নোংরা মানুষের কবিতা....
মানুষ রেগে গেলে তা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করে। রাগ প্রশমনের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে- গালাগালি করা। কারো ওপর রাগ হলে তাকে গালাগালি/ বকাবকি করলে রাগ অনেকটা কমে যায়। আমাদের দেশে প্রায় প্রত্যেকেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। আমার দুর্ভাগ্য, আমি গালাগালি যৎসামান্য করলেও বেশুমার গালাগালি খাই- সত্য কথা বলার জন্য! যারা অশিক্ষিত, গরিব তারা গালাগালিকে নিজেদের অধিকার আদায়ের হাতিয়ার মনে করেন। নাম ভুলে যাওয়া একজন লেখক কৌতুক করে গালাগালিকে "গরিবের কবিতা" আখ্যায়িত করেছিলেন!
অন্যান্য দেশেও মানুষ গালাগালির মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করে থাকে। এজন্য প্রত্যেক ভাষায় কিছু বিশেষ নির্বাচিত শব্দ ব্যবহার হয়। অনেকে এমন অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন যা শুনে কানে আংগুল দিতে হয়। তখন পরিবার পরিজনের সঙ্গে থাকলে ভীষণ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। গালাগালির মাধ্যমে রাগ প্রশমনের ব্যবস্থা একটি সামাজিক অনাচার। অনাচার থেকে সমাজকে মুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন। শালীনতা ও শিষ্টাচার ছাড়া কোনো জাতি ভদ্র বলে পরিচিতি লাভ করতে পারে না। সার্বজনীন শিক্ষা এবং নৈতিকতা এ ব্যাপারে অনেক সহায়ক হতে পারে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কতিপয় শিক্ষিতদের মধ্যেও যখন হরহামেশাই গালাগালি করার প্রবণতা দেখি তখন মন খারাপ হয়ে যায়! মনে হয় শিক্ষিত আর অশিক্ষিতের মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই! তাই গালাগালিকে শুধু "গরিবের কবিতা" হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়না বরং বলা যায়- গালাগালি "নোংরা মানুষের কবিতা"!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


