আল্লামা বালী এখন ভারতের কারাগারে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহৃত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী এখন কোলকাতার একটি কারাগারে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অপহৃত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর তাকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেয়া হয়। ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ এক বিবৃতিতে বালীর জীবন নিয়ে শংকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, জীবনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন বালী। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাকে বাংলাদেশে না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংস্থা। তার আগে তাকে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর ভারতীয় অফিসের সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড এডাম্স বলেন, ‘কে এই অপহরণের নির্দেশদাতা এবং এর সাথে জড়িত কর্মকর্তারা কতটা সিনিয়র পর্যায়ের তা খুঁজে বের করতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ-এর প্রথম পাতায় ‘ডঅজ ঈজওগঊঝ ঞজওঅখ-ডরঃহবংং ধষষবমবং ংঃধঃব ধনফঁপঃরড়হ’ (যুদ্ধাপরাধ বিচার-রাষ্ট্র কর্তৃক সাক্ষী অপহরণের অভিযোগ) শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিবেদক সম্পাদক ডেভিড বার্গম্যান।
নিউ এইজ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন সাক্ষী ছিলেন সুখরঞ্জন বালী। গত ২০১২ সালের নবেম্বর মাসে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণ করে বলে আসামীপক্ষ দাবি করে আসছে। কলকাতার একটি কারাগারে তার খোঁজ পাওয়া গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পিরোজপুরের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সুখরঞ্জন বালী, তাকে গত বছরের ৫ নবেম্বর সকালে ট্রাইব্যুনালের ফটক থেকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন। ওইদিন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন তিনি।
সুখরঞ্জন বালীর সন্ধান
নিউ এইজ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সুখরঞ্জন বালী কলকাতার দম দম সংশোধন কেন্দ্রে আটক রয়েছেন বলে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তথ্য পায় নিউ এইজ এবং তাকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা সেখানে যায়। এরপর এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে এবং কিভাবে তিনি সেখানে গেলেন তা নিশ্চিত করতে কাজ করে আসছিল পত্রিকাটি।
হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ এর বিবৃতিতে বলা হয়, সুখরঞ্জন বালী কলকাতার দম দম কারাগারে রয়েছেন বলে এই বছরের মার্চ মাসে তথ্য পায় হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ। কিন্তু তার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বালীর অপহরণ
নিউ এইজ-এর প্রতিবেদনে বালীর উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, তাকে আদালত চত্বর থেকে একটি পুলিশের গাড়িতে ‘অপহরণ’ করে পরে একটি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই অফিসের ডেস্কে একটি পেপার স্টাম্পে কিছু শব্দ দেখে তিনি পরে ওই অফিসটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিস বুঝতে পারেন।
পত্রিকাটি তার সঙ্গে দেখা করতে এবং একটি বিবৃতি নিতে ওই কারাগারে প্রবেশে সক্ষম একজন ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নিরাপত্তার কারণে তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছার কথা জানায় ওই ব্যক্তি। বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনালের কোনো পক্ষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা/সংশ্লিষ্টতা নেই। বিবৃতি নেয়া ওই ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন, যে ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন, বালীর আসল ছবির সঙ্গে তার সম্পূর্ণ মিল রয়েছে।
বিবৃতি নেয়া ওই ব্যক্তি বলেন, ‘বালী পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দেন। আমি মনে করি, ঘটনাটি সত্য না হলে এ রকম মুহূর্তে তার কাছ থেকে এমন বিবরণ আসা খুবই কঠিন।’ অবশ্য বালীকে তখন নার্ভাস দেখাচ্ছিলো বলেও ওই ব্যক্তি জানান।
বালী বলেন, ওই অফিসের লোকজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল এবং আমাকে যখন তারা অপহরণ করেছিল তখন তারা সাদা পোশাকে ছিল। অফিসে তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে তিনি জানান। তবে ‘কেন আমি সাঈদী সাহেবের পক্ষে এজন্য প্রশ্ন করা হয়েছিল... তারা বলেছে- আমাকে হত্যা করা হবে এবং সাঈদী সাহেবকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।’
ভারতের সীমান্তে পাঠানো
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর বিবৃতিতে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর কাছে এমন অনেক প্রমাণ আছে, সীমান্ত অতিক্রম করলেই বিএসএফ কীভাবে বাংলাদেশীদের হত্যা করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেন, ‘যারা তাকে অপহরণ করেছিল, তারা মনে করেছিল বালী যখন সীমান্ত অতিক্রম করবে, তখন সে বিএসএফ এর হাতে মারা যাবে, অথবা এর মধ্য দিয়ে সে স্থায়ীভাবে অন্তরীণ হয়ে যাবে।
নিউ এইজ বলছে, বালীর বিবৃতিতে বলা হয়, ছয় সপ্তাহ তাকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো আটকে রাখার পর ২৩ ডিসেম্বর তার চোখ বেঁধে ফেলা হয় এবং বাংলাদেশ পুলিশ তাকে সীমান্তে নিয়ে যায় এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের হাতে তাকে তুলে দেয়া হয়।
নিজের সই করা বিবৃতিতে বালী বলেন, ‘তারা আমাকে খাবার দেয়ার জন্য মাগুরার একটি হোটেলের সামনে গাড়ি থামায়। তারা আমার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং আমি বুঝতে পারি আমাকে প্রাইভেটকারে এখানে আনা হয়েছে।’
‘আমার খাবার গ্রহণ শেষ হলে ফের আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয় এবং আমাদের গাড়ি ফের চলতে শুরু করে। সর্বশেষ বিকেল ৫টার দিকে বিএসএফের হাতে আমাকে তুলে দিয়ে তারা চলে যায়’ যোগ করেন তিনি।
ভারতে বালীর অবস্থান ও সাজা
বালী বলেন, বিএসএফ সদস্যরা তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে। ‘তারা আমাকে নির্যাতন করে এবং জানতে চায় আমি সেখানে কী করছিলাম। বিএসএফের হাতে তুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত আমি কী করেছি তা তুলে ধরার চেষ্টা করি। সম্ভবত তারা আমার কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পায়নি এবং আমাকে আরো বেধড়ক মারধর করা হয়।’
