"আরব পলাশী"র শেষ নবাব আসাদের পরাজয়.....
"President Bashar al-Assad left Damascus on a private plane"- BBC and Reuters
"Syrian President Bashar al-Assad has left the capital Damascus" - BBC.
"According to the Reuters news agency, the BBC's live broadcast said that it was not immediately known where Bashar al-Assad left Damascus".
এগুলো হলো আজকের আন্তর্জাতিক নিউজ হেড লাইন।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় আমি খুবই দুর্বল হলেও বাস্তবতা কিছুটা হলেও বুঝি.....বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সবার সাথে কোরাস গাইতে পারি না, তাই অনেকটাই একাকী!
ফিরে যাই সেই আশির দশকে ইরাক-ইরান, ইরাক-মার্কিন ব্যাটল ফিল্ডে....যেখানে স্রোতের বিপক্ষে ছিলাম আমি। সাদ্দাম হোসেনের একাকী প্রতিরোধ যুদ্ধে আমি সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে অর্থাৎ ইরাকের পক্ষে ছিলাম। লিবিয়া-মার্কিন যুদ্ধে আমি লিবিয়ার পক্ষে ছিলাম। সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফীর করুণ পরাজয় এর পরিনতি এখনো আমাকে মর্মাহত করে। সিরিয়ায় আসাদের পতনে প্রায় সকলেই খুশি! কিন্তু আমি মোটেও খুশি হতে পারছিনা।
ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম থেকেই আমি ইউক্রেনের ঘোর বিরোধী এবং রাশিয়ার পক্ষে ছিলাম। কারণ , গ্রেটার এজ-রিয়েলের তৈরীর মাস্টার প্ল্যানে তারা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সর্বশেষ বাধা ছিল এই আসাদ, তথা সিরিয়া। আসাদের পতনের ফলে সিরিয়াতে মুসলিম জাহানের শেষ নবাবের পতন হবে বাংলার শেষ নবাব পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজুদ্দৌলার মতন।
সিরিয়ার ১১ বছরের যুদ্ধে নানা গোত্র, বাহিনী তৈরী হয়েছিল আমেরিকার এবং তার দোসর ইয়াহুদের প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক সাহায্যে। সেইসাথে পাঁচ পরাশক্তি ছাড়াও তুর্কি, ইরানী অস্রের প্রত্যক্ষ কার্যকারিতার পরিক্ষাগার ছিলো সিরিয়ার ভুমি।
আইসিসদের মতো সিরিয়ার এই নানা গ্রূপগুলোকে তারা লালনপালন করেগেছে বছরের পর বছর ধরে। ১১ বছরের যুদ্ধে সিস্টেমেটিকালি সিরিয়ার গ্রামের পর গ্রাম বোমা মেরে খালি করেছে আমেরিকা, ইয়াহুদী ও খৃষ্টান গোষ্টি।
১০ মিলিয়ন সিরিয়ানকে রিফুজি বানিয়ে তারা ইউরোপে পাঠিয়েছে শুধুমাত্র গ্রেটার এজ-রিয়েল তৈরির জন্য।
কারণ ঐসব গ্রামে মুসলিম বসতি থাকলে সেখানে শুদ্ধ-ইয়াহুদী গুষ্টির দেশ বানানো যাবে না।
তাই তাদের দরকার ছিল বিরান সিরিয়ান ভূমি, যা তারা সফলভাবে করেছে গত ১২ বৎসর যাবৎ বোমাবাজি করে।
এছাড়া সিরিয়া ছিল ইরানের বেঁচে থাকার শেষ আউটপোস্ট।
আসাদের পতনের ফলে ইয়াহুদী গুষ্টি এখন ইরানের কাঁধের উপর বসে শুধু নিঃশ্বাসই নিবে না, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপর এমন সাঁড়াশি আক্রমণ চালাবে যাতে মুসলিম বিশ্বের শেষ ভরসা ইরান শেষ হয়ে যায় প্রথম আঘাতেই।
খেয়াল করে দেখুন, ট্রাম্প আসার ঠিক আগে সিরিয়াতে চতুর দিক থেকে আক্রমণ করে সিরিয়া দখল করে নিল। ট্রাম্প এমনিতেই মুসলিম বিরোধী, এর উপর তার মেয়ের জামাই জেরার্ড হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিবির মাস্টার প্লানের একনিষ্ঠ সমর্থক। ফলে আসাদের পতনের মাধ্যমে বাইজেন্টাইনরা ১৪শ বছর আগে খালেদ বিন-ওয়ালিদের হাতে হারানো সিরিয়া আবার ফিরে পেলো, এবং সাম রাজ্যে মুসলমানদের শাসনের অবসান হলো।
বাইডেনের শেষ সময়ে গাজাকে মাটিতে গুড়িয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনমুক্ত করা হলো। লেবানন তছনছ করে দিয়ে এমন অবস্থায় নেয়া হয়েছে যেকোন সময় সেখানেও ইয়াহুদী গুষ্টির সরকার বসিয়ে দিবে, কেউ কিছু করতে পারবে না। আর এখন সিরিয়ার বিশাল উর্বরভূমি মুসলিমদের হাত ছাড়া হয়েগেল।
এবার সিরিয়ার বর্ডারের বেইস থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বিমান উড়ে গিয়ে ইরানের সকল স্থাপনা ধ্বংস করতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না ইয়াহুদী-খৃষ্টান গুস্টির। ফলে বৃহৎ ইজরায়েল তৈরিতে আর কোন বাধা রইলো না।
এজন্যই আমি অন্য সবার মতো খুশি হতে পারছি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



