হুড়মুড়িয়ে বাসে উঠে ধরি হ্যান্ডেলে
ভয় পেয়ে যাই প্রানটা যদি আজকেই যায় চলে
বহু কষ্টে সুযোগ পাই উপরে একটু উঠার
উঠে দেখি কিছুই নেই, হাতটা একটু ধরার।
হ্যান্ডেলেইতো ভালো ছিলাম কেন যে এলাম এথায়
কিন্তু আর সুযোগ নেই ফিরে যাবার সেথায়।
একটু ব্রেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আমার উপর
কী আর করবি! পড়বি যখন আমা উপরেই পড়।
আমিও তাল সামলাতে না পেরে, দিচ্ছি ধাক্কা অন্যজনের গায়ে
জানিনা শেষ ধাক্কাটা কোন বেচারা যাচ্ছে সয়ে।
ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি চলছে ক্রমাগত
সেদিকে নেই কান, সবাই সমতা রক্ষায় ব্যস্ত।
একটু পরেই চিৎকার শুনি, হারিয়েছে কেউ টাকা
টাকা হারিয়ে তার বিলাপে যাচ্ছে না যে টিকা।
জায়গা নেই একতিল তবু যাত্রী উঠায় তারা
বিরক্তিতে বললো কেউ, আমার মাথায় এনে দাড়া।
মুরগির ডাক শুনে অবাক হই অতি
একই খোয়ারে যখন আমরা তাদের স্বজাতি।
পথিমধ্যে বাসের গতি হঠাৎ গেলো থেমে
চালক সাহেব বললো মোদের ঠেলা দিতে হবে নেমে
কী আর করি! যেতেই হবে, দিলাম না হয় ঠেলা
ক্লাসের সময় যাচ্ছে চলে, সাথে গড়াচ্ছে বেলা।
অসহনীয় যাত্রা পথের আবার হলো শুরু
না জানি কোন অঘটন আবার! বুকটা কাপে দুরুদুরু
ষোলকলা পূর্ণ এবার দেখি চেয়ে চেয়ে
ঠেলাগাড়ি যাচ্ছে চলে পাশ কাটিয়ে
ঠেলাগাড়ির চেয়ে তা কম হলো বা কিসে
মাঝে মাঝে ঠেলা দিলেই চলে অনায়াসে।
নামার সময় হুকে লেগে প্যান্টটা গেলো ছিড়ে
এই সীল নিয়ে যেতে হবে সবার সামনে ঘুরে
যাত্রা শেষেও বিড়ম্বনার নেই কোনো কমতি
মনের মাঝে গেথে গেলো সুপার সার্ভিস ভীতি।
আহ কত স্বপ্ন নিয়ে ভার্সিটিতে এসে
মনটা আবার চায়না যেতে চড়ে এই বাসে
বহু হয়েছে কালক্ষেপণ, নামটা বলি এবার
আনন্দ-নিরানন্দ নিয়েই আমাদের আনন্দ সুপার।
ঈশ্বর সমীপে, তানিম যুবায়ের