এতে আহত হলে বিএসএফ তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে স্বরূপনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে পরদিন তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। বসিরহাট কারাগারে ২০ দিন আটক থাকার পর তাকে দম দম সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয় বলে জানান বালী।
ভারতীয় পুলিশের ২০১২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দাখিল করা প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ কর্মকর্তা কুলদীপ সিং ভারতীয় সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরে ‘সন্দেহজনক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ’ করেন এবং বালীকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পালান। এফআইআর-এ বলা হয়, আটক করা হলে বালী তাদের জানায়, ‘তিনি বাংলাদেশ থেকে তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।’
গত ৩ এপ্রিল ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দেশটির ফরেনার অ্যাক্ট-১৯৪৬ এর অধীনে কলকাতার একটি আদালত বালীকে ১০৫ দিনের কারাদ- দেয়। যেহেতু বিচার চলাকালে এই সময়টা তিনি কারাভোগ করেছেন, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে যেকোনো দিন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
বালীর অপহরণের কথা অস্বীকার
ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে বালীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো অপহরণ করেছে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে সরকার এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৫ নবেম্বর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা ঘটনাটি তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জানালে চিফ প্রসিকিউটর আদালতকে বলেন, ‘আদালত চত্বরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের জানা মতে এমন কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন।’ তদন্ত সংস্থার প্রধানও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপহরণের অভিযোগ নেতাদের বেআইনিভাবে মুক্ত করতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টার তাদের (জামায়াতে ইসলামীর) অগ্রহণযোগ্য নাটকের অংশ।’
অপহরণের ঘটনার এক সপ্তাহ পর হেবিয়াস কার্পাসের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম হাই কোর্টকে বলেন, ‘এই গল্প একেবারেই ভিত্তিহীন... এই আবেদন একবারেই বিভ্রান্তিকর।’
বালীর জীবন নিয়ে শংকা ॥ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান
দীর্ঘ দিন পর সন্ধান পাওয়া সুখরঞ্জন বালীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই আহ্বান জানান।
হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ এর বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের উচিত হবে না, বালীকে বাংলাদেশে পাঠানো, যতক্ষণ না জাতিসংঘের উদ্ধাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর ভারতীয় অফিসের সাথে কথা না বলা পর্যন্ত, যদি তিনি নিজেকে উদ্বাস্তু মনে করেন। আর তিনি যদি নিজেকে উদ্বাস্তু মনে না করেন, তাহলেও ভারতের উচিত হবে না, তাকে বাংলাদেশে পাঠানো, যেখানে সত্যিই তার জীবন হুমকির মুখে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, বালী যদি বাংলাদেশে ফিরে যায়, তাহলে তার অপহণের ঘটনা প্রকাশ পেলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। তাই বালীর জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন একজন স্বাধীন আইনজীবী এবং জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনের সহায়তা, যাদের মাধ্যমে আলোচনা করে তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন, তিনি কীভাবে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরবেন।
অপহণের নির্দেশদাতা খুঁজে বের করার আহ্বান
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন সাক্ষীকে এভাবে অপহরণ করার ঘটনা মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়। এটি বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পুরো বিচার প্রক্রিয়া, এর বিচারকবৃন্দ এবং বাংলাদেশ সরকারের বিষয়ে আমাদেরকে মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে’ যোগ করেন তিনি। অ্যাডামস বলেন, ‘কে এই অপহরণের নির্দেশদাতা এবং এর সাথে জড়িত কর্মকর্তারা কতটা সিনিয়র পর্যায়ের তা খুঁজে বের করতে হবে।’
সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য
নিউ এইজ-এর প্রতিবেদনে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। কলকাতায় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সংশোধন কেন্দ্রে আটক বাংলাদেশীদের দেখতে এপ্রিলের শেষের দিকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দল কলকাতায় আসেন।’ ‘আমরা দম দম সংশোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বালীর সঙ্গে দেখা করেছেন কি না আমি বলতে পারবো না’ যোগ করেন তিনি।
ওই প্রতিনিধি দলের একজন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির লে. কর্নেল তৌহিদ বলেন, ‘বালীর সঙ্গে তারা দেখা করেছেন কি না তা তিনি বলতে পারবেন না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু কারাগারে প্রায় ১৩০ জন ছিল, তাই আমি বিষয়টি স্মরণ করতে পারছি না। আপনাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে (বালীর বিষয়ে) কোনো তথ্য নেই। আমি যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলামের (পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি বলেছেন- তিনি কিছুই জানেন না। এই মুহূর্তে বালী কোথায় আছে তিনি তা জানেন না।’
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আল্লামা সাঈদীকে মৃত্যুদ- দেন, এর মধ্যে একটি হলো- সুখরঞ্জন বালীর ভাই বিশাবালীকে হত্যায় জড়িত থাকা। আদালত রায়ে উল্লেখ করে, বিশাবালীকে একটি নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং ‘অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উস্কানিতে রাজাকার বাহিনীর গুলীতে তিনি নিহত হন’। আদালত অন্য ছয়টি অপরাধের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কোনো সাজা ঘোষণা করেনি। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রয়েছে
(সূত্রঃ এখানে দেখুন )
এখানে ক্লিক
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



