ্যমে যে জবটি হয়েছিলো। আমি রেফারেন্সকে খারাপ বলছিনা। এক্ষেত্রে আমার ভাগ্য হয়তো সুপ্রসন্ন নয়।আরেকটি ব্যাপার মার্কেটিং/ সেলস বিষয়ে এই ছোট্র কদিনের অভিঞ্জতায় আমার বেশ বিরুপ ধারনার সৃষ্টি হয়েছে। এটা আসলে কটকটি ওয়ালা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর জণ্য বিবিএ এমবিএর ছেলেপেলের কোনো প্রয়োজন নেই। কোম্পানি গুলো কটকটি ওয়ালা নিয়োগ দিলেই তারা বরং ভালো সেল করতে পারবে। আমাদের দেশে শিক্ষিত কোয়ালিফাইড ছেলে পেলের সংখ্যা ভ্যাকেন্সির চেয়ে বহুগুণ। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে আর কিছু না পেয়ে এসব হকারি করছে। আর এটি আমার নিজস্ব অভিমত-বিবিএ নামক কোনো সাবজেক্ট থাকা উচিত নয়। এটি অবশ্য কোনো সাবজেক্টও নয়, পোগ্রাম। এটি পড়িয়ে কাউকে শিক্ষার যে প্রকৃত উদ্দেশ্য সেটি অর্জন সম্ভব নয়। তবে কেউ আগ্যহী হলে সে এমবিএ করে বিজনেস ফিল্ডে জব করতে পারে। আমি নিজেও এমবিএ করছি। আর মানুষ বিবিএ তে বিজনেস রিলাটেড যা পড়ে এমবিএ তেও দাড়ি কমা সহ সব একই জিনিস পড়তে হয়। আমার এই অভিমত নিয়ে ভিন্ন মত আসবে। যুক্তি তর্কের মাধ্যমে হয়তো এই বিষয়ে আমি ডাইভার্ট হতে পারি। কিন্তু মার্কেটিং- সাত সেলাম!
আলোচিত ব্লগ
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...
বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।