বিকল্প জীবন .....
এমন একটা জীবনের কথা আমরা কী ভাবতে পারি না- যে জীবনটা হবে খুব সহজ, সরল আর সাধারণ। যে জীবনে প্রয়োজনের বেশি লোভ লালসা, চাওয়া পাওয়া আর হার জিতের জটিলতা, যুদ্ধ ও আয়োজন থাকবে না। যেখানে জীবনের প্রকৃত সত্য, মূল্যবোধ, চেতনা আর নীতি আদর্শের বিকাশই হবে শিক্ষা সংস্কৃতির মূল উদ্দেশ্য। যেখানে সমস্ত সম্পর্কের মূল ভিত্তি হবে অকৃত্রিম আন্তরিকতা। যে সমাজে জীবন যাপনের ধরণ হবে সাদাসিধে, কিন্তু চিন্তা চেতনা আর ধ্যান ধারণা জুড়ে থাকবে উচ্চ মানের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা।
জীবন যাপনের নৈতিক মান দিয়ে বিচার হবে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান ও সম্মান। প্রকৃতিপাঠ হবে সে জীবনের সর্বক্ষেত্রের সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রাপ্ত বিষয়। পরিবেশ বান্ধব হবে মানুষের জীবনের সার্বিক ক্রিয়াকর্ম আর পরিকল্পনা। সে সমাজে ব্যক্তি স্বার্থের আগে বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। মানুষের খাদ্যাভ্যাস হবে পরিমিত ও রুচিশীল। সে সমাজে কারোর অতিরিক্ত লোভের জন্য অন্য অনেককে দীন হীন হয়ে থাকতে হবে না। যে ব্যবস্থায় সিংহভাগ লোক ন্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়ের বিপক্ষে সংঘবদ্ধ হয়ে লড়বে। যেখানে নগ্ন স্বার্থপরতার স্থলে ন্যূনতম সহানুভূতি আর সহমর্মিতা থাকবে মানুষে মানুষে। লোভ, ক্ষমতা আর অহংকার জাত হিংসা, যুদ্ধ, বিবাদ থাকবে না। যুদ্ধ থাকবে শুধু অশুভ শক্তিকে দমন করার স্বার্থে। জাতপাতের নোংরামি থাকবে না। থাকবে না ক্ষমতার অপব্যবহারকারী দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের অবাধ বিচরণ। সকলের মধ্যে এক ধরনের আত্মীয়তাবোধ থাকবে। ছোটখাটো বিবাদ বিতর্ক যাতে বড় কোনো সমস্যা না ডেকে আনে, সেদিকে খেয়াল রেখে সবাইকে চলতে হবে। সবাই সবার ভালোর কথা ভাববে।
এরপরেও অপরাধ, অপরাধী, অপরাধী মানসিকতা থাকবে। দুর্নীতি থাকবে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে সংকীর্ণ স্বার্থ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর স্বার্থে একজোট হয়ে লড়তে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