দ্যা আনটোল্ড স্টোরি....২০
বহু বছর আগে একজন হস্তরেখা বিশারদ আমাকে বলেছিলেন, ‘’আপনার জীবনের অনেক ঘটনা হিসেবের বাইরে ঘটবে’’।
সেদিন মনে মনে হেসেছিলাম, ভেবেছিলাম আমার মতো সদা সতর্ক মানুষের জীবন বেহিসেবি হয় কি করে! তখনও জানা ছিল না, ‘’সব অংক চাইলেও মেলানো যায় না’'।
ইদানীং মৃত্যু আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়। কিন্তু মৃত্যুকে ভয় হয়না। যদিও জানি ভাগ্যকে বদলানো এতোটা সহজ নয় তবুও। কোন কিছুই কোনদিন কারো জন্য থেমে থাকে না কিন্তু ভাবনার অন্ত নেই যেন।
অন্যের জন্যই তো বেঁচে থাকাতে সুখ আর আনন্দ। একা নিজের জন্য বেঁচে থাকাটা বড় বেশী নিরানন্দ আর অর্থহীন বলে মনে হয়। আজীবন আমি খুব বেশী আবেগী মানুষ হিসেবেই পরিচিত জনদের কাছে। অথচ এখন অনেকেই বলে আমি নাকি আবেগ অনুভূতিহীন যন্ত্রমানব।
একান্তে ভাবি আসলে কি আমি তাই!
কেউ যখন জিজ্ঞেস করে, ‘’অবসরে কি করি’’?
আমি হাতরিয়ে বেড়াই অবসরকে খুঁজে ফিরি। সময় বড্ড দ্রুত গতিতে ছুটে চলে, সময়ের সাথে। এই ছুটে চলায় কখনও যে ক্লান্তি এসে ভর করে না তাতো নয় কিন্তু নিজেকে সামলে চলাই তো জীবনের প্রথম পাঠ - আমি সেই পাঠেও ব্যার্থ!
মাঝে মাঝে ঈর্ষা এসে বাসা বাঁধতে চায় কিন্তু যুক্তিতে মানি খানিকটা ঈর্ষা থাকাটাও জরুরী। সদা ঘূর্ণ্যমান জীবন চক্রের মতো ঈর্ষাও এক সিঁড়ি থেকে অপর সিঁড়িতে ঘুরপাক খেতে থাকে।
অংক আমার পছন্দের বিষয় নাহলেও নিজ জীবনের অংক মিলিয়েই অনেকটা বছর অত্যন্ত সফলভাবে চালিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এখন অংক মিলাতে পারিনা, কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যায়। তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের উঠা-নামার অংকের মত আমার অংকগুলোও পিছলে পরে, যেভাবে পিছলে পরেছে আমার জীবনের পথচলা।
এখন বুঝি, জীবনের অংক মেলানোর ফর্মুলাটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন লুকিয়ে রেখেছেন, যা শত চেষ্টাতেও জানা সম্ভব নয়।
"অমল কান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল- হতে পারেনি।" আমাদের মধ্যে অনেকেই রোদ্দুর হবে,
আমি অমল কান্তিই রয়ে যাবো!
ডিসক্লেইমারঃ দ্যা আনটোল্ড স্টোরি....আমার জীবনের না বলা অনেক কথা...যা 'ডিজিটাল ডায়েরি' বললেও ভুল বলা হবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




