আমরা এখনো হাজার বছর পিছিয়ে......
ইতিহাসে পড়েছি, সং চীনের সরকারী পরীক্ষার কথা। বিভিন্ন সরকারী পদে নিয়োগ হত পরীক্ষার মাধ্যমে, মেধার ভিত্তিতে। পরীক্ষা এমন ভাবে নেওয়া হত, যাতে সমাজের উচ্চবর্গের অভিজাতদের সঙ্গে সাধারণ পরিবার থেকে আসা প্রার্থীরাও পাল্লা দিতে পারে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, তা সত্ত্বেও সমাজের উচ্চবর্গের পরীক্ষার্থীদেরই উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রাধান্য থাকত। কিন্তু এ সত্ত্বেও, সং সাম্রাজ্যের শাসনতন্ত্রের একেবারে কেন্দ্রে স্রেফ মেধার জোরে অনেক সময় উঠে যেত নিম্নবর্গ থেকে আসা ছাত্ররা। পরীক্ষা নেওয়া হত নিয়মিত এবং যথাসম্ভব দুর্নীতিমুক্ত ভাবে। পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ বলে গণ্য হত, যার জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারত। অনেক সময় সম্রাট স্বয়ং পরীক্ষার তদারকি করতেন।
এখানে একটা বিষয় আছে। এই এক্সাম দিয়ে চাকরির ব্যাপারটা চীনে ইন্সটিটিশানালাইজড হয়েছিল মোটামুটি তাং আমলে (কিন্তু সং-দের মতো সাধারণের জন্য ওরা এক্সাম উন্মুক্ত করেনি)। তো এই তাং এরায় সাম্রাজ্ঞী উ জেতিয়ান-এর শাসনকাল ও সেই সময়ে ইম্পিরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ঠিক কি হয়েছিল, আগ্রহ থাকলে চিনের শিক্ষা ও চাকরির ইতিহাস পড়ে দেখতে পারেন।
এরপর হাজার বছর অতিক্রান্ত। একটা আদি মধ্যযুগের সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্য যা করতে পারত, আমার স্বাধীন বাংলাদেশ একবিংশ শতকের সরকার সেটা করতে পারছে না বরং অযোগ্যদের সর্বস্তরে পদায়ন করছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



